স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অর্থ খরচেও নিতে হবে অনুমোদন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অর্থ খরচেও নিতে হবে অনুমোদন

স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অর্থ খরচেও নিতে হবে অনুমোদন

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অর্থ খরচেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মন্ত্রিসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শতভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো স্বায়ত্তশাসিত, লেজিসলেটিভ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয়ের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সম্মতি নেওয়ার বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া সরকারি কর্মচারী আইনে একটা জিনিস পরিষ্কার ছিল না। আইনে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্থনৈতিক বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু স্বায়ত্তশাসিত, লেজিসলেটিভ বডি যেগুলো, যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এদের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিষ্কার ছিল না। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। তারা বলেছিল, তাদেরও বেশিরভাগ ব্যয় সরকারি তহবিল থেকে হয়। ‍সুতরাং তাদের বিষয়েও অর্থ বিভাগের একটা অথরিটি থাকতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংবিধানের ৮৪, ৮৫ ও ৮৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রের যত ব্যয় আসবে সব একটা অ্যাকাউন্টে আসবে, একটা অ্যাকাউন্ট থেকেই খরচ করা হবে। যেটাকে আমরা ট্রেজারি বলি। এ ট্রেজারির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো অর্থ বিভাগ। সুতরাং খরচের ক্ষেত্রে যেন অর্থ বিভাগের এখতিয়ার থাকে। যদি কোনো করপোরেশন বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো বেতন-কাঠামো ঠিক করে নেয়, তাহলে তো হবে না। সেজন্য যেকোনো অর্থনৈতিক বিষয় হলে অর্থ বিভাগের কাছ থেবে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে নিতে হবে। এজন্যই আইনটির মধ্যে এই ছোট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে।

সরকারি কর্মচারী আইন হওয়ার আগেও এ বিধান ছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগেও এটা বাধ্যতামূলক ছিল, এখন আইনগত একটা ভিত্তি দেওয়া হলো।

   

সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব: নানক

সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব: নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) মোহাম্মদপুর টাউন হলে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও মিলাদ-দোয়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি সরকারের বিরোধিতা করতে করতে তাদের নিজের খাসলতে পরিণত হয়েছে। যতদিন না তারা এটি থেকে বের হতে না পারবেন, লন্ডনে থাকা তারেক জিয়াকে পরিত্যাগ করতে না পারবেন ততদিন তারা রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই থাকবেন।

বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের এ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, আজকে যারা বড় বড় কথা বলেন, ঘুম থেকে উঠেই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনার শাসনামলের চেয়ে কোন আমল ভাল ছিল এটা আমার মঈন খানদের (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানকে) প্রতি প্রশ্ন।

১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ ঘটনার পর তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জার্মানির ফ্রাংকফুটে বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের সঙ্গে দেখা হয়। সেখানে তারা সেই সরকারের প্রতি তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে অনাস্থা জানাতে বললেও সেই প্রতিবাদটুকু বা অনাস্থা জানাতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

এসময় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে পাটমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির সুবাধে আমি ওয়াজেদ মিয়ার একজন অত্যন্ত স্নেহ ধন্য মানুষ ছিলাম। তার সঙ্গে অনেক স্মৃতি কথা রয়েছে। স্নেহ ধন্য মানুষ হিসেবে আমি গর্বিত তার শেষ যাত্রায় মরদেহের সঙ্গে সঙ্গী ছিলাম। আমি অনেক কথা জানি। তিনি আমাদের কাছে নিবৃত্ত জ্ঞানী, পন্ডিত ও সুধীজন ছিলেন।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে ক্ষমতার মোহ কখনোই স্পর্শ করতে পারেনি মন্তব্য করে নানক বলেন, তার মধ্যে কোন আত্ম-অহমিকা ছিল না। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কারাভোগও করেন।

স্বরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও পাঠাগার পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নূরুন নবী ভোলা।

স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন চেয়ারম্যান ড. মো: শৌকত আকবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোঃ-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ-সার্ভিসেস) ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান সিদ্দীকী প্রমুখ।

;

রংপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় লাভলু মিয়া ওরফে লয়েট (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মোস্তফা কামাল।

দণ্ডপ্রাপ্ত লাভলু মিয়া ওরফে লয়েট উপজেলার জাফরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাফরপুর দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন লাভলু মিয়া ওরফে লয়েট। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর লয়েটকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে লয়েটের মা ও বাবা ওই মেয়ের বাড়িতে গিয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকিসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এমনকি তার নামে নানা রকম কুৎসা রটাতে থাকেন। একপর্যায়ে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বিষপান করে মেয়েটি। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মনছুর আলী বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে লয়েটের বাবা মতিয়ার রহমান ও মা লাভলী বেগমকে আসামি করে ৩০ সেপ্টেম্বর আরও একটি মামলা দায়ের করেন। যা এখনও বিচারাধীন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রফিক হাসনাইন বলেন, রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।

;

সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে বাড়ির পাশে খালে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শিমুল হোসেন নামে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের এশার আলী কাগুজির ছেলে এবং রামনগর জামেয়া কাদেরিয়া তাহেরিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, মাদরাসা ছাত্র শিমুল হোসেন বাড়ির পাশের খালে মাছ ধরতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ আকাশে কালো ঘন মেঘে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা আনুমানিক সোয়া ১টার দিকে একটি বিকট শব্দে আকস্মিক বজ্রপাত ঘটে। ছেলে শিমুল হোসেন বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে তার মা শিরীনা বেগম গিয়ে দেখে তার ছেলে খালের বাঁধে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার মোস্তাফিজের নিকটে নিয়ে গেলে তিনি মৃত ঘোষণা করেন।

;

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে থাকা হাজতির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে থাকা মো. মহিউদ্দিন (৪২) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মহিউদ্দিন জেলার কসবা উপজেলার কুটির আমিন উদ্দিনের ছেলে। সে মাদকের মামলায় কারাগারের হাজতে ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, একমাস আগে মাদকের একটি মামলায় মহিউদ্দিনকে গ্রেফতারের পর জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে ও পরে কারাগারের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি দুপুরের দিকে মারা যান। নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

;