বিশ্ব পানি দিবস আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ২২ মার্চ, বিশ্ব পানি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘পানি ও স্যানিটেশন সংকট সমাধানের জন্য পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ত্বরান্নিতকরণ’।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী- প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানি সম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব পানি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পানি ও স্যানিটেশন সংকট সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিতকরণ’ বৈশ্বিক পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করার প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, উৎস থেকে সমুদ্র অবধি পানির অবারিত প্রবাহ ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমেই পানির সুষম প্রাপ্যতা ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সম্ভব। নদীমাতৃক বাংলাদেশে মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক নানাবিধ কারণে পানীয় জল ও স্যানিটেশনের সংকট বিদ্যমান। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার নদী ও খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষণাবেক্ষণ ও নতুন জলাধার এবং ব্যারেজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। নদীর তীর সংরক্ষণ, পানি অবকাঠামো সংস্কার করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, ভূমি পুনরুদ্ধার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের বিস্তৃত ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে বহমান নদ-নদী, হাওর-বাঁওর, বিল-ঝিল, পুকুর-দিঘি, বৈচিত্র্যপূর্ণ বিপুল সংখ্যক ছোট-বড় জলধারার পানি ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রতিটি পানির ফোটার সর্বোত্তম ব্যবহারই নিশ্চিত করতে পারে সার্বজনীন পানি প্রাপ্যতা, পানির ন্যায়ভিত্তিক বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রতিটি মানুষকে তার পানি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে নিজস্ব অবস্থান হতে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা জরুরি।

চট্টগ্রামে তেল চুরির দায়ে গ্রেফতার ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে তেল চুরির দায়ে গ্রেফতার ৪

চট্টগ্রামে তেল চুরির দায়ে গ্রেফতার ৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে তেল চুরির সময় দুই নৌযানসহ চারজনকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। এসময় ১ হাজার ২০০ লিটার অপরিশোধিত চোরাই ভোজ্যতেলও উদ্ধার করা হয়।

রোবাবার (২৮ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে কর্ণফুলী নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. রায়হান, বুলবুল আহম্মদ, মো. আব্দুল হক ও ওহিদুর নবী।

পুলিশ জানায়, কর্ণফুলী নদীতে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের জন্য আমদানি করা অপরিশোধিত ভোজ্যতেল বহনকারী অয়েল ট্যাংকার এমটি-বুলবুল থেকে তেল চুরি করার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে কর্ণফুলী নদীতে ডায়মন্ড সিমেন্ট ঘাটের অদূরে অভিযান চালিয়ে এমভি ওশান ভিউ নামের একটি লাইটার জাহাজ আটক করা হয়। ওই জাহাজের সামনের অংশের পানির ট্যাংক থেকে ১ হাজার ২০০ লিটার অপরিশোধিত ভোজ্যতেল উদ্ধার ও তেল চুরির সাথে জড়িত দুজনকে আটকে করে পুলিশ।

সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, এমভি ওশান ভিউ থেকে চোরাই তেলসহ দুজনকে আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে এমটি-বুলবুল নামের অয়েল ট্যাংকারটি জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে ওই ট্যাংকার থেকে ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে আটক করা হয়। এসময় আরও ৫ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় এস আলম কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে সদরঘাট নৌ-থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

;

বিজেসি মিডিয়া পার্ক পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিজেসি মিডিয়া পার্ক পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত

বিজেসি মিডিয়া পার্ক পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) এর উদ্যোগে গড়ে উঠা বিজেসি মিডিয়া পার্কের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ মে) সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই ভোটগ্রহণ করা হয়।

ভোটের দিন ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া গুগল ফর্মের লিংকে ক্লিক করে বিজেসি'র আইডি নম্বর ও ইমেইল আইডি মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যালট পেপারে ভোট দেন ভোটাররা। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে পরিচালক পদে অংগ্রহণকারী ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে চারজনকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন বিজেসি মিডিয়া পার্কের সদস্যরা।

এবারের নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২২৩ জন। প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ৯৮ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হন সিনিয়র ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট শাহনাজ পরভীন এলিস, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯০ ভোট পান বাংলাভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার সৈয়দ আব্দুল মুহিত, এটিএন বাংলার নিউজ এডিটর বরকতুল্লাহ সুজন পান ৮৫ ভোট এবং মাছরাঙা টিভির ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ সজীব সাদীক পান ৭৪ ভোট।নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ২০০টি। তার মধ্যে ত্রুটির কারণে ৩টি ভোট বাতিল করে নির্বাচন কমিশন ।

নির্বাচনে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং বিএফইউজের মহাসচিব ও নাগরিক টিভির বার্তা প্রধান দীপ আজাদ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা জানান, ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজেসি মিডিয়া পার্ক পরিচালনার জন্য নয় সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে। যার মধ্যে ৫ জন থাকবেন ট্রাস্টি বোর্ড মনোনীত। সাধারণ সদস্যদের মধ্যে থেকে এই দফায় ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হলেন চারজন পরিচালক। এরপর খুব শিগগিরই ট্রাস্টি বোর্ডের সভা ডেকে বাকি পাঁচজনকে মনোনীত করে পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে।

বিএফইউজের মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, নির্বাচনটি অনলাইনের মাধ্যমে অত্যান্ত গোপনীয়তা ও স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হয়।

নির্বাচন কমিশনার দীপ আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এই নির্বাচন অনন্য এক উদাহরণ। কারণ এর আগে দেশে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোন ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরমও পূরণ করেছেন গুগল ফর্মে গিয়ে। তাদের ভোটের প্রচার কার্যক্রম চলেছে ফেসবুকে নির্বচান উপলক্ষে তৈরি করা (বিজেসি মিডিয়া নির্বাচন) একটি নির্দিষ্ট গ্রুপে।

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নির্বাচিত পরিচালকদের অভিনন্দন জানান নির্বাচন কমিশনাররা। এসময় বিজেসি মিডিয়া পার্কের আহবায়ক শাকিল আহমেদ, সদস্য সচিব রাশেদ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মানস ঘোষ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হারুন অর রশিদসহ বিজেসি'র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মিডিয়া পার্ক পরিচালনা পর্ষদ এর ডিজিটাল পদ্ধতির এই পুরো নির্বাচন কার্যক্রমটি সমন্বয় করেন বিজেসি'র কো-অর্ডিনেটর আদনান চৌধুরী।

;

‘পাইলট তৈরিতে ইউএস-বাংলার উদ্যোগ এভিয়েশন সেক্টরে মাইলফলক’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পাইলট তৈরিতে ইউএস-বাংলার উদ্যোগ একটি মাইলফলক: বিমান প্রতিমন্ত্রী

পাইলট তৈরিতে ইউএস-বাংলার উদ্যোগ একটি মাইলফলক: বিমান প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

পাইলট তৈরির জন্য ইউএস-বাংলার উদ্যোগ দেশের এভিয়েশন সেক্টরে মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

রোববার (২৮ মে) বিকেলে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ১১ জন ক্যাডেট পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও প্যানপ্যাসিফিকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

২১ শিক্ষার্থীকে পাইলট বানাতে তাদের সব ধরনের খরচ বহন করে প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সেই ধারাবাহিকতায় ৩০ মে দ্বিতীয় ধাপে ১১ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

এর আগে গত ২ মে প্রথম ধাপে ১০ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। ফ্লাইট ট্রেনিং কোর্স শেষ করার পর ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (এফএএসিপিএল) প্রাপ্ত হবেন তারা।

Caption

 

দীর্ঘ এক বছরের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ফ্লাইং একাডেমিতে পাঠানো হচ্ছে। দেশে ফিরে তারা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে যোগদান করবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন সেক্টরের উন্নতির জন্য সরকারের পাশাপাশি আমাদের বেসরকারিভাবেও এগিয়ে আসতে হবে। উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাইলটদের আমেরিকায় পাঠাতে ইউএস-বাংলার এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে এভিয়েশন সেক্টরের জন্য একটি মাইলফলক। এমন পদক্ষেপের জন্য ইউএস-বাংলাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মেধাবী পাইলটরা বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনবে।

মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা কম হওয়ার দিক থেকে আকাশ পথ সবচেয়ে নিরাপদ। তিনি উপস্থিত ট্রেইনি পাইলটদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যারা পাইলট হবেন তারা চাকরি জীবন থেকে শুরু করে অবসরে যাওয়ার পরও এ পেশার মর্যাদা ধরে রাখবেন। আপনাদের কোনো কার্যকলাপের জন্য যেন এ পেশা প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। আমরা ইদানিং দেখতেছি নানান আলোচনা সমালোচনা আসছে। আপনাদের চলাফেরা, দায়িত্ব পালনে কোনোভাবে যেন সমালোচনা না হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন সেক্টরের এই বিপুল প্রবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখতে ও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে এভিয়েশন শিল্পের প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের আরও বেশি সংখ্যক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে। দক্ষ জনবলের এই বর্ধিত চাহিদা পূরণে সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আরও বেশি প্রশিক্ষিত নারী পাইলট গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান Next Generation Aviation Professionals (NGAP) শিক্ষাবৃত্তি” চালু করেছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, ২০২২ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিজ খরচে পাইলট বানানোর উদ্যোগ নেয়। এরপর নানা প্রক্রিয়ায় ৬ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে ২১ জনকে নির্বাচন করে তাদের ‘ফ্লাইং একাডেমিতে পাঠানোর যোগ্য’ বলে উল্লেখ করা হয়। বাছাই করা ২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন তরুণ এবং একজন তরুণী।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম-জনসংযোগ মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের এপ্রিলে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রার্থী নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২১ জনকে বাছাই করা হয়। তারা ফ্লোরিডায় কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স ট্রেনিং শেষ করে দেশে ফিরবেন এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করবেন।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, শিক্ষার্থীদের পাইলট হওয়ার পূর্বশর্ত ছিল বিজ্ঞান বিভাগে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানসহ এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অথবা এ লেভেলে ন্যূনতম দুই বিষয়ে (গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান) গ্রেড-বি পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া। এছাড়াও স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানের স্নাতকরাও আবেদন করেছেন। আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ বয়স ২৫ বছর ও উচ্চতা ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবেদন করা শিক্ষার্থীদের আইকিউ টেস্ট, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলার সিইও লে. ক. (অব.) মইনুল ইসলাম, বেবিচকের প্লানিং এ্যান্ড অপারেশন বিভাগের চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান, নভোএয়ার এর এমডি মফিজুর রহমান, ১১ ট্রেইনি পাইলট ছাড়াও তাদের অভিভাবক ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

;

পক্ষপাতিত্বহীন নির্বাচন উপহার দিতে কমিশন বদ্ধপরিকর: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পক্ষপাতিত্বহীন নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (২৮ মে) বিকেলে বরিশাল নগরের সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা হচ্ছে, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হতে হবে, আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকতে হবে। ওনারা যদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে থাকেন তাহলে সেটা ওনাদের ব্যাপার।

কিন্তু আমরা সেটা টলারেট করব না। কোনো চ্যালেঞ্জ আসলে সেটা আপনাদের মোকাবিলা করতে হবে, আইনশৃঙ্খলার কোনো ব্যত্যয় ঘটলে সেটার দ্বায়-দায়িত্ব ওনাদের (বাহিনীকে) নিতে হবে। আমাদের বিশ্বাস আছে ওনাদের সেই প্রফেশনাল ক্যাপাসিটি আছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো, যেকোন নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে নির্ভয়ে এবং তারা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

তারা কাকে ভোট দেবে, কে জিতল, কে হারল সেটা আমাদের বিষয় নয়। কিন্তু ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার যে দায়িত্ব সেটা পালনে আমরা সচেষ্ট, আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা ভালো নির্বাচন করেছি মুখে বললাম, সেটা অনেকেই বিশ্বাস করবে না। নির্বাচনটা ভালো হলো কি হলো না সেটার একটি সচ্ছতা বা গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।

এজন্য মিডিয়া ছবি তুলবে, দেখাবে, তারা তথ্য সংগ্রহ করবে, সম্প্রচার করবে। এতে জনগণ মিডিয়ার মাধ্যমেই জানবে নির্বাচনটা কতটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছি, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যে নির্দেশনাগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগ করতে হবে। প্রার্থীদের সেগুলো প্রতিপালন করতে এবং দেখতে হবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা, না হলে প্রতিপালনে বাধ্য করতে হবে।

সিইসি বলেন, নির্বাচনের দিন পরিবেশ অনুকূলে রাখতে হবে, যাতে আগামী দিনগুলোতে যে নির্বাচন হবে সেখানে নারী-পুরুষরা অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম, র‌্যাব-৮ বরিশালের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহামুদুল হাসান, বরিশালের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;