উগ্রবাদী বই-অস্ত্রসহ আটক ৭ জঙ্গি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উগ্রবাদী বই-অস্ত্রসহ আটক ৭ জঙ্গি। ছবি: বার্তা২৪.কম

উগ্রবাদী বই-অস্ত্রসহ আটক ৭ জঙ্গি। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, লিফলেট, গান পাউডার, বিদেশি অস্ত্রসহ আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) ও জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৭ জঙ্গিকে আটক করেছে র‌্যাব।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর র‌্যাব-১৩ এর সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মোজাম্মেল হক বিপিএম, পিপিএম।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে র‌্যাব-১৩’র জঙ্গি সেলের এক বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

মোজাম্মেল হক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মুসরত মদাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব।

সেখান থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. হাসান আলী ওরফে লাল (৩৮), কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য মো. আসমত আলী ওরফে লাল্টু (২৭), সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য মো. শাফিউল ইসলাম সাদ্দাম (২৪), মো. আবু নাঈম মিস্টার (১৯) এবং মো. আলী হোসেনকে (২৫) আটক করা হয়। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির উপকরণ, বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক জানান, একই সময়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ সাহেবডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে জেএমবির সক্রিয় সদস্য মো. তমিজুল ইসলাম (৩৯) এবং করতলী গ্রাম থেকে আরেক সক্রিয় সদস্য মো. সুন্নাহ ইসলাম সুন্নাকে (২১) আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা বেশ কিছু উগ্রবাদী বই উদ্ধার হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া জঙ্গিরা জানান, তারা প্রায় দুই বছর ধরে গোপনে জেএমবির সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে মোজাম্মেল হক জানান, সংগঠনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ এবং সংগৃহীত অর্থ দ্বারা বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করার কথা স্বীকার করেছেন জঙ্গিরা। লালমনিরহাটে তাদের বিভিন্ন রকমের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। তারা সবাই লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা। তাদের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের ব্যাপারে গোপন অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

আটক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ থানাতে অস্ত্র, সন্ত্রাস বিরোধী ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

   

এমপি আনার হত্যা তদন্তে কলকাতায় ডিবির প্রতিনিধি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ড তদন্ত করতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কলকাতা গেছেন তিন সদস্যের একটি টিম। রোববার (২৬ মে) সকালে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয় প্রতিনিধি দলটি।

তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ওয়ারি বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান। মহানগর গোয়েন্দা প্রধান জানান, শাহীনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে আবেদন করা হবে।

তিনি জানান, শাহীন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলে নিশ্চিত হয়েছে কলকাতা ও ঢাকার গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের তদন্ত দল কলকাতায় প্রথমে ঘটনাস্থলে যাবে। এরপর ভারতে গ্রেফতার জিহাদ হাওলাদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

এদিকে তদন্ত শেষে আজ কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধি দলটির ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় 'রেমালে'র প্রভাবে উপকূলের বাঁধে ভাঙন আতঙ্ক



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলে বইছে জড়ো হাওয়া। বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানি। এ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, কয়রাসহ উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদ-নদীতে পানির চাপ বাড়লে নড়বড়ে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বাগেরহাট এই তিন জেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে (সাইক্লোন শেল্টারে) নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খুলনা জেলার ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট জেলায় ৩৫৯টি ও সাতক্ষীরা জেলায় ১৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জানা যায়, খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় প্রায় ২২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে কয়রা মহারাজপুর, কাশিয়াবাদ মঠেরকোনা মঠবাড়ি দশহালিয়ায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে গাববুনিয়া বেড়িবাঁধের মতো মদিনাবাদ লঞ্চঘাট থেকে গোবরা, হরিণখোলা-ঘাটাখালী, মহারাজপুর, কাশিয়াবাদ, দশহালিয়া এলাকায় বেড়িবাঁধ নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

কয়রার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ শিকারী জানান, আগে বাঁধের নিচে ৬০ ফুট পর্যন্ত চওড়া ছিল। ঢালের মতো বাঁধের ওপরের অংশে ছিল ১০-১২ ফুট। এখন ঠিকাদার-ওয়াপদা (পানি উন্নয়ন বোর্ড) কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাঁধের নিচের মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে ওপরে সংস্কার করা হয়। এতে বাঁধের ওপরে ১০-১২ ফুট ঠিক থাকলেও নিচের দিকে মাটি কমে যাওয়ায় বাঁধ দুর্বল হয়ে গেছে। ফলে বাঁধ সংস্কারের কিছুদিনের মধ্যেই পানির তোড়ে সহজে বাঁধ ভেঙে যায়।

এদিকে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে উপকূলে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যার পর সুন্দরবন, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও তৎসংলগ্ন কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড- বিভাগ-২’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম জানান, উপকূলীয় এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনায় বাঁধ মেরামত ও টেকসই করতে নিয়মিত সংস্কার কাজ চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ, সিনথেটিক ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ থাকতে পারবেন। ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যায়নি কোথাও। তবে আজ সকাল থেকে কিছু মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কয়রা উপজেলার এক স্বেচ্ছাসেবক মোঃ আবিয়ার রহমান জানান, এ অঞ্চলে সাধারণত জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়। পানি বাড়লে ওই সময় বাড়িতে কেউ থাকলে তারা মালামাল সরিয়ে উঁচু স্থানে রাখতে পারেন। এছাড়া এ এলাকার অনেক মানুষ মনে করেন যে, অনেক সময় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস আসবে বললেও শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না। ফলে এবারও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষয়ক্ষতি হবে না।

খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

;

ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২২ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

আটকের সময় তাদের হেফাজত থেকে ২৪৯৬ পিস ইয়াবা, ২৬ গ্রাম হেরোইন, ২৫ কেজি ৯৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার (২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ রববার (২৬ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে।

;

১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ইতোমধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় ৯ জেলায় ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বরে মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৬ জেলায় ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে অতী ভারী বৃষ্টির ফলে ৫ জেলায় ভূমিধসের শঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে এটি আজ (২৬ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। 

;