‘নারী পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেশে-বিদেশে কাজ করছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা পারিবারিক সহিংসতা, সাইবার বুলিং, বাল্যবিবাহ রোধে তাদের কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের বাইরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আমাদের নারী পুলিশ সদস্যরা সকলের প্রশংসা অর্জন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের ভারপ্রাপ্ত রেক্টর ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী। বিপিডব্লিউএন'র সভাপতি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি আমেনা বেগম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। প্রশিক্ষণের অনুভূতি ব্যক্ত করেন গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডা. নন্দিতা মালাকার।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে নারীরা সামনে ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে সেবা দিয়েছেন, তথ্য আদান প্রদান করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অসামান্য অবদান রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর দৃশ্যমান অগ্রযাত্রার কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মেয়েরা জাগছে। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। কৃষিতে সাফল্যের ষাট ভাগ অবদান নারীর, পোশাক শিল্পে এক চতুর্থাংশ নারীরা কাজ করছেন। সমাজে মেয়েদের দৃশ্যমানতা অনেক পাল্টেছে, আরও পাল্টাতে হবে। নারী যত বেশি এগিয়ে যাবে ততবেশি সমাজ, দেশ এগিয়ে যাবে।

প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের মূল্য অনেক। তিনি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতাকে আরও শাণিত করে পেশাদারিত্ব বাড়ানোর আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন স্টাডিজ বিভাগের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের নারী সদস্যগণ অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।

   

মিরপুরে শিশু র্ধষণ, তিন কিশোর গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুর ১ সনি সিনেমা হলের পাশে ভারসাম্যহীন এক শিশুকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ভাসমান ও মাদকাসক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন (১৭), মো. সায়েম (১৬) ও মো. আলহাজ (১২)।

এর আগে, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। এদিকে গণধর্ষণের কারণে গুরুত্বর আহত শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী সাব্বির আহম্মদ।

তিনি বলেন, গ্রেফতার তিনজনই মানসিক ভারসাম্যহীন ১১ বছরের মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। আসামীরা এলাকার ভবঘুরে শিশু কিশোর। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের কম। ভুক্তভোগী মেয়ে শিশুটি পরিবারের সঙ্গে রূপনগর এলাকায় বাস করে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে নিখোঁজ হয় মেয়েটি। পরদিন সনি সিনেমা হলের কাছে একটি ঝোঁপের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পথচারীরা এ অবস্থা দেখে ৯৯৯ এ কল দিলে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেয়েটি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

;

বাইসাইকেলকে রেসিং বাইক ডুকাটিতে রূপ দিলেন রানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
রেসিং বাইক ডুকাটি

রেসিং বাইক ডুকাটি

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের বাইসাইকেলকে বিশ্বের অন্যতম সেরা রেসিং বাইক ডুকাটিতে রূপ দিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন সোহেল রানা নামের এক যুবক। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পিঠাসূতা গ্রামের বাসিন্দা।

প্রতিদিন এলাকা ও আশপাশ থেকে রানার বাইক দেখতে আসছেন অনেকে। বাইকের সঙ্গে তুলছেন সেলফিও।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রানার বাড়িতে গিয়ে রানা ও তার পরিবারের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানায়, রানার স্বপ্ন ছিল মোটরসাইকেল কেনার। কিন্তু অভাব অনটনের সংসারে সে স্বপ্ন বাস্তব করা দুঃসাধ্য। তবে ইচ্ছে থাকলে দুধের স্বাদ ঘোলেও যে মেটানো যায় তারই যেন উদাহারণ রানার ডুকাটি। আর এ কাজে রানের পাশে থেকে সহযোগিতা করেন প্রতিবেশী মাহফুজুল ইসলাম ইকবাল।

সাইকেল থেকে মোটরসাইকেলের অবয়ব তৈরি করতে প্রথমেই লাগানো হয়েছে ইলেকট্রিক বাইকের ব্যাটারি। পরে বিভিন্ন তার ও রড দিয়ে এবং বামির্জ (প্লাস্টিক জাতীয়) দিয়ে ডুকাটি বাইকের বডি তৈরা করা হয়।

সাত হাজার টাকার বাইসাইকেলে আরও প্রায় ২৩ হাজার টাকা খরচ করে রূপ দিয়েছেন মোটরসাইকেলে। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি এই মোটরসাইকেলটি দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। তার এমন সৃষ্টিকর্মে খুশি সবাই।

সোহেল রানা জানান, প্রায় দেড় মাস পরিশ্রম করার পর তার নিজ বাইসাইকেলটিকে মোটরবাইকের আদলে রূপ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই সময়ে প্রতিদিন কাজের ফাঁকে সময় বাঁচিয়ে মোটরসাইকেল তৈরিতে সময় দেন তিনি। আর এখন এই মোটরবাইক দিয়েই বাড়ি থেকে বিভিন্ন কাজকর্মে যাচ্ছেন, বাজার করেন ঘুরতেও বের হন। মাত্র ১০ টাকার বিদ্যুৎ খরচে ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছেন বলে জানান।

তিনি আরও জানান, আর্থিকভাবে যদি কোন সাহায্য আসে তাহলে আরও আধুনিক ও দীর্ঘস্থায়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব।

প্রয়াত স্কুল শিক্ষক দুলাল মিয়ার চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তৃতীয় রানা। ভূগোল বিষয়ে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তর পড়ছেন। টিউশনি করার পাশাপাশি বড় ভাইদের ফিশারি ও ব্যবসায় সহযোগিতা করেন রানা।

ছোটবেলা থেকেই উদ্ভাবনী শক্তি প্রকট রানার। ফেলে দেওয়া নানা জিনিস থেকে বানিয়ে ফেলতেন খেলনা। নিজের তৈরি করা খেলনা দিয়েই খেলতেন তিনি। তার দিয়ে রোবট, ল্যাম্বারগিনি গাড়ির আদলে গাড়ি, নৌকা, বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরি করছেন তিনি। যার সব কিছুই শখের বসে।

রানার মা সায়েদা খাতুন বলেন, ছোট বেলা থেকেই রানা পড়া ফাঁকি নিয়ে নানা জিনিস বানাতো। এ কারণে তার বাবা ও আমি বকাঝকা করেছি অনেক। আমার ছেলে সাইকেলকে বাইক বানিয়েছে, মানুষ দেখতে আসছে খুব ভালো লাগছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, অনেক ধরনের প্রতিভা গ্রামে লুকিয়ে থাকে। রানার প্রতিভা দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হতে পারে। সরকারি পর্যায় থেকে তাকে সহযোগিতা করলে ভালো কিছু হতে পারে।

;

প্রবাসীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রবাসীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার

প্রবাসীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম আইডির নিরাপত্তার দুর্বলতা ঠিক করে দেওয়া, হ্যাক হওয়া আইডি উদ্ধার করে দেওয়ার নামে নিজেরাই বিভিন্ন ব্যক্তির আইডির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতেন। এরপর আইডিতে থাকা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকা। এছাড়াও আইডিতে যুক্ত থাকা প্রবাসীর স্বজনদের কাছে ম্যাসেজ দিয়ে মায়ের অসুস্থতার কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিল্যান্সার ও ফেসবুক বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে প্রতারণার করে আসছিলেন শামীম আহমেদ জয় (২৩) এবং মোহাম্মদ স্বাধীন আহমেদ (১৮)। তারা আপন দুই ভাই। তাদের টার্গেটে থাকত ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)’র প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি কানাডিয়ান এক প্রবাসীর আইডির নিরাপত্তা ত্রুটি ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেন জয়। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার হাতিয়ে নেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী তার বাবার মাধ্যমে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)’র সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ডেমরা থানার টেংরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ১টি সিপিইউ, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি রাউটার ও ১২টি ভুয়া এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। পরে তার দখলে থাকা প্রায় ৫০০ দেশি-বিদেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া যায়।

শামীম আহমেদ জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, একটা সময়ে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে হ্যাক হওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের কাজ করতো শামীম। ফ্রিল্যান্সার থেকে ২০২৩ সাল থেকে প্রতারণা শুরু করেন সে। শামীম প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ঐ অ্যাকাউন্টের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা পরিচিত ব্যক্তিদের মেসেঞ্জারে “আমার মা স্ট্রোক করেছে। জরুরী দরকার। তিন হাজার ডলার পাঠাও।” এমন সব বার্তা পাঠিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা শুরু করে। হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেও আদায় করা হতো অর্থ। এমনকি হ্যাক করা আইডি থেকে গুরুত্বপূর্ণ-স্পর্শকাতর তথ্য, গোপন ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইলিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

এছাড়াও ঐ অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা বন্ধুদের টার্গেট করে মেসেঞ্জারে তাদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অথবা অ্যাকাউন্টের সমস্যা সমাধান করে দেয়ার কথা বলে একটি মোবাইল নাম্বার অথবা একটি ইমেইল অ্যাড্রেস অ্যাড করার অনুরোধ করতো। ভুক্তভোগী মোবাইল নাম্বারটি অথবা ইমেইল অ্যাড্রেসটি অ্যাড করলে শামীম আহমেদ জয় টার্গেট অ্যাকাউন্টটিতে “ফরগেট পাসওয়ার্ড” অপশনটি ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিত। এরপর একটি লেমিনেটিং মেশিন ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের নামে ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করে ফেসবুকে সাবমিট করে হ্যাককৃত অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিত। এছাড়াও হ্যাককৃত অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে দেয়ায় হুমকি দিয়েও অনেক ভুক্তভোগীকে অর্থ দিতে বাধ্য করত।

ব্লাকমেইল ও প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে টাকা আনতেন। এজন্য তারা ব্যবহার করতেন ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র। শামীমের হাতিয়ে নেওয়া ডলার তার ছোট ভাই স্বাধীন আহমেদ নিজের এলাকা থেকে দূরে গিয়ে ঘুরে ঘুরে তুলতেন।

অতিরিক্ত কমিশনার আসাদ আরও বলেন, শামীমকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের প্রায় ৫০০ ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া গেছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই হ্যাকারের টার্গেট। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৫০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে শামীম। প্রত্যেক ভূক্তভোগীর কাছ থেকে সর্বনিম্ব ১০০০ হাজার ডলার নিতো সে।

এক প্রবাসীর ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় ওই প্রবাসীর বাবা ডিএমপির উত্তরা পুর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

;

প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু ও বয়স্কদের প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সাভারে সিআরপি নার্সিং কলেজের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা আরও এক সপ্তাহ স্কুলগুলো বন্ধ রাখার কথা বলেছি। আমাদের কিছু নির্দেশনা আছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সেগুলো সব জায়গায় দেওয়া হবে। যারা বয়স্ক ও শিশু তারা যেন প্রয়োজন না থাকলে ঘরের বাইরে না যায়।

স্বাস্থ্যখাতে কি কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া। প্রত্যেকটা হেলথ কমপ্লেক্সকে, কমিউনিটি ক্লিনিককে উন্নত করতে হবে, যেন সাধারণ মানুষ গ্রামেই চিকিৎসা পায়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিআরপি প্রতিষ্ঠাতা ড. ভ্যালেরি টেইলর, সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

;