যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকৎসা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহ রেজা আলম ওরফে ইমনের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন। এ নিয়ে থানা পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাঠ এবং ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করেন। আলোকনগর বাজারে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। কয়েকদিন আগে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাই গত ৬ অক্টোবর তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে ব্যবসার কাজে এলাকায় যান। কার্যালয়ে তিনি না থাকার সুযোগে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি দখলে নেওয়ার জন্য হামলা চালান যুবলীগ নেতা শাহ রেজা ও তাঁর ক্যাডাররা। তাঁরা চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া, লোহার রডসহ তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং দুই ছেলেকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এরপর এই ব্যবসায়ীর স্ত্রী ছেলেদের নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। তখন বাগমারার পলাশী নামক জায়গায় শাহ রেজা ও তাঁর বাহিনী আবার আক্রমণ চালায়। ওই সময় এই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। এ নিয়ে ভুক্তভোগী এই ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তা না নিয়ে উল্টা তাঁদের সাথে আপোষ করতে বলা হয় বলে অভিযোগ করেন এই ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, এখন একের পর এক হত্যার হুমকি পাচ্ছি। এই অবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি যেন অমার পরিবার নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারি এবং ব্যবসা ভালভাবে পরিচালনা করতে পারি তার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী এই ব্যবসায়ীর স্ত্রী এবং দুই ছেলেও উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা শাহ রেজা বলেন, দীর্ঘ সাত মাস ধরে আমিও ক্যাবল নেটওর্য়কের ব্যবসায় নেমেছি। সংযোগ দেওয়া নিয়ে একটা হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শ্লীলতাহানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলছিল। তখন মেয়ে মানুষ সামনে এসছিল। তাই হয়তো দুই একটা চড় লেগেছে। তবে যেদিন এই ঘটনা, সেদিন আমি ছিলাম না।
থানায় অভিযোগ না নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাগমারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, ওসি স্যার বাইরে আছেন। এই ধরনের ঘটনার কথা আমি কিছু জানি না।