কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দুজন সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবী মামলা ও মানববন্ধনে হামলা করে নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের আহতের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বাজিতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাজিতপুর উপজেলা শাখা।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বাজিতপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. সেলিম হায়দার প্রথমে প্রেস ব্রিফিং দেন। এসময় সাথে দলের উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও হুমাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাইয়ুম খান হেলাল তার লোক দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা করে। সে খানে এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও ব্যাক্তি আক্রোশের বশবর্তী হয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে এর দুই জন লোকের নামে মামলা দেওয়া হয় । এর প্রতিবাদে আমরা বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় অভিযোগ দেই।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় বাজিতপুর বাঁশমহল এলাকায় মানববন্ধনের ডাক দেই । মানববন্ধনের লোকজন আসতে থাকে। এমত অবস্থায় কাইয়ুম খান হেলাল এর নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায় । এতে আমাদের ৫ লোক আহত হয়। তাদের পরিকল্পিত হামলায় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়৷
ইসলামী আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক ডা. সেলিম হায়দার প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, হেলাল খান একজন লেবাস দাড়ি। সে আসলে একজন নদী দখল বাজ । এলাকায় প্রভাব বিস্তারে জন্য দলের পরিচয় বহন করে । হেলাল খান মামলায় তার নাম না দিতে বিভিন্ন ভাবে আমার ওপর চাপ দিচ্ছে । অপরাধীরা যেন আসামি হতে বাদ না যায় সে জন্য সাংবাদিকদের সাহায্য চাচ্ছেন তিনি ।
এই সময় তিনি সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন । অপরাধীদের শান্তির দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বাজিতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাহজাদ ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান চান। শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি রিয়াজতুল্লাহ রিয়াজ, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ শরিফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর অর্থ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম ।
সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে আহত সাংবাদিকরা৷ অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাজিতপুরে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি বিএসসির আহ্বায়ক এম রায়হান ও সদস্য সচিব আলপনা বেগম। একইসঙ্গে বিএসসির কুইক রেসপন্স টিম অভিযুক্ত বিএনপির নামধারী হামলাকারীদের নাম ঠিকানা উল্লেখপূর্বক দলীয় ব্যবস্থা নিতে বিএনপি মিডিয়া সেলে অভিযোগ জানানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান তারা৷