মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আ.লীগের কোনো বিকল্প নেই: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মাহবুবউল আলম হানিফ

মাহবুবউল আলম হানিফ

  • Font increase
  • Font Decrease

সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, এ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিজয় নিয়ে আসতে হবে। কারণ এই দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার কাজটি একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে এবং পেরেছে।

বুধবার (২৪ মে) চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন এবং ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তার সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছে উল্লেখ করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, পাকিস্তান আমলে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক এবং স্বাধিকারের জন্য লড়াই করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত হয়েছে সবই হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। বাংলাদেশকে দরিদ্রশীল দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মূল শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নয়। আমাদের মূল শক্তি সংগঠন এবং জনগণের সমর্থন। জনসমর্থনের এ ধারা ধরে রাখতে পারলে আওয়ামী লীগ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।

২০০৯ সালের সাথে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার তুলনা করে তিনি বলেন, তখন আমরা দরিদ্র দেশ ছিলাম। আমরা যখন সরকার গঠন করে যাত্রা শুরু করেছিলাম তখনকার বাংলাদেশের অবস্থা আর আজকের বাংলাদেশের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তখন আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে। ১২ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ তা ২৮৬০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পদার্পণ করবে এমনটি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ সিনিয়র নেতা বলেন, শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব, মেধা ও বিচক্ষণতার কারণে আমাদের এই অর্জন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা এর মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবো। বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিবীদ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পদার্পণ করতে পারবো।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই স্বপ্ন নিয়ে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি হয়েছে। এই আত্মত্যাগের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিহিত ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

এসময় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। উন্নয়ন, অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আসতে হবে।

সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অভিযান অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক বেগম আয়েশা খান এমপি, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ছাড়া মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

   

র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বাহিনীর সাত জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

ওয়া‌শিংট‌নের স্থানীয় সময় বৃহস্প‌তিবার স্টেট ডিপার্ট‌মে‌ন্টের নিয়‌মিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলে, যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এই দাবিগুলো মিথ্যা। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো আচরণের পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতার প্রচার।যুক্তরাষ্ট্র তোলার বিষ‌য়ে যে দা‌বি করা হ‌য়ে‌ছে তা স‌ঠিক নয় বলে জা‌নিয়েছে মা‌র্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

;

ডাকাতি ছেড়ে জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র সরবরাহ করছিল রহিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী আব্দুর রহিম (৩২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

গত বুধবার (১৫ মে) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে অভিযান চলিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক জব্দ করেছে সিটিটিসি।

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, দেশীয় তৈরি বন্দুক ৪টি, বারুদ লোডেড গান ৩টি, ওয়ান শুটার গান ১টি, দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র ১টি, গুলি ১৬টি, কার্তুজ ১১টি, শর্টগানের খোসা ২৪টি, বাইনোকুলার ২টি, গ্যাস মাস্ক ১টি, চার্জার লাইট ১টি, রিচার্জেবল ব্যাটারি ১টি, ওয়াকিটকি ও চার্জার ২টি, এসিড সদৃশ তরল পদার্থ ৬ লিটার, ইলেক্ট্রিক তার ৬০ ফুট, মোবাইল সিগন্যাল বুস্টার ১টি, তারসহ এন্টেনা ১টি, হাতুরি ১টি, করাত ১টি, হেক্স ব্লেড ১টি, বাল্ব ৪টি, ইলেকট্রিক হোল্ডার ৪টি, নীল রংয়ের প্লাস্টিকের ড্রাম ২টি ও ১টি ত্রিপাল উদ্ধার করা হয়।

সিটিটিসি জানায়, আব্দুর রহিম ২০১৯ সালের দিকে 'রহিম ডাকাত' গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। সম্প্রতি সে জঙ্গি সংগঠন 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'-কে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করত। 

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।


তিনি বলেন, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া'র প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী আব্দুর রহিম গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে (জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া) সংগঠনকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের জন্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন বনে ড্রামের ভেতরে মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিল। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ছাগল খাইয়্যা এলাকার পাহাড়ের ঢালে ঘন জঙ্গলের মধ্যে মাটির নিচে রক্ষিত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গুলিসহ বিষ্ফোরক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, আব্দুর রহিম অন্য একটি সংগঠনকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য অস্ত্র মজুদ করছিল। আগে একাধিকবার অন্য জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র-গোলাবারুদ সরবরাহ করেছিল সে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে যখন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া'র ট্রেনিং ক্যাম্পের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হলে আব্দুর রহিম একাধিকবার জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। পরে আরও বেশি অস্ত্র দেওয়ার কথা ছিলো, তার কিছু অংশ সে সংগ্রহ করেছিল। যখন যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয় তখন সে এসব অস্ত্র মাটির নিচে লুকিয়ে রাখে। সে ঢাকায় চলে আসে।

জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে এসব অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। তাকে নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন বনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে শারকীয়ার সদস্যদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইজ (আইইডি) তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল লাগতো। সেই কেমিক্যালও সরবরাহের কথা ছিলো। সে জঙ্গি সংগঠনে সরবরাহের জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক বুস্টার সংগ্রহ করেছিলো। তবে সে কিভাবে এটি সংগ্রহ করেছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তিনি বলেন, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র মাস্টারমাইন্ড ও সংগঠনের প্রধান শামিন মাহফুজ যখন পাহাড়ে সংগঠনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু করে তখন থেকে আব্দুর রহিম অস্ত্র সংগ্রহের কাজ করছিলো। তার সঙ্গে পূর্বে হওয়া অস্ত্র সরবরাহকারী মো. কবির আহাম্মদের যোগাযোগ ছিল। কবির সংগঠনের জন্য কাজ করতে রহিমকে প্রস্তাব দেয়। এতে রহিম তার প্রস্তাবে রাজি হয় এবং অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি সংগঠনের সদস্য সংগ্রহেও সে কাজ করে।

কীভাবে সে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করেছে, তার সঙ্গে আরও কে কে জড়িত রয়েছে এবং কোন কোন পর্যায় থেকে সে সহযোগীতায় পেয়েছে? এসব জানতে গ্রেফতার আব্দুর রহিমকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার (১৭ মে) ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলেও যোগ করেন সিটিটিসি'র প্রধান।

সিটিটিসির প্রধান বলেন, গত ২৩ জুন (২০২৩ সাল) 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র মাস্টারমাইন্ড ও সংগঠনের প্রধান শামিন মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পর শারক্বিয়ার প্রশিক্ষণ, অস্ত্রগুলোর উৎস, অর্থায়ন সম্পর্কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শামিন মাহফুজকে গ্রেফতারের আগে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. ইয়াছিন (৪০) এবং বান্দরবান থেকে অস্ত্র সরবরাহকারী মো. কবির আহাম্মদ (৫০) কে ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়।


তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কুকি চিনের পাশাপাশি স্থানীয় কবির আহাম্মদ ও আব্দুর রহিম শারক্বিয়ার সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে। সে কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকায় নও-মুসলিমদের নিয়ে কাজ করার আড়ালে 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' নামে সংগঠন গড়ে তুলে। নও-মুসলিমদের নিয়ে কাজ করার সময় স্থানীয় অস্ত্র সরবরাহকারী মো. কবির আহাম্মদ ও আব্দুর রহিম কে সে সংগঠনের দাওয়াত দেয়। মো. কবির আহাম্মদ ও আব্দুর রহিম সংগঠনের হয়ে কাজ করতে রাজি হয় এবং অস্ত্র ও গুলি সরবরাহ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। শামিন মাহফুজ ও অস্ত্র সরবরাহকারী কবির গ্রেফতার হলে এবং পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হলে আব্দুর রহিম ও তার সহযোগিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

পাহাড়ে প্রশিক্ষণ ক্যাস্পে অংশ নেওয়া কতজন পলাতক রয়েছে? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সবার তালিকা পেয়েছি। তালিকার প্রায় সবাই গ্রেফতার হয়েছে। শুধু তাই নয়, যারা প্রশিক্ষণের দাওয়াত পেয়েছে তাদেরও নাম পেয়েছি। তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পাহাড়ে বড় আতঙ্কের নাম আইইডি, তাহলে কি আব্দুর রহিম এসকল আইইডির সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে? আপনাদের কাছে কী তথ্য রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, এবিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার কাছে যেহেতু কেমিক্যাল পাওয়া গেছে এবং প্রশিক্ষণ ক্যাম্পেও আইইডি প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়েও তথ্য পেয়েছি। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি। সে আর কোথায় কোথায় কেমিক্যাল সরবরাহ করেছে রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

দেশের বাইরে অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে কি না? জানতে চাইলে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দেশে বা দেশের বাইরে তার কোনো নেটওয়ার্ক রয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বর্তমানে 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' সংগঠনের নেতৃত্ব কে দিচ্ছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মনে করি সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার মত কেউ নাই। এই সংগঠনের সকল শীর্ষ নেতাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। নতুন করে সংগঠিত হওয়ার মত কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।

গত মার্চ মাসে আইএসআইএস এর প্রধান হারিজ ফারুকী ভারতে গ্রেফতার হয়েছিল। তারা বলছেন- সে (হারিজ ফারুকী) বাংলাদেশে ছিলো? তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রয়েছে কি না রহিমের? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবিষয়টি আমি আগেই অস্বীকার করেছি। কারণ বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই যে যেখানে আন্তর্জাতিক জঙ্গী বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারবে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের কারও অবস্থানের প্রশ্নই আসে না।

;

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিজীবীরা রেশনিং ব্যবস্থা, বাসস্থানসহ অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পান। কিন্তু দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা এমন অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। তাই এই শিল্পের শ্রমিকদের বাচাঁর মতো মজুরিসহ মর্যাদাপূর্ন জীবন মানের কথা বিবেচনা করে শ্রমিকদের জন্য অনতিবিলম্বে রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরাম নামের একটি শ্রমিক সংগঠন।

শুক্রবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করার দাবিতে আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরামের উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে শ্রমিক নেতা আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরামের সভাপতি বিলকিস বেগম বলেন, তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকগণ দ্রব্যেমূল্যের বৃদ্ধির কারণে পুষ্টিকর খাবার, সন্তানের সু-শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছেনা। তাদের বাঁচার মত মজুরী, রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানাচ্ছি।

শ্রমিক নেতা বিলকিস বেগম বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ইন্সস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিস (বিলস) এর গবেষণায় ঢাকা এবং চট্টগ্রামের ৪৫৭ জন পোশাক শিল্পের শ্রমিক, ৬ জন মালিক, ৫ জন ম্যানেজার ও ৫ জন সুপারভাইজার এবং বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে জীবনযাত্রার মান যেমন বাড়ি ভাড়া, খাবার খরচ, চিকিৎসার খরচ ও অন্যান্য নিত্য নৈমিত্তিক প্রয়োজনীয় খরচের দিকটি বিবেচনায় রেখে এ সিদ্ধান্ত উপনীত হন যে, শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী ২৩,০০০/- টাকা দিতে হবে কিন্তু মজুরি বোর্ড তা করে নাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরাম ২০১৮ সাল থেকে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে আসছে। আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরাম বাংলাদেশে ১০০টিরও বেশী কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত এবং যার মধ্যে প্রায় ৭৪টি কারখানার ইউনিয়ন প্রতিনিধি রয়েছেন।

আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক উর্মি আক্তার বলেন, বর্তমান নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারনে জীবনযাত্রার মান একেবারেই নিম্নমুখী। এই কয় বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, বাড়ি ভাড়া, এবং জীবনযাত্রার ব্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। কিন্তু এ সেক্টরে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য বাঁচার মত মজুরি নির্ধারণ করা হয়নি।

উর্মি আক্তার বলেন, বর্তমানে একজন ব্যক্তির মাসিক খাবার খরচ বাবদ (যেমন -চাল, ডাল, আলু, তেল, লবন, সবজি ও মসলা) ৫,৩৩৯/- টাকা প্রয়োজন। যদি কোনো পরিবার পুরো মাসে একবারও মাছ, গরুর মাংস, খাসির মাংস ও মুরগি না খায় তাহলেও খরচ ৮,১০৬/- টাকা। এ খরচের মধ্যে খাবারের সঙ্গে এক কক্ষের ঘরভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুত বিল, চিকিৎসা ব্যয়, স্বাস্থ্য সুরক্ষার পণ্য ক্রয়, সন্তানের পড়ালেখার খরচ, যাতায়াত, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের বিল আছে। সাথে গণপরিবহনের ভাড়াও বেড়েছে। ফলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমে যাচ্ছে, সকল দৈনন্দিন খরচ মিটিয়ে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে যাচ্ছে।

সমাবেশে থেকে কিছু দাবী উত্থাপন করা হয়, দাবি গুলো হলো:

১) গামেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

২) বাঁচার মত মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।

৩) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৪) গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি পূর্নবিবেচনায় আনতে হবে।

৫) বছর বছর ঘরভাড়া বৃদ্ধি বন্ধ করে তা শ্রমিক বান্ধব করতে হবে।

৬) প্রতিটি কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

৭) সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

৮) শ্রমিকদের বাচ্চাদের সু-শিক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।

৯) বায়ারদের ন্যয়সঙ্গত ব্যবসানীতি মেনে ন্যায্য দামে পোশাক কিনতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরামের সভাপতি বিলকিস বেগম, সাধারন সম্পাদক উর্মি আক্তার এবং সহ-সাধারন সম্পাদক লিলি বেগম সহ আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরামের অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন কারখানার ইউনিয়নের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

;

বসুন্ধরা সিটির মোবাইল চোর সাগর গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর তেজগাঁও থানার বসুন্ধরা সিটির বেইজমেন্টের মোবাইল দোকানে ক্রেতা সেজে মোবাইল চুরি করত চোর মো. রাসেল প্রকাশ সাগর (২৮)। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের বেজমেন্টের একটি দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। 

তিনি বলেন, রাসেল দিনভর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে মোবাইল ফোনের দোকানে ক্রেতা সেজে ঢুকে, এরপর কৌশলে আইফোন চুরি করে পালিয়ে যায়। বসুন্ধরা শপিংমলের মোবাইল দোকানে সে রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল।

ওসি মহসীন আরও বলেন, রাসেল শুধুমাত্র আইফোন চুরি করে। পরে তা বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে দেয়। তার মূল টার্গেট বসুন্ধরা শপিংমলের মোবাইল দোকানগুলো। এসব দোকানে ফোনও প্রচুর থাকে, আবার ভিড়ও থাকে। এমন ভিড়ে ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকেন রাসেল। এরপর অন্য ক্রেতার চাপে সেলসম্যান একটু অন্যমনস্ক হলেই আইফোন নিয়ে পালিয়ে যায় সে। 

বৃহস্পতিবার ক্রেতা সেজে এপল গ্যাজেট নামে একটি দোকানে যায় রাসেল। পরে কৌশলে আইফোন নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা  করেন। কিন্তু তার এই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা দেখে ফেলেন সেলসম্যান। পরে  তাকে আটক করা হয়।

বিগত কিছুদিন ধরেই বসুন্ধরা শপিংমলের বিভিন্ন ফোনের দোকানে চুরি হচ্ছিল। অন্তত চারটি দোকানে ক্রেতা সেজে চুরির প্রমাণ মিলেছে রাসেলের বিরুদ্ধে।

;