উপকূলজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব অকল্পনীয়: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

'উপকূলজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের যে ক্ষতিকর প্রভাব তা খুলনার উপকূলে না আসলে কেউ অনুমান করতে পারবেনা' বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

'এখানে প্রতি বছর বন্যা হয়, জলোচ্ছ্বাস হয়, যা আমাদের নিত্যসঙ্গী; আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কিভাবে মোকাবেলা করছি জাতিসংঘ মহাসচিবের এসডিজি বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে বেলজিয়ামের রানি সেটি নিজের চোখে দেখার জন্য এখানে এসেছেন এবং এখানকার মানুষের সাথে কথা বলেছেন' জানান তিনি।

বেলজিয়ামের রানি মাতিলদ মেরি ক্রিস্টিন জিলেইন আজ (বুধবার) দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের ঝুলন্তপাড়া এলাকা পরিদর্শনে যান। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মিনিস্টার ইন ওয়েটিং হিসেবে রাষ্ট্রাচার দায়িত্ব পালনে তাঁর সাথে ছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রী।

পরিবেশবিদ ড. হাছান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। আর দেশের উপকূলীয় অঞ্চলেই সবচেয়ে ক্ষতির প্রভাব দৃশ্যমান।

রানি মাতিলদ ঝুলন্তপাড়ার স্থানীয় মানুষদের সাথে মতবিনিময় করেন। খুলনার উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত মানুষদের জীবন-সংগ্রাম, সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে অধিবাসী ও সেখানে কর্মরত দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিস্তারিত ধারণা নেন তিনি।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

‘এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারীদের দল আর কোনদিন ক্ষমতায় আসবে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

হাজার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করলেও এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের অর্থ আত্মসাৎকারী, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারীদের দল আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

রোববার (১৯ মার্চ) আগারগাঁওয়ের বিআইসিসি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বোমাবাজি, গুলি, গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, মানুষের অর্থ আত্মসাৎকারী, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী এরা কোনদিন আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ কোনদিন তাদের মেনে নেবে না। বাংলাদেশে এটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন, আর তিনিই এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই তার বাংলাদেশে কোনো মানুষ খাদ্যে কষ্ট পাবে না, গৃহহীন থাকবে না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকবে না, প্রত্যেকটা মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে কিভাবে উন্নত করবো যেটা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। শিক্ষা, দীক্ষায়, প্রযুক্তি জ্ঞানে একটি স্মার্ট জনগোষ্ঠী সৃষ্টি হবে। এবং এই দেশে এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের প্ররোচণায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ঘটে। পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতার আদর্শকে বিসর্জন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মাটি ও মানুষ থেকে উঠে আসা দলের শেকড় উপড়ে ফেলা যায় না। বিএনপির কোনো শেকড় নেই। বোমাবাজি ও লুটেরার দল আর কখনো দেশের শাসনক্ষমতায় আসতে পারবে না।

বিএনপির নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান যেমন নির্যাতন করেছে, তেমনি নির্যাতন করেছে বেগম খালেদা জিয়া। দলটি আমাদের ভিক্ষুকের জাতি বানাতে চেয়েছিল। কারণ মানুষ ভালো থাকলে বিএনপির কষ্ট হয়।

ভোটচুরির অপবাদে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতারা ভোটচুরির কথা ভুলে গেছেন। বিএনপির চরিত্র হলো মিথ্যা বলে বলে ভালো কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। একই মিথ্যা বারবার বলে তারা তাকে সত্যে পরিণত করতে চায়।

;

হজযাত্রীদের বিমানভাড়া কমছে না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে হজযাত্রীদের জন্য বিমান যে ভাড়া ধরা হয়েছে তা সর্বনিম্ন বলে মন্তব্য করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম বলেছেন, আমরা যতটুকু সম্ভব কমিয়েছি। এর চেয়ে আর কমানো সম্ভব নয়।

রোববার (১৯ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিমানের এমডি বলেন, আমরা ৩ মাস ধরে হজের বিমান ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৩৩৮ টাকা। পরে এটিকে কমিয়ে প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটি এই ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এবার ভাড়া বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ট্যাক্স বৃদ্ধি, ডলারের রেট বৃদ্ধি, জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি। ভাড়া বৃদ্ধিতে আমাদের কোনো হাত নেই।

হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমছে কি না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, হজের যে ভাড়া ধরা হয়েছে এটা একদম সর্বনিম্ন ও সর্বশেষ। আমরা যতটুকু সম্ভব কমিয়েছি। এর চেয়ে আর কমানো সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সেখানে বিমান একটি মাত্র খাত। আমরা সর্বনিম্ন দিয়েছি। এরপর আমাদের আর কিছুই করার নেই।’

বিমান ভাড়া নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে এমডি বলেন, হজের বিমান ভাড়া সায়েন্টিফিক উপায়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা নিয়ে অযৌক্তিক, অনুমান নির্ভর, অর্ধসত্য বলার সুযোগ নেই। হজযাত্রীরা আমাদেরও যাত্রী, তাদের সেবা দেওয়া আমাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব।

বিমানের হজ ফ্লাইট নির্বিঘ্নে শেষ করার জন্য যানবাহন সংখ্যা বৃদ্ধি, ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ, পাইলট ও কেবিন ক্রু নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারে ভারতকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারে ভারতকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারে ভারতকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে পারস্পারিক স্বার্থে ভারতের কাছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে গভর্নিং কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন রাম মাধব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত চাইলে আমাদের চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহার করতে পারে। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চলের যোগাযোগ বৃদ্ধি মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে সহায়ক হবে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় রাম মাধবের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় রাম মাধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং আমি আশা করছি যে- ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক অব্যহত থাকবে।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

;

গণমানুষের সংবাদপত্র গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গণমানুষের সংবাদপত্র গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ: তথ্যমন্ত্রী

গণমানুষের সংবাদপত্র গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,‘বর্তমান দ্রুততার প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠিক সাংবাদিকতা, ঠিক সংবাদ পরিবেশন এবং একটি সংবাদপত্রকে গণমানুষের সংবাদপত্র হিসেবে গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

তিনি বলেন, ‘দেশে গত ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ বা এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথের পাশাপাশি অনেকগুলো চ্যালেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। শুরু হয়েছে সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ দেওয়ার প্রতিযোগিতা। আর এটি করতে গিয়ে দেখা যায় এমন অনেক সংবাদ পরিবেশিত হয় যেগুলো আসলে ঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর। অনলাইনের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে। এ কারণেই স্বাধীনতার পাশাপাশি প্রয়োজন দায়িত্বশীলতা।’

রোববার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার নবরূপে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা বা যে কোনো গণমাধ্যম শুধুমাত্র সংবাদ পরিবেশন কিম্বা বিনোদনের জন্য নয়। একটি পত্রিকা মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, অনুন্মোচিত বিষয়গুলোকে উন্মোচিত করতে পারে। সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার যে দিকে দৃষ্টিপাত করছে না, সে দিকে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারে।’

মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমরা একটি বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক বিতর্কভিত্তিক সমাজে বসবাস করি। এই গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অবশ্যই প্রয়োজন। বাংলাদেশে গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে, যেভাবে অবাধে সবকিছু লিখতে পারে পৃথিবীর অনেক উন্নয়নশীল দেশে সেটি পারে না। অনেক উন্নত দেশেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন আছে একইভাবে তাদের কাজ ও প্রকাশ সম্পর্কে দায়িত্বশীলও থাকতে হয়। সেখানে ভুল বা অসত্য সংবাদের জন্য জরিমানা গুণতে হয়, শাস্তি পেতে হয়। আমাদের দেশে এমন নজির এখনো হয়নি। মাঝে মধ্যে প্রেস কাউন্সিল থেকে তিরস্কার করা হয়েছে। কারণ তিরস্কার করা ছাড়া কাউন্সিলের আর কোনো ক্ষমতা নাই। সুতরাং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’

একইসাথে একটি সংবাদপত্র শিশু-কিশোর, তরুণ ও যুব সমাজের মনন তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার ছেলেবেলায় অনেক দৈনিক পত্রিকায় ছোটদের পাতা থাকতো, সেখানে আমিও লিখেছি, সেটি অনেক আনন্দের। কিন্তু এখন আর ছোটদের পাতা নেই, হারিয়ে গেছে। রূপচর্চার পাতা আছে, রান্নাবান্নার পাতা আছে কিন্তু ছোটদের পাতা অনেক ক্ষেত্রে হারিয়ে গেছে। দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো, যেন সপ্তাহে না হোক, অন্তত ১৫ দিনে ছোটদের একটা পাতা থাকে। এটি আমাদের কিশোর-তরুণদের মনন তৈরি এবং প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী এ সময় পত্রিকায় সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন, ‘রাস্তায় যে পাগলটা বিড়বিড় করে কথা আওড়ায় তার পাগল হওয়ার পেছনে একটা গল্প আছে। কিন্তু কেউ তা শোনে না, শোনার প্রয়োজনও মনে করে না। যে মানুষটি নদী ভাঙ্গনে কিম্বা অন্য কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে শহরের ফুটপাতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের স্বপ্নের কথা কেউ লেখে না। যে মেয়েটি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়তো নিষিদ্ধ কোনো জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, তার বেদনার কথা কেউ ভাবে না, লেখে না। সেগুলোও উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমের বিকাশের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, কাজ করে যাচ্ছে। সে কারণে ২০০৯ সালে যেখানে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৪শ’ এটি এখন সাড়ে ১২শ’র বেশি। টেলিভিশনের সংখ্যা ছিল ১০টি এখন সম্প্রচারে আছে ৩৬টি, আরো কয়েকটি খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে। বেসরকারি রেডিও লাইসেন্স দেওয়া আছে ২৪টি, ১৪-১৫টি সম্প্রচারে আছে। কমিউনিটি রেডিও’র লাইসেন্স দেওয়া আছে প্রায় ৩ ডজনের কাছাকাছি এবং বেশির ভাগই সম্প্রচারে আছে। একইসাথে গত ১৪ বছরে অনলাইন গণমাধ্যমেরও ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে, হাজার হাজার অনলাইন প্রকাশিত হয়, আমাদের কাছে ৫ হাজারের বেশি আবেদন আছে রেজিস্ট্রেশনের জন্য। ইতিমধ্যে কয়েকশ’ রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে।’

দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা এবং ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম জমির উদ্দিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, সিনিয়র সাংবাদিক শাহিন উল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। বক্তৃতাপর্ব শেষে কেক কেটে পত্রিকার নবরূপে প্রকাশ উদ্বোধন করেন অতিথি ও আয়োজকবৃন্দ।

;