নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপি গ্যাস

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছে। ভোক্তা পর্যায়ে এ দাম ১ হাজার ২২৮ টাকা। তবে রাজশাহীতে এ দামে মিলছে না এলপি গ্যাস। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্য দিয়েই গ্যাস কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

নগরীর কয়েকজন গ্যাসের পরিবেশকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারাই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ১ হাজার ২২৮ টাকা দরে গ্যাসের সিলিন্ডার দিচ্ছেন। খুচরা বিক্রেতারা আবার এর চেয়ে কিছুটা বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছেন। ফলে ভোক্তারা ১ হাজার ২২৮ টাকায় গ্যাস পাচ্ছেন না।

বিজ্ঞাপন

নগরীর বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, ভোক্তা পর্যায়ে বসুন্ধরা ও ওমেরা এলপি গ্যাসের ১২ কেজির মূল্য ১ হাজার ২৬০ টাকা, বিএম ১ হাজার ২৩০ টাকা, যমুনা, লাফস ও বেক্সিমো ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু ১২ কেজি গ্যাস ছাড়াও সাড়ে ৫ কেজি, ১৫ কেজি, ২০ কেজি, ৩০ কেজি, ৪৫ কেজির দামও আনুপাতিক হারে বেশি টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহীর বেঙ্গল হার্ডওয়্যারের কর্ণধার মো. মামুন বলেন, ডিলাররা পাইকারী বিক্রি করে, কিন্তু আমরা খুচরা বিক্রি করি। সেই কারণে পাইকারী রেটের চেয়ে দামের একটু পরিবর্তন হয়। আমাদের পরিবহন খরচ থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য খরচ আছে। তাই আমরাই যখন ১ হাজার ২২৮ টাকায় কিনছি, তখন এ দামে ভোক্তাকে দেওয়া সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

ওমেরা গ্যাসের পরিবেশক মেসার্স আনন্দ কুমার সাহা-এর স্বত্ত্বাধিকারী আকাশ সাহা বলেন, ‘আমরা পাইকারী হিসাবে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ১ হাজার ২২৮ টাকায় গ্যাস বিক্রি করছি। খুচরা বিক্রেতারা কত টাকায় বিক্রি করছেন তা জানি না, সেটা আমাদের জানার দরকারও নেই।

গত বৃহস্পতিবার ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার প্রতি এলপি গ্যাসের দাম ৮৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিইআরসি। শুক্রবার থেকেই এ দাম কার্যকরের কথা বলা হয়। এ দিন থেকে ১ হাজার ২২৮ টাকায় ভোক্তার সিলিন্ডার কিনতে পারার কথা। কিন্তু রাজশাহীতে এখনও তা হচ্ছে না, বরং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পরিবেশকরা বিক্রি করছেন ১ হাজার ২২৮ টাকায়। আর দাম কমার খবর সব ক্রেতা না জানার কারণে তারা বেশি টাকায় দিয়ে যাচ্ছেন।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ জানান, তারা এ বিষয়টি মনিটরিং করবেন। তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে যদি কেউ বেশি দামে গ্যাস বিক্রি করে তাহলে ভাইচারসহ ক্রেতাদের আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে। তাহলে আমরা সাথে সাথেই পদক্ষেপ নিতে পারব।