মাস পেরোলেও শতভাগ বই পায়নি রাজশাহী বোর্ডের শিক্ষার্থীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী বোর্ড

রাজশাহী বোর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

এক মাস পেরিয়ে গেলেও সব বই হাতে পায়নি রাজশাহী বিভাগের মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চল নয়; শহরের স্কুলগুলোতেই পৌঁছায়নি শতভাগ বই। গত ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এবারের শ্রেণি কার্যক্রম।

রাজশাহী শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, রাজশাহী বিভাগের চাহিদার তুলনায় এখনো ২৫ শতাংশ বই মেলেনি। বিভাগের আট জেলায় মোট চাহিদার ৭৪ দশমিক ৩৩ ভাগ বই হাতে পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। ২৫ শতাংশের বেশি বই ছাড়াই চলছে নতুন বছরের পাঠদান।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, বিভাগে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরি মিলে মোট ৫ হাজার ৮৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এরমধ্যে মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিকে ৩ হাজার ৯২টি। মাদরাসা আছে ২ হাজার ২২৪টি এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৫৬৭টি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৪১ হাজার ১২৮ জন শিক্ষার্থী আছে। সব শিক্ষার্থীর জন্য নতুন পাঠ্যবই দরকার ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬১২টি। এরমধ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে থেকে ৭৩ দশমিক ৫০ শতাংশ বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেছে।

বিভাগের আট জেলার মধ্যে রাজশাহীতে ১ হাজার ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩২ লাখ ৬ হাজার ৫৫টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া গেছে ৭০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এর মধ্যে সব বই বিতরণ করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতে ৪৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১ লাখ ৩ হাজার ৭৩০টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে বই পেয়েছে ৭২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এখানে প্রাপ্ত বইয়ের সবই বিতরণ করা হয়েছে।

নওগাঁয় ৮৭৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৬ লাখ ৭ হাজার ৪৩৪টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে পৌঁছেছে ৭৬ শতাংশ। আর এখানেও সব বই বিতরণ করা হয়েছে। নাটোরে ৫৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৯ লাখ ৪ হাজার ৯৫৪টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে বই পাওয়া গেছে ৭১ শতাংশ। আর বিতরণ করা হয়েছে ৭০ শতাংশ। জয়পুরহাট জেলায় ৩৯৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ ৯ হাজার ৭৫৪টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে বই পাওয়া গেছে ৮১ দশমিক ৭২ শতাংশ। প্রাপ্ত সব বই বিতরণ করা হয়েছে।

বগুড়ায় ১ হাজার ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৬ লাখ ৯ হাজার ছয়টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে বই পৌঁছেছে ৭৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বিতরণ করা হয়েছে ৭৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সিরাজগঞ্জ জেলায় ৮৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৮ লাখ ৬ হাজার ১৯টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে বই পাওয়া গেছে ৭৮ শতাংশ। এই জেলাতেও প্রাপ্ত সব বই বিতরণ করা হয়েছে। পাবনায় ৬১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৭ লাখ ৩ হাজার ৬৭৬টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে বই পেয়েছে ৮৫ শতাংশ। আর বিতরণ করা হয়েছে ৮০ শতাংশ।

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. নুরজাহান বেগম, রাজশাহীর সব স্কুলেই শতভাগ বই পাওয়া যায়নি। আমাদের স্কুলেও শতভাগ বই নেই। যে বইগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো বিতরণ করা হচ্ছে।আমাদের যে বইগুলো এখনো পাওয়া যায়নি সেগুলোর অনলাইন থেকে শিক্ষকরা পিডিএফ নামিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন।

রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাথী বসু বলেন, আমাদের স্কুলে বেশ কয়েটা বই এখনো পাইনি। যেসব বই পাওয়া যায়নি সেগুলোর পিডিএফ কপি দিয়ে ক্লাস চলছে।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রতিদিনই বই আসছে। যেটা আসছে সেটা বিতরণ করা হচ্ছে। যে ক্লাসে যে বই আসেনি ওয়েবসাইটে সেই বইটা দেওয়া আছে। শিক্ষকরা সেই বই ডাউনলোড দিয়ে প্রিন্ট করে সেটি দিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যেই সব বই চলে আসবে।

মহাসড়কে ১৬ স্পিডগান: নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না গতি, বাড়ছে দুর্ঘটনা



এহসান রানা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
মহাসড়কে ১৬ স্পিডগান: নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না গতি, বাড়ছে দুর্ঘটনা

মহাসড়কে ১৬ স্পিডগান: নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না গতি, বাড়ছে দুর্ঘটনা

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর রিজিওনে থানা, ফাঁড়ি ও ক্যাম্প রয়েছে সাতটি, যার মাধ্যমে আটটি মহাসড়কের ৩৮১ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রতিটি স্টেশনে দুটি করে মোট ১৬ স্পিডগান রয়েছে। এসব মহাসড়কের গতি নিয়ন্ত্রণে। এদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রায় সকল সড়কেই যানবাহন চলাচল তিন থেকে পাঁচগুন বৃদ্ধি পেলেও সে অনুপাতে বাড়েনি জনবলসহ অন্যান্য সাপোর্ট। ফলে পুরোনো কাঠামোর জনবল দিয়েই বাড়তি কর্মচঞ্চলতাকে সামলাতে হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশকে। হাইওয়ে পুলিশের দাবি, অতিরিক্ত গতির বাহনগুলোকে মামলা দিয়েও কমানো যাচ্ছেনা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর প্রবণতা। তারা মনে করেন, গতি কমাতে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনা গড়ে তোলার বিকল্প নাই।

ফরিদপুরে অবস্থিত মাদারীপুর হাইওয়ের রিজিওনের দায়িত্বরত পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই রিজিওনের অধীনে এন-৮, এন-৮০৫, এন-৮০৪, এন-৭, এন-৮০৬, আর-৭১০ ও আর-৮৬০ মহাসড়কের তিনশ ৮১ কিলোমিটার মসহাসড়ক রযেছে। যার মধ্যে এক্সপ্রেসওয়েও অন্তর্ভুক্ত।

রিজিওনের পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সহকারী পুলিশ সুপারের দপ্তরসহ আটটি থানা, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পে পূর্বে থেকেই মোট জনবল রয়েছে দুইশ ৬৫ জন। যার মধ্যে পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন ৬০ জন, আর ১৫ জন রয়েছেন প্রধান কার্যালয়ে প্রেষণে। পুলিশ স্টেশনগুলোর মধ্যে পাংশা হাইওয়ে থানায় সর্ব নিম্ন ২১ জন এবং ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় সর্বোচ্চ ৩৪ জন কর্মরত আছেন। বেশিরভাগ থানাতেই একজন ওসি, একজন সার্জেন্ট ও একজন এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। যার মধ্যে শুধুমাত্র এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তা দুর্ঘটনা জনিত মামলার তদন্ত করতে পারেন।

জানা গেছে, গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার যোগযোগের নতুন দ্বার খুলে যাওয়ায় এসব মহাসড়কে যানবাহনের চলাচল বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ গুণ। যদিও ব্যস্ততা বাড়লেও এসকল পুলিশ স্টেশনগুলোতে বাড়েনি জনবলের সংখ্যা। এমনকি আটটি স্টেশনে মাত্র দুটি করে স্পিডগান থাকায় এবং জনবল বৃদ্ধি না করায় একাধিক চেকপোস্ট পরিচালনা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এসব স্টেশনের অধীনে সর্বনিম্ন শিবচর হাইওয়ে থানার অধিনে ২৮ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে যার উভয় প্রান্ত বিবেচনায় ৫৬ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অধীনে ৭৮ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে।

মাদারীপুর হাইওয়ের রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম জানান, মহাসড়কে যান চলাচলে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা থাকলেও, অনেক চালকই তা মানছেন না। তিনি জানান, ২০২২ সালের ০১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ পর্যন্ত অত্র রিজিওনের অধিনে চেকপোস্ট বসিয়ে আট হাজার ৯২টি মামলা রুজু করা হয়। যার মধ্যে তিন হাজার চারশ ৯২টি মামলাই অতিরিক্ত গতিতে গাড়ী চালানো সংক্রান্ত। এতো মামলা রুজু করার পরও কেনো কেপরোয়া গতি থামানো যাচ্ছেনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি মনে করেন, সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি মালিক-কর্তৃপক্ষের দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্টান্ডে পৌঁছানোর চাপই দায়ী। তাই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরোনো যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, মাদারীপুর রিজিওনের অধিনে ২০২২ সালের ২৫ জুন থেকে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ পর্যন্ত দুইশ ২২টি দূর্ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু নিয়মিত মামলা হয়েছে ৩৭টি। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন দুইশ ৬৪ জন এবং আহত হয়েছেন তিনশ সাত জন।

রোববার এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় ইমাদ পরিবহন দুর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর মহাসড়কে দ্রুত গতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণে বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।

;

হজের খরচ কমল, নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২৭ মার্চ পর্যন্ত



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনে খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমেছে। অপরদিকে সরকারি ৪৬৭২৫ টাকা কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।

বুধবার (২২ মার্চ) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হিজরি ১৪৪৪/২০২৩ সনের হজের জন্য ঘোষিত প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত মিনার ৪টি (A, B, C, D) ক্যাটাগরির সেবার মূল্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক হ্রাস করায় নিবন্ধিত সম্মানিত হজযাত্রীগণ অর্থ ফেরত পাবেন।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হয়েছেন তাদেরকে হ্রাসকৃত প্যাকেজ মূল্যের অর্থ হজ অফিস, ঢাকা হতে খাবারের মূল্য ফেরত দেয়ার সময় একসাথে ফেরত প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে সম্মানিত হজযাত্রীগণ ৩৫,০০০+১১৭২৫ = ৪৬৭২৫.০০ (ছিচল্লিশ হাজার সাতশত পঁচিশ) টাকা ফেরত পাবেন।

সরকারি ব্যবস্থাপনার ন্যায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ফেরতযোগ্য জনপ্রতি ৪১৩×২৮.৩৯=১১৭২৫.০০ (এগার হাজার সাতশত পঁচিশ) টাকা নিবন্ধনকারী হজ এজেন্সিকে সম্মানিত হজযাত্রীদের ফেরত প্রদান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

;

মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট সূত্রনির্ভর: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট সূত্রনির্ভর: তথ্যমন্ত্রী

মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট সূত্রনির্ভর: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

‘পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে করা মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন একপেশে’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে উল্লিখিত বাংলাদেশ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন একটি সূত্র থেকে নয়, সরকারিবিরোধী এবং পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। সুতরাং সেই প্রতিবেদনটা একপেশে। অবশ্যই পুরো প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি না কারণ সেখানে অনেক ভালো কথাও বলা আছে। তবে সার্বিকভাবে আমাদের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র সংক্রান্ত যে সমস্ত বিষয়াদি আছে সেগুলো পক্ষপাতদুষ্ট।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও তো অনেক প্রশ্ন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো এখনো নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি। সেটির প্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যেভাবে ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়েছে, সে ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা তো আমাদের দেশে কখনো ঘটে নাই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে তাদের নিজেদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো আছে বা তাদের নির্বাচন হওয়ার পর ক্যাপিটল হিলে যে হামলা, সেই বিষয়গুলোর দিকে তাদের তাকানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ ‘ভবিষ্যতে অন্য কোনো বড় দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কিম্বা নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দেয় কি না, সেটিও দেখার বিষয়’ বলেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়ে কথা বলে -এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের দিকে তাকালে দেখা যায় ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৬ জন, ২০২০ সালে ৯৯৬ জন, ২০২১-২০২২ সালে গড়ে প্রায় ১ হাজার জন।’

তিনি বলেন, ‘যেই দেশে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সেখানে অন্য দেশকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার কতটুকু আছে, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। আমাদের দেশে যে কখনো এমন হয় না আমি সেটি বলছি না। কিন্তু সেগুলোর তদন্ত হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিও বিধান করা হয়।’

এর আগে সংবাদপত্র কর্মচারি ফেডারেশনের সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার এবং ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন খান সংগঠন দু’টির সদস্যদের কর্মক্ষেত্রের নানা বিষয় উত্থাপন করেন। সংবাদপত্র কর্মচারি ও নিউজপেপার প্রেস শ্রমিকদের জন্য করোনাকালীন সহায়তা, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, কল্যাণ ফান্ড গঠনসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরে মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা। মন্ত্রী বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুবিবেচনার আশ্বাস দেন।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: কাউসার আহাম্মদ, সংবাদপত্র কর্মচারি ফেডারেশনের সহসভাপতি মো: বজলুর রহমান মিলন, মহাসচিব মো: খায়রুল ইসলাম, সদস্য মো: তানভীর হোসাইন, মো: আমিনুল ইসলাম, মো: আব্দুল গফুর, মো: রফিকুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ, মো: শাহাদাত হোসেন, আব্দুল কাদির, মো: হামিদুর রশিদ খান, আবিদা সুলতানা এবং ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের সহসভাপতি শামীম চৌধুরী, মহাসচিব মো: কামাল উদ্দিন, সদস্য মো: রাজ্জাক পাটোয়ারি, এ এইচ এম নাজমুল আহসান, মো: মোস্তাক আহমদ, তাজাম্মেল হক, মো: ইউসুফ আলী, মো: আবদুল মান্নান, মো: আতিউর রহমান, মো: লিয়াকত আলী ও সেলিনা আক্তার ইতি বৈঠকে অংশ নেন।

;

ক্ষুদ্র শিল্পের স্বীকৃতি পেল সুপারির খোলে তৈরি নান্দনিক তৈজসপত্র



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ক্ষুদ্র শিল্পের স্বীকৃতি পেল সুপারির খোলে তৈরি নান্দনিক তৈজসপত্র

ক্ষুদ্র শিল্পের স্বীকৃতি পেল সুপারির খোলে তৈরি নান্দনিক তৈজসপত্র

  • Font increase
  • Font Decrease

চার বছর অপেক্ষার পর অবশেষে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সুপারি গাছের ঝরে যাওয়া খোল দিয়ে তৈরি গৃহস্থালির নান্দনিক তৈজসপত্র ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

রোববার (১৯ মার্চ) সুপারির পাতা-খোল থেকে নান্দনিক তৈজসপত্র তৈরি করা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ব্রাদার্স ইকো ক্রাফটকে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটিকে এ নিবন্ধন দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে বিসিক লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপব্যবস্থাপক মাকসুদুর রহমান এর স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত পত্র প্রতিষ্ঠানটির কর্নধার মামুনুর রশিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মেসার্স ব্রাদার্স ক্রাফটের স্বত্বাধিকারী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানটিকে নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করি। ফরম পূরণ করে সাবমিট করার চার বছর পর খোলে তৈরি করা তৈজসপত্রকে ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ আমার প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরে জেলা কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক আমাকে নিবন্ধনের সনদ বুঝিয়ে দিয়েছেন।’ সুপারি গাছের খোল দিয়ে থালা, বাটি, নাস্তার ট্রে, ঘড়ি, ফটোফ্রেম, বিয়ের কার্ড, ওয়ালমেট ও জুতাসহ ১৪টি পণ্য তৈরি করছে ব্রাদার্স ইকো ক্রাফট। পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত এসব পণ্য যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। ইউটিউবে এসব পণ্য তৈরির ভিডিও দেখে আগ্রহী হয়ে উদ্যোক্তা মামুনুর রশিদ গড়ে তুলেছেন কারখানাটি।

২০১৯ সালের ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বহুমুখী পাট পণ্য মেলার স্টল পরিদর্শনকালে সুপারির খোলে তৈরি করা উদ্যোক্তা মামুনের নান্দনিক তৈজসপত্র হাতে নিয়ে দেখেন। একই বছরের আগস্টে নিউজিল্যান্ড থেকে জেরিক নামের এক বায়ার রায়পুর কারখানায় আসেন। এসময় গ্রামীণ পরিবেশে উৎপাদিত এসব পণ্য দেখে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ২০১৭ সালে ইউটিউবে ভিডিও দেখে সুপারির খোলে তৈজসপত্র তৈরিতে আগ্রহী হন রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ-পশ্চিম কেরোয়ার তুলাতলি এলাকার মামুনুর রশিদ। ২০১৯ সালের শুরুতে তিনি একটি টিনশেড ঘরে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে খোল দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরির কাজ শুরু করেন। দূর-দূরান্ত থেকে সৌখিন লোকজন কারখানাটি দেখতে আসেন।


বাসন-কোসনসহ ১৪ ধরনের পণ্য তৈরি করা হয় এ কারখানায়। এখানে ১০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। এরই মধ্যে ২০ লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটি লক্ষ্মীপুরের প্রথম কারখানা। শুকনো খাবার পরিবেশন ও পানির ব্যবহার না করলে কয়েক বছর এসব ব্যবহার করা যায়। এগুলো তৈরিতে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় না।

উল্লেখ্য,২০১৯ সালের ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বহুমুখী পাট পণ্য মেলার স্টল পরিদর্শনকালে সুপারির খোলে তৈরি করা উদ্যোক্তা রায়পুরের মামুনের নান্দনিক তৈজসপত্র হাতে নিয়ে দেখেন এবং মুগ্ধ হন।

;