উলিপুরে তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন ৩ গ্রাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
উলিপুরে তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন ৩ গ্রাম

উলিপুরে তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন ৩ গ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘চারদিন থাকি এটে (খোলা মাঠে) পরি আছি। গরিব মানুষ, জায়গা নাই কোটে যাই। আজকে বজরা বাজারের বাসিন্দা দূর সম্পর্কের জ্যাঠাতো ভাই টিটু মিয়া তার খুলিত (আঙিনায়) ঘর তোলার অনুমতি দিছে। দেখি ওটে যায়া আপাতত উঠি, তারপর মাবুদ দেখপে।’ চোখের পানি মুছতে মুছতে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন কালপানি বজরা এলাকার জহুর ব্যাপারীর ছেলে মোজাম্মেল হক (৬৫)। তার মতো অনেকেই হারিয়েছেন বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়েছে মানুষজন। কয়েকদিনে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ে ৩টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীগর্ভে চলে গেছে ১ কিলোমিটার পাকা সড়ক, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি মসজিদ, একটি মন্দির, ঈদগাহ মাঠ, বজরা পশ্চিমপাড়া দাখিল মাদরাসা, পুরাতন বজরা বাজার, একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় আড়াই শতাধিক বাড়িঘর।

সরেজমিন উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত সাতালস্কর, কালপানি বজরা ও পশ্চিম বজরা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন তাদের শেষ সম্বল ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। আবাদি জমি ও বসতবাড়ি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন।

এলাকাবাসী আব্দুল কাদের (৬৯), সাইফুল রহমান (৪৯),বায়েজিদ আলম (২৯) সহ অনেকে জানান, গত এক মাস যাবত ভাঙন শুরু হয়েছিল বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম কালপানি বজরা, সাতালস্কর ও কালপানি বজরা গ্রামে। উত্তরে জজমিয়ার বাড়ি থেকে দক্ষিণে রোস্তম মৌলভীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দু'কিলোমিটার এলাকা ব্যাপী ভাঙন শুরু হয়েছে। এরমধ্যে গত চারদিনে হঠাৎ করে ভাঙনের তীব্রতার ফলে বজরা পশ্চিম পাড়া দাখিল মাদরাসা, পুরান বজরা বাজার, ২টি মসজিদ, ১টি মন্দির, ২টি ঈদগাহ মাঠ, গাছপালা ও ২ শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তারা আরও বলেন, ভাঙনের তীব্রতা এমনি ভয়াবহ ছিল যে গত মঙ্গলবার কমিউনিটি ক্লিনিক ও অর্ধশতাধিক বাড়ি মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কোন রকমে প্রাণ বাঁচিয়েছেন তারা।

বজরা পশ্চিম পাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার রেফাকাত হোসেন জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে এখানে মাদরাসাটি পরিচালনা করে আসছি। গত পরশুদিন থেকে হঠাৎ করে তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনে মাদরাসার অর্ধেক চলে গেছে। বাকিটা ভেঙে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

বজরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এনামুল হক জানান, গত চারদিনে তিস্তা নদীর ভাঙনে সাতালস্কর, কালপানি বজরা ও পশ্চিম বজরা মৌজা নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়া প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সরকারি কোন সহযোগিতা এখনও পাওয়া যায়নি।

বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিতভাবে অবহিত করলেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ভাঙনে বাস্তুহারা মানুষগুলো কষ্টে দিন পার করছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার জানান, ওই ইউনিয়নের জনপ্রিতিনিধিদের ভাঙন কবলিতদের দ্রুততম সময়ে তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা পেলেই সহযোগিতা শুরু করা হবে। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আমরা ভাঙনের বিষয়গুলো আপডেট করেছি। বাজেট না থাকায় তারা মুভমেন্ট করতে পারছে না বলে জানিয়েছে। আর খোলা আকাশের নিচে কেউ থাকলে সেটা আমার নজরে আসেনি। আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২০-২৫ বছর পূর্বে মুল নদীর স্রোত ছিল এই এলাকায়। গ্রামগুলোর উজানে নদী শাসনের ব্যবস্থা নেয়ায় এখানে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

   

স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখান না, তিনি অসম্ভব স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন। কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল, ঢাকা মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সব যেন আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে আনোয়ারা থেকে চট্রগ্রাম শহরে ৭-৮ মিনিটে পৌঁছে যাই আমরা।

শুক্রবার (১০ মে) চট্রগ্রামের আনোয়ারায় মাহাতা পাটনীকোঠা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধব্বিধস্ত দেশ পুনর্গঠনে সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহণ ও উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সকল বাঁধা অগ্রাহ্য করে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরূদ্ধার, সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণে কঠিন সংগ্রাম করেন। এদেশের মানুষের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য, প্রজন্মকে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য তিনি নিরলয়া কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ প্রতিটি ক্ষেত্রকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে মানবকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে ৯০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ, বিনামূল্যে বই বিতরণ, কারিগরি শিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি এসবই জননেত্রী শেখ হাসিনা এটা সম্ভব করেছেন। এ সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সংক্রান্ত যে দাবি-দাওয়া আজকে এসেছে, তা পূরণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

মাহাতা পাটনীকোঠা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ ইদ্রিছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দীন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মোহাম্মদ শহীদুল হক রাসেল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন মাহমুদ, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ডিএমডি স্বপন দাশ গুপ্ত, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশোলী স্বপন দাশ, ডা. দেবাশীষ দত্ত ও আবু তাহের মাহমুদ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীগণ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এরপর, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান চট্রগ্রামের আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে বনবীথি সেনগুপ্তা-এঁর ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

;

শেরপুরে ট্রাক চাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বগুড়ার শেরপুরে ঢাকাগামী ট্রাক চাপায় অজ্ঞাত এক পথচারী নারী (৪৬) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধা ৭টার দিকে শেরপুর বাসষ্ট্যান্ডের ফলপট্টি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, অজ্ঞাত ওই নারী নিয়মিত বাসষ্ট্যান্ড এলকায় ভিক্ষা করতেন এবং করতোয়া মার্কেটের সামনে রাতে ঘুমাতেন। সন্ধা সোয়া ৭টার দিকে রাস্তার পূর্বপাশ থেকে পশ্চিম পাশে করতোয়া মার্কেটে যাওয়ার জন্য রাস্তা পারা হওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

এ বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাশেম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ায় চালক-হেলপার কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ট্রাকটি চিহিৃতকরণসহ চালক-হেলপারদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

;

নিখোঁজ মালয়েশিয়ান নাবিকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিখোঁজের একদিন পর মালেশিয়ান নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে কিছুটা দূরে ভেসে থাকা মরদেহটি খুঁজে পায় কোস্ট গার্ডের জাহাজ ‘জয় বাংলা’।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের কর্মকর্তা (গণমাধ্যম) লে. কমান্ডার সুয়াইব বিকাশ।

এর আগে বুধবার (৮ মে) সকাল সোয়া আটটার দিকে বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা জাহাজের ডেকের ওপর কাজ করার সময় ভুলবশত নিচে পড়ে যান।

নিহত নাবিকের নাম মুহাম্মদ ঈসা বিন মুহাম্মদ বীরমোহন (৩১)। তিনি মালেশিয়ান নাগরিক, এমটিটি সাপানগারে সাধারণ নাবিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

লে. কমান্ডার সুয়াইব বিকাশ জানান, এমটিটি সাপানগারে কর্মরত নাবিক মুহাম্মদ ঈসা বিন মুহাম্মদ বীর মোহন ৮ মে সকাল সোয়া আটটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজের ডেকের ওপর কাজ করার সময় পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ৮ মে হতে নিখোঁজ নাবিককে উদ্ধারের জন্য জাহাজ ও বোট নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে উদ্ধার অভিযান কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ জয় বাংলা বহির্নোঙর হতে কিছু দূরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে। পরবর্তীতে মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

;

রামগঞ্জে এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে তিনি পৌর মেয়র, পৌর কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুর (মোটরসাইকেল) পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এমপির বরাত দিয়ে রফিক নামের তার পিএস এলজিইডির কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দের লোভ দেখিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ওই প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।

এছাড়া নির্বাচনকালীন এলাকায় এমপিদের উপস্থিত থাকা নিয়ে বিধিনিষেধ থাকলেও আনোয়ার খান তা মানতে নারাজ। আগামি সপ্তাহে তিনি নিজ মালিকীয় আনোয়ার খান ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল উদ্বোধন করতে ৩ দিনের জন্য নির্বাচনী এলাকায় আসবেন। তবে মূল কারণ হচ্ছে মোটরসাইকেলের প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে নির্বাচনী কাজ সমাধা করতে আসবেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৭টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাও রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এমপি আনোয়ার খান নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদেরকে দেওয়ার বাচ্চুর ভোট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি এমপি এলজিইডির কাবিটা প্রকেল্পের ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। ওই বরাদ্দের লোভ দেখিয়ে এমপি তার পিএস রফিককে দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মোবাইলফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে কল করে বাচ্চুর পক্ষে ভোট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় ২০১৬ অনুযায়ী এমপি যদি নির্বাচনী এলাকার ভোটার হন তাহলে শুধু ভোট দিতেই ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন। কিন্তু এমপি আনোয়ার খান তা অমান্য করে ৩ জন্য ঢাকা থেকে রামগঞ্জে আসছেন মোটরসাইকেলের প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ে বসে নির্বাচনী সমাধা করার জন্য। যদি তিনি কারণ দেখিয়েছেন তার নিজ নামে আনেয়ার খান ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল উদ্বোধনের। কিন্তু তার মূল লক্ষ্য জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ে বসে দেওয়ার বাচ্চুর পক্ষে নির্বাচনী কাজ সমাধা করা।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ইউপি চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলরসহ ১০ জন প্রতিনিধি জানায়, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের আগেই এমপি আনোয়ার খান জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে অনেকেই জাননি। যারা গিয়েছে তাদেরকে দেওয়ান বাচ্চু পক্ষে ভোট করার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি তার পিএস রফিককে দিয়েও হোয়াটসঅ্যাপে কল করে বাচ্চুর পক্ষে ভোট করার জন্য নির্দেশ দেন। বাচ্চু পক্ষে ভোট করলে কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এমপি আনোয়ার খানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. রফিক বলেন, আমি কোন জনপ্রতিনিধিকে কল দিইনি। অভিযোগটি সত্য নয়।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানকে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক বলেন, এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের লিখিত কোন অভিযোগ আমার কাছে পোঁছায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;