ইয়াবা দিয়ে চালানের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ৬ পুলিশ বরখাস্ত
রাজশাহীতে দুই নারীকে ইয়াবার মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া ও নগদ আরও সাড়ে চার হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৬ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এ আদেশ জারি করেন।
এ ৬ পুলিশ সদস্য হলেন- সহকারী শহর উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) নাসির হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সেলিম, কনস্টেবল মো. শাহজাদা, সারোয়ার হোসেন, রিপন আলী ও শংকর চন্দ্র। এদের মধ্যে নাসির হোসেন পুলিশ বক্সের ইনচার্জ ছিলেন।
আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ৬ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত হবে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ এবং কুমিল্লা থেকে দুইজন নারী বৃহস্পতিবার সকালে বাসযোগে রাজশাহীতে তাদের এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন। তারা শিরোইল বাস টার্মিনালে নামার পর পরই এটিএসআই নাসিরসহ বক্স পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করে। এরপর ওই দুই নারীকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দেখানোর হুমকি দেন ওই পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তারা ভুক্তভোগীদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে ওই দুই নারী তাদের পরিবারকে বিষয়টি জানান।
এরপর পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ টাকা দেয় পুলিশকে। এছাড়াও তাদের দুই জনের কাছে থাকা নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনার পর ওই দুই নারীর পরিবারের সদস্যরা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর রাতে এটিএসআই নাসিরসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
এদিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা বিকাশ আদায় এবং সাড়ে চার হাজার টাকা নগদ ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় দুই নারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অভিযোগের বিষয়েও পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।