‘বই পৌঁছতে দেরি হলে ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে পড়াবেন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যবই পাওয়া না গেলে শিক্ষকরা ওয়েবসাইট থাকা বই ডাউনলোড করে পড়াতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, “যেসব শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া বাকি ছিল, তাদের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। কাজেই কোথাও যদি বই পৌঁছতে দেরি হয়ে থাকে অবশ্যই আমি তা দেখবো। ওয়েবসাইটে প্রতিটি বই দেওয়া আছে, যদি বই পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটে থাকে, তাহলে শিক্ষকরা সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন।”

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে এলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, “শুধু জ্ঞানভিত্তিক নয়, দক্ষতাভিত্তিক, সফট স্কিল ও মূল্যবোধ শেখার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট নাগরিক হয়ে উঠবে।”

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী সুখি রাষ্ট্র হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “সেটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের সমস্ত সেবা, সমস্ত কাজ এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি যা কিছু আছে সকল প্রযুক্তি নিয়ে মানুষ দক্ষ হয়ে উঠবে। যত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আছে, যত সেবার মান আছে, তা নিশ্চিত হবে। কাজেই স্মার্ট বাংলাদেশ মানে সেই বাংলাদেশ, যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিক এই স্মার্ট নাগরিক হবেন।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন (এসডু) পাটওয়ারী, অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূইয়া, চাঁদপুর কোর্টের পিপি অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী প্রমুখ।

আরাভ খানকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি আলোচিত রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

তিনি বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য ইন্টারপোলের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। আমি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি যে, তার যে নামে আমরা চার্জশিট দিয়েছি, ওই নামে রেড নোটিশ জারির একটা বিষয় (আবেদন/অনুরোধ) দিয়েছি। এটা ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, কীভাবে কাজ করছি সেটা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছিনা তদন্তের স্বার্থে।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানার এনায়েতবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এসব কথা জানান।

এ সময় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, দেশ থেকে যদি কোনো আসামি পলায়ন করে বিদেশে চলে যায়, যখন আমরা তার সম্পর্কে মোটামুটি কিছু তথ্য পাই, তখন আমরা একটা রেড নোটিশ জারি করি। এটা ইন্টারপোল হেড কোয়ার্টারে যায়। আমি যেটা খবর পেয়েছি যে, এটা তারা অ্যাকসেপ্ট করেছে।

সম্প্রতি আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আরাভ খানের একটি সোনার দোকান উদ্বোধন হয়েছে। সেটি উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে উড়ে যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, অভিনেত্রী ফারদিন দীঘি, ইউটিউবার হিরো আলমসহ বিনোদন জগতের আরও কয়েকজন। এ নিয়ে শুরু হয় বেশ সমালোচনা।
তারকাদের ডেকে নিয়ে আলোচনায় আসা আরাভ খানের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করতে ইন্টারপোলে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে চিঠিতে আরাব খান নয়, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আসামির যে নাম আছে অর্থাৎ ‘রবিউল ইসলামের’ নামটি দেয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান বলেন, যে নামে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছি, সে নামে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে বলেছি। শুনেছি তারা সেটা একসেপ্ট করেছে।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম নিজের নাম, জাতীয়তা পরিবর্তন করে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। এ পাসপোর্টেই পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। দুবাই পাড়ি জমিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আলাদিনের চেরাগ’।

দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। মূলত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিউল ইসলাম। তবে ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন আরাভ খান।

পুলিশ বলছে, এ আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুনোখুনি ও অপহরণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কক্সবাজার জেলা পুলিশ, এপিবিএন, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, ট্রিপলআরসি সবাই মিলে আমরা কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী প্রত্যেক্যের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

;

টিউবওয়েলের পানিতে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে চুরি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে টিউবওয়েলের পানিতে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দুই পরিবারের ৯ সদস্যকে অচেতন করে নগদ প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা, কাপড় ও চাউলসহ সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস এমনকি ফল ও সবজিও নিয়ে গেছে বলে জানা যায়।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিভাস সরকার নুপুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। রোববার (১৯ মার্চ) রাতে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে হাতেম আলী খানের দুই ছেলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত রোববার দুপুরের দিকে সাহায্য চাওয়ার জন্য দুই মহিলা ওই বাড়িতে যান। হাত-মুখ ধোয়ার কথা বলে তারা দুইটি টিউবওয়েল ব্যবহার করেন। সকলের আড়ালে তারা টিউবওয়েলের ভেতরে পানিতে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেন। পরবর্তীতে সেই টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করে দুই বাড়িতে দুপুরের রান্না ও পান করে।

এদিকে নেশামিশ্রিত পানি পান করায় বিকালে মো. মিলন খান, মোমিন খান, জিসান, মেহেদী, নিলুফা, ঝুমা, লিমা, মিথিলা, মিনাসহ দুই পরিবারের ৯ সদস্য অসুস্থ অনুভব করে। পরে রাতে অচেতন হয়। এ সুযোগে চোরচক্র সিঁধ কেটে তাদের ঘরে প্রবেশ করে নগদ প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা, কাপড়, চাউলসহ সর্বস্ব লুটে নেয়াসহ ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস এমনকি ফল ও সবজিও নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

;

গৌরীপুরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে ছুরিকাঘাত



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
গৌরীপুরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে ছুরিকাঘাত

গৌরীপুরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে ছুরিকাঘাত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (একাংশ) মোফাজ্জল হোসেনকে (২৭) ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে গৌরীপুর পৌর শহরের পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে মোফাজ্জল হোসেন পৌর শহরের কলাবাগান মহল্লা থেকে পায়ে হেঁটে উপজেলা পরিষদের দিকে আসছিলেন।
পথিমধ্যে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে আসতেই দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মোফাজ্জলের বাম হাতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোতাসসের ফুয়াদ বলেন, মোফাজ্জলের হাতে আঘাতের ক্ষত দেখে মনে হচ্ছে রগ কেটে যেতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।

মোফাজ্জলের বাবা গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, কিছুদিন আগে একটি পক্ষ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আমাকে ছুরিকাঘাত করে। ধারণা করা হচ্ছে ওই পক্ষটি আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেছে।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;

স্বর্ণের লোভে শিশুকে হত্যার দায়ে নারীর আমৃত্যু কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কানের দুল ছিনিয়ে নিতে পপি সাহা নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে রুনা আক্তার আঁখি (২৫) নামে এক নারীকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলার আসামি রুনার স্বামী এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা ও তার স্বামী এমরান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত রুনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ওই নারীকে পূর্বে একটি হত্যা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। দুটি হত্যা মামলার রায়ে তাকে কারাভোগ করতে হচ্ছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা জেলার রায়পুর উপজেলার পূর্ব কেরোয়া গ্রামের এমরানের স্ত্রী। ভিকটিম পপি উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি রুনা আক্তার আঁখি এবং তার স্বামী এমরান ঘটনার তিনমাস আগ থেকে রায়পুর উপজেলার সাগরদি গ্রামের ফারুক হওলাদার বাড়ির কাশেম হাওলাদারের একটি ঘর ভাড়া নেয়। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে আড়াইটার দিকে রুনা পাশ্ববর্তী নেপাল সাহার বাড়ির নির্মল সাহার স্কুল পড়ুয়া শিশুকন্যা পপি সাহাকে তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। এসময় শিশুর কানে থাকা ৩ আনা ওজনের স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয় রুনা। এতে শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে রুনা তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে তার মৃতদেহ খাটের নীচে লুকিয়ে রাখে। ঘটনার পর রুনার স্বামী এমরান হোসেন ঘরে আসলে তার স্ত্রী তাকে হত্যার ঘটনাটি জানায়। এতে সে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করে।

অন্যদিকে, দীর্ঘ সময় শিশুটির কোন খোঁজ না পেয়ে বাড়ির লোকজন এবং স্বজনেরা খোঁজ চালায়। ওই বাড়ির এক নারী রুনার ঘরে পপির মৃতদেহটি দেখতে পায়। পরে রায়পুর থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং রুনা ও তার স্বামী এমরানকে আটক করে। রুনা হত্যার ঘটনাটি পুলিশের কাছে স্বীকার করে। কানের দুল ছিনিয়ে নিতে সে শিশুটিকে হত্যার কথা জানায়। ওইদিন শিশুটির মা ববিতা রানী সাহা (৩২) রায়পুর থানায় রুনা এবং তার স্বামী এমরানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দেন। এতে রুনাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এবং তার স্বামীকে হত্যার তথ্য গোপনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি রুনাকে দোষী সাবস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় এবং তার স্বামী এমরানকে খালাস দিয়েছেন।

রায়ের পর মামলার বাদি ববিতা রানী সাহা বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার মেয়েকে রুনা গলাটিপে হত্যা করেছে, তার ফাঁসির রায় হলে আরও খুশি হতাম।

এদিকে, ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর গ্রামের রোজিনা আক্তার (১৫) নামে এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে দোষী সাবস্ত হয় রুনা আক্তার আঁখি। ২০২২ সালের ১৮ মে একই আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি রুনা আক্তার আঁখিসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। মামলার প্রধান আসামি আমির হোসেন কিশোরী রোজিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করায় এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। হত্যার পর দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা ওই মাদরাসা ছাত্রীর সাথে থাকা তার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। স্বর্ণের লোভে সে দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডটিও ঘটায়।

;