গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়ে ৭৩তম বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। ২০২২ সালের গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ এখন ৭৩তম।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ সূচক প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ১৬৭টি দেশ ও ২টি অঞ্চল নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ২০২২ সালের এই সূচক।

সূচকে ১০ এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ৯৯। ২০২১ সালে একই স্কোর নিয়ে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। এর আগের বছর ছিল ৭৬তম। এ হিসেবে সূচকে ধারাবাহিক উন্নতির পথে রয়েছে বাংলাদেশ।

সূচকে পাঁচটি মূল বিষয়ের আলোকে বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর গণতন্ত্রের অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিষয়গুলো হলো নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক স্বাধীনতা।

সূচকে দেশ ও অঞ্চলগুলোকে চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা।

এবারের সূচকে পূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে রয়েছে ২৪টি দেশ। ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে ৪৮টি দেশ। হাইব্রিড শাসনব্যবস্থায় ৩৬টি দেশ। কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় ৫৯টি দেশ।

বাংলাদেশ এবারও হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিভাগে রয়েছে। ১০-এর মধ্যে যেসব দেশের স্কোর ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে, তারাই এই বিভাগে রয়েছে। এই বিভাগে সবার ওপরে বাংলাদেশ। সবার নিচে মৌরিতানিয়া। সূচকে দেশটির অবস্থান ১০৮তম, স্কোর ৪ দশমিক শূন্য ৩। এই বিভাগের অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভুটান (৮৪তম), ইউক্রেন (৮৭তম), উগান্ডা (৯৯তম), নেপাল (১০১তম), পাকিস্তান (১০৭তম)।

হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এমন ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। এ শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দল ও বিরোধী প্রার্থীদের ওপর সরকারের নিয়মিত চাপ থাকে। এই বিভাগে থাকা দেশগুলোর বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়। সাংবাদিকদের হয়রানি ও চাপ দেওয়া হয়। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ এই ধরনের শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য।

এবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে, স্কোর ৯ দশমিক ৮১ স্কোর। শীর্ষ দশে আরও আছে নিউজিল্যান্ড, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।

গণতন্ত্র সূচকে সবার নিচে রয়েছে আফগানিস্তান (১৬৭তম)। কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা বিভাগের এই দেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৩২। বিভাগটির অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার ১৬৬তম। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ৪৬তম ও শ্রীলঙ্কা ৬০তম অবস্থানে রয়েছে।

‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীকে তার সরকার এমনভাবে গড়ে তুলছে যাতে বাংলাদেশ কোনভাবে আক্রান্ত হলে তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবো না। তবে, যদি কখনও তেমন পরিবেশ-পরিস্থিতি হয় তাহলে যেন আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি সেইভাবে আমাদেরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সেইভাবেই আমরা আমাদের বাহিনীগুলোকে তৈরি করে দিচ্ছি।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নবনির্মিত ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ সাবমেরিন ঘাঁটির কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় নবনির্মিত ঘাঁটির সঙ্গে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ এর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। তবে আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক, তারা সকল ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুক সেটাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সেখানে কর্তব্য পালনে তারা যেন কোনভাবেই পিছিয়ে না থাকে সেভাবেই আমরা এই বাহিনীগুলোকে প্রস্তুত করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন-সেই ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, এই সমুদ্র সীমায় আমাদের যে বিশাল সম্পদ রয়েছে তা যেনও আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগে সেজন্য ‘ব্লু ইকোনমি’ নীতি বাস্তবায়ন করছে সরকার। তাছাড়া, এক্ষেত্রে আমাদের পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা থেকে শুরু করে অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার।

সরকারপ্রধান দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও জোরালো হবে।

অনুষ্ঠানে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি থেকে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।

নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটির প্রধান কমোডর এম. আতিকুর রহমানের কাছে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন। এরপরই ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সাবমেরিন ঘাঁটির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনও প্রদর্শিত হয়।

;

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন



আরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
বাসাইলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন

বাসাইলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের সেই বিখ্যাত উক্তি ‘আসমানী রে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও/রহিমুদ্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।/বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,/একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি’।

কবি'র সেই আসমানীরা এখন নিজের ঠিকানা পেয়ে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবন-মানের এই পরিবর্তন শুরু হয়েছে টাঙ্গাইলের বাসাইলে।

সরেজমিনে বাসাইল উপজেলার কাউলজানি, বাসাইল পূর্বপাড়া, আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা গেছে, সময়ের সাথে এখন বদলেছে ছিন্নমূল মানুষের জীবন। কবির ওই ভেন্না পাতার ছাউনি থেকে তারা এখন বসবাস করছে রঙিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধাপাকা বাড়িতে। সেই বাড়িতেই করছেন শাক-সবজির আবাদ। কেউবা করছে হাঁস মুরগি-ছাগল-গরু পালন। সন্তানদের পাঠাচ্ছে স্কুলে। বসতির দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করে এগিয়ে নিচ্ছে সংসার। সংসারে এসেছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। বসবাসের জন্য সরকারের দেওয়া এই সুবিধাটি পেয়ে খুশি আশ্রয়হীন মানুষগুলো।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা গঠন করেছে সমবায় সমিতি। তারা নিয়মিত নিচ্ছে প্রশিক্ষণ, অনেকের একাডেমিক শিক্ষা না থাকলেও নানা প্রশিক্ষণে হয়ে উঠছেন স্বশিক্ষিত। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকিতে ক্রমেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের নানা দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া মোনজু রানী শীল, মুক্তি রানী দাস, মরিয়ম বেগম, শালেহা, ইব্রাহিম মিয়া, বকুলসহ আরো অনেকেই জানান, ‘কিছু দিন আগেও ভাবিনি নিজের ভালো একটা ঠিকানা হবে। এখন সেটি হয়েছে, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি। নিজের হাঁস-মুরগি পালনসহ নানা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি- সত্যিই এটা স্বপ্নের। এমনটি হবে ভাবিনি, সৃষ্টিকর্তার কাছে হাসিনার জন্য দোয়া করি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপজেলার হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোন ঠিকানা ছিল না, তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এটা সত্যিই বিস্ময়কর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যের চাকা নতুনভাবে ঘুরাতে শুরু করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার বলেন,আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেরাই এগিয়ে এসেছে, আমরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করছি। এই প্রকল্প পৃথিবীতে একটি রোল মডেল। কারণ এভাবে কোন দেশে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপদ ছাদ তৈরি করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, উপজেলায় মোট ৬৮ পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়া হয়েছে। এবং ৪২ টি ঘরের কাজ চলমান আছে। এই প্রকল্পের বাসিন্দাদের স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ এবং ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যোগ্যদের চিহ্নিত করে ঘর দেওয়া হয়েছে।

;

রাজবাড়ীতে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেফতার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীতে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেফতার

রাজবাড়ীতে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শামসু মাষ্টার পাড়ার শহিদ শেখের ছেলে মোঃ নিরব শেখ (১৭) এবং সাহাদৎ মেম্বার পাড়ার মোঃ মাদার কাজীর ছেলে মোঃ হায়াত কাজী (১৭)।

সোমবার (২০ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইফতেখারুজ্জামান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পূর্বপাড়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতির নির্মানাধীন ভবনে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। পরবর্তীতে সে লাশ শনাক্ত হয়। তার নাম ছিলো মোঃ সোহান শেখ (২০)। সে দৌলতদিয়া সিদ্দিক কাজীর পাড়া আলামীন শেখের ছেলে। তার মা দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর একজন যৌনকর্মী।

এ ঘটনায় নিহত সোহানের চাচা মোঃ সেলিম শেখ বাদী হয়ে পরদিন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় কারো নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ গুপ্তচর ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত রবিবার গভীর রাতে কালুখালি থানার হরিণাবাড়িয়া প্রামাণিক পাড়া থেকে জড়িত সন্দেহে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনার পর থেকেই গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের গ্রেফতারসহ হত্যা মামলায় ব্যবহত চাকু উদ্ধার করতে করা হয়।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইফতেখারুজ্জামানের যথাযথ দিক নির্দেশনা দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে দর্জি দোকানী সোহান শেখকে যৌনপল্লির জাহাঙ্গীরের দোকানে বসে থাকতে দেখে আসামিরা গাঁজা সেবনের কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তারা প্রথমে কাঠের বাটাম ও ইট দিয়ে সোহানকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। তাদের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে তার বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান।

;

উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: হানিফ

উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: হানিফ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া- ৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এ সরকার কৃষিবান্ধব বহুমুখী ব্যবস্থা নেয়ায় বাংলাদেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বুকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ) কুষ্টিয়ায় স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ১৯৭০ সালে দেশে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ ছিল। সেই সময়ে আমাদের ভূখণ্ডের আয়তন একই ছিলো। ’৭০- এর আগে মানুষ দুই বেলার বেশি খেতে পারতো না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার একর কৃষি জমি শিল্প কারখানা, আবাসন খাতে চলে যাচ্ছে। তারপরও এই সাড়েৃ ১৬ কোটি মানুষ এখনও তিনবেলা খেতে পারছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে।

তিনি বলেন, খাদ্য সমস্যাকে সামনে রেখে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেটার ধারাবাহিকতা রক্ষা করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে এই জায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।

হানিফ বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আর কেউ কৃষিখাতে মনোযোগ দেয়নি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে কৃষি খাতে বিপ্লব এনেছেন। এরপর বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে দেশে ৬০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। কৃষকরা সময়মতো সার পেত না। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা চার বার সারের দাম কমিয়েছেন। যাতে কৃষকরা সহজে সার পায়। ৮৭ টাকা কেজির সার মাত্র ২২ টাকায় নিয়ে এসেছিলেন। কৃষকরা সহজমূল্যে কৃষি উপকরণ পাচ্ছে। কৃষি কার্ড সহায়তা পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি আমলে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিলো ৫০০ ডলার। আজ আমাদের মাথাপিছু আয় ২৯শ’ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকালে আমরা ২০৩১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো।

এবি ব্যাংক লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব তারিক আফজাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ কা ম সরোয়ার জাহান, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজগর আলী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক কৃষিবীদ ড. হায়াত মাহমুদ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধন কুমার বিশ্বাস ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

;