সিলেটে অভয়াশ্রম থেকে মাছ হরিলুট

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে অভয়াশ্রম থেকে মাছ হরিলুট

সিলেটে অভয়াশ্রম থেকে মাছ হরিলুট

সিলেটের জকিগঞ্জে এবারও অভয়াশ্রম থেকে মাছ লুটের মহোৎসব চলছে। গত তিনদিন ধরে উপজেলার কাজলশাহ ইউনিয়নের চৌধুরীবাজারের ‘কুল গাঙ’ মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে মানুষ। গতবছরও একইভাবে ওই অভয়াশ্রম থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার আগে এবারও অভয়াশ্রম থেকে মাছ হরিলুট চলছে।

এদিকে প্রকাশ্যে অভয়াশ্রম থেকে মাছ লুটের ঘটনা ঘটলেও নিরব উপজেলা প্রশাসন। শনিবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের লোকজন ও থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এমনকি এ ঘটনায় সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতেও পারেনি।

বিজ্ঞাপন

জেলার ১৩টি মৎস্য অভয়াশ্রমের মধ্যে জকিগঞ্জ উপজেলার একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম এটি। কয়েক বছর আগে কাজলশাহ ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারস্থ ‘কুল গাঙ’ নামের খালটি সংরক্ষিত এলাকা চিহ্নিত করে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। গত বছর একটি চক্র নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ লুট করে নিয়ে যায়। মাছ লুটের সময় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অনেক বাধা বিপত্তি আসে। গত বুধবার থেকে ফের ওই অভয়াশ্রমে মাছ লুট শুরু করে স্থানীয়রা। তবে এবার আর কেউ বাধা দিতে আসেননি। টানা চারদিন দিন ধরে অভয়াশ্রমের পার্শ্ববর্তী গোটারগ্রাম, পশ্চিম গোটারগ্রাম, কড়ইমুড়া, মঙ্গলশাহ, উত্তর জামুরাইল, দক্ষিণ জামুরাইল গ্রামের মানুষ অবাধে মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাছ লুটের বিষয়টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবগত করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের চাপে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে যান তিনি। তবে তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে চলে আসেন।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু তাহের চৌধুরী বলেন, স্থানীয় লোকজন মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের সরকারি কোনো পাহাড়াদার নেই। খবর পেয়ে আমাদের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সে সময় কাউকে পাওয়া যায়নি।

গতবছরও মাছ লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আইনি পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু স্থানীয়দের কারণে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনার তদন্তে কেউ স্বাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমি আক্তার বলেন, মাছ লুটের খবর পেয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলবো।