বিশেষ অভিযানে ১৯০ কেজি ওজনের কোটি টাকা মূল্যের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে র্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১২’র সদস্যরা। এসময় আমজাদ হোসেন নামের এক মূর্তি ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২’র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) মোস্তাফিজুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ একটি চৌকষ আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার ভোরে নওগাঁ জেলার রানীনগর ৫ নং বড়গাছা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে ১৯০ কেজি ওজনের কোটি টাকা মূল্যের ১ টি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়। এ সময় আমজাদ নামের মূর্তি ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ১ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মূর্তি ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন এলাকা হতে মূর্তি ক্রয় করে বিদেশে পাচার করে বলে স্বীকার করেন। আটককৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামতসহ রানীনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে গাজিপুরায় ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামি শাহ আলম (৪৯) কে রাজধানীর তুরাগ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যটিলিয়ন (র্যাব-১)।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ এন্ড মিডিয়া অফিসার) মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।
মাহফুজুর রহমান জানান, ছাত্রদের বৈষম্য/কোটা বিরোধী আন্দোলনকে দমানোর জন্য দেশ ব্যাপী ছাত্র-জনতার ওপর ধ্বংসাত্মক হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্র জনতার ওপর মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১ এর আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামি গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞে সশস্ত্র অংশগ্রহণকারী ও হত্যা মামলার পলাতক আসামি মো. শাহ আলম (৪৯) তুরাগ থানা এলাকার নয়ানগর বিসমিল্লাহ অটোমোবাইল দোকানের সামনে অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দল ওই স্থানে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১৫নং আসামি মো. শাহ আলম (৪৯) কে গ্রেফতার করে বলে জানান তিনি।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পার্বত্য জেলায় সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল রাঙামাটিতে পৌঁছেছেন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে রাঙামাটি সার্কিট হাউজ হেলিপ্যাডে এসে পৌঁছান তারা। পরে সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে বৈঠকে যোগ দেন।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ।
পাহাড়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় ডিজিএফআই, এনএসআই প্রধান, আইজিপি, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসি, বিভাগীয় কমিশনারসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
এই সভায় রাঙামাটির সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, চাকমা সার্কেল চিফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন ।
ফ্ল্যাট নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজধানীর ওয়ারী থানার হাটখোলা এলাকায় আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা-ছেলে ও ছেলের বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে রাজধানী ঢাকার ওয়ারী থানা পুলিশ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ছালেহ উদ্দিন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আকবর হোসেন (৬০), তার ছেলে মো. আসিফ সুলতান সিফাত (২৭) এবং তার বন্ধু মো. আজাহারুল ইসলাম খান রিয়ান (২৮)।
গত ১৫ আগস্ট সকালে দুইভাই আল আমিন ভূঁইয়া (৪২) ও তার ছোট ভাই নুরুল আমিন ভূঁইয়াকে (৩৫) হত্যা করা হয়। এ ঘটনার নিহতদের বড় ভাই মো. রুহুল আমিন ভূইয়ার করা মামলায় গতকাল শুক্রবার সাভার থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া (৪০) এর আপন মেজো ভাই মো. আলামিন ভূঁইয়া (৩৮) ওয়ারী থানাধীন ১০নং হাটখোলা রোডের 'ক্লাসিক রিয়েল স্টেট কোম্পানীর' নিকট থেকে একটি ফ্ল্যাট কেনার চুক্তি করেন। ওই ফ্ল্যাটের ল্যান্ড ওনার 'এ্যাডভোকেট আকবর গং' এর সাথে ২০১৪ সালে রিয়েল স্টেট কোম্পানীর মালিক রিপন এর সাথে চুক্তি হয়।
পরবর্তীতে ১০ বছরেও ওই স্থানে বিল্ডিং নির্মাণ না করায় ল্যান্ড ওনার এ্যাডভোকেট আকবর গং ওই স্থানে ২য় তলা নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ করে। যেহেতু বাদীর মেঝো ভাই মো. আলামিন ভূঁইয়া (৩৮) এর সাথে ক্লাসিক রিয়েল স্টেট কোম্পানীর ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল, সেহেতু আল আমিন ভূঁইয়া তার ছোট ভাই মো. নুরুল আমিন ভূঁইয়া কে সাথে নিয়ে গত ১৪ আগস্ট সকাল ১১টার সময় ১০নং হাটখোলা রোডের সামনে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট দেখতে যায়।
ঐ সময় আসামি সিফাত এর নেতৃত্বে আসামি আকবর, রিয়ান ও পলাতক অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ভিকটিম আল আমিন ও নুরুল আমিন ভূঁইয়াদেরকে হত্যার উদ্দেশে স্টিলের ব্যাটন, স্টীলের চাকু, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে বুক, পিঠ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এলোপাতাড়িভাবে গুরুতর জখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকেই মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনার বিষয়ে নিহতদের আপন বড় ভাই মো.রুহুল আমিন ভূইয়া থানায় এসে লিখিত এজাহার দায়ের করলে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, মামলা রুজু হওয়ার পর ওয়ারী থানার একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলের আশেপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং সোর্সের দেওয়া তথ্য মোতাবেক আসামিদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নির্ণয় করেন।
পরবর্তীতে শুক্রবার ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. আকবর হোসেন ও তার ছেলে মো. আসিফ সুলতান সিফাত ও তার বন্ধু মো. আজাহারুল ইসলাম খান রিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের দেখানো ও শনাক্ত মতে ওয়ারী থানার ১০নং হাটখোলা রোডস্থ নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের বাসা হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি বৈদ্যুতিক শক স্ট্যান্ড, ১টি চাকু, একটি স্টিলের ব্যাটন উদ্ধার করা হয়।
অবৈধভাবে ভারত পাচারের সময় সুনামগঞ্জ সীমান্ত থেকে ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে বাংলাবাজার সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইলিশগুলো জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২২ লাখ ১২ হাজার পাঁচশ টাকা।
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি'র আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের সময় ইলিশের এই চালানটি আটক করা হয়। আটককৃত ইলিশ স্থানীয় কাস্টমে জমা করা হয়েছে।