গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনজিও পরিচালকসহ আটক ৩

গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনজিও পরিচালকসহ আটক ৩
রাজশাহীতে গ্রাহকের কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎকারী ভুয়াএনজিও’র পরিচালক, মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫)।
সােমবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কাউন্সিল বাজারের মহানন্দা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার অফিস কক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মহানন্দা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (এমপিইউএস) এর পরিচালক ও মূলহোতা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান (৪২)। তিনি কাছিয়াবাড়ী এলাকার মৃত মাহাবুবুল আলমের ছেলে। অপর আসামিরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে (মাঠকর্মী) মোঃ শিমুল আলী (২৮) ও ঘাটনগর এলাকার মোঃ আনিরুল ইসলামের ছেলে (অফিস সহকারী) মোঃ ফিরোজ আলী (২৪)।
মঙ্গলবার ( ২১ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট রিয়াজ শাহরিয়ারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তিনি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন- তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চক্রের সাথে সংঘবদ্ধভাবে গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষের টাকা গ্রহণ করে অধিক মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে মহানন্দা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (এমপিইউএস) নামে একটি ভুয়াএনজিও প্রতিষ্ঠা করে। এনজিওতে বিভিন্ন গ্রাহককে টাকা বিনিয়োগ এবং ঋণ নেয়ার জন্য উস্কানি প্রদান করে। অসহায় লোকজন তাদের উস্কানিতে টাকা বিনিয়োগ করে এবং তাদের এনজিও হতে ফাঁকা চেক জমার মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করলে এনজিও কর্মীরা ব্লাংক চেক ব্লাক মেইল এর মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা এবং গ্রাহকের জমাকৃত ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও ব্লাংক চেক ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের নামে মামলা দেয়া এবং মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। অসংখ্য ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব চাঁপাইনবাগঞ্জের চৌকষ গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে ২০ মার্চ ওই এলাকা থেকে এনজিও পরিচালক ও মূলহোতাসহ প্রতারক চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১০০ পিচ ভুয়াপাশ বই, ৯ টি চেক/লোন রেজিস্ট্রার খাতা, ৫ টি ব্লাংক চেক ৪টি মোবাইল ফোন ও ৮ টি বিভিন্ন প্রকার সীল-উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।