‘দেশি-বিদেশি রাজনীতির কারণে গণহত্যার স্বীকৃতি মিলছে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশি-বিদেশি রাজনীতির কারণে একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত্রে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলছে না। এছাড়া দেশের সঠিক ইতিহাস নিয়ে জনগণের মাঝে ঐকমত্য সৃষ্টি না হওয়ায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বারবার পিছিয়ে পরেছে বাংলাদেশ।

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা গ্যালারিতে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মানবাধিকার প্রশ্ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন। 

বৈঠকে ইতিহাসবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, গণহত্যা নিয়ে একটা রাজনীতি আছে। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে। যখন এই যুদ্ধটা হয় তখন বাংলাদেশের পক্ষে কেউ ছিল না। সেই অবস্থায় লুঙ্গি পড়া কিছু মানুষ তৎকালীন বিশ্বের পঞ্চম না ষষ্ঠ সেনাবাহিনীকে হারিয়ে দিলো, এটা কিন্তু তারা গ্রহণ করতে পারেনি। না পারার কারণে সেখানে একাডেমিয়াম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক একটা ঐকমত্যে পৌঁছেছিল যে এটা নিয়ে আলোচনার কোনও দরকার নাই। আলোচনা করলে তখন আসবে কে সাহায্য করেছিল, কারা সাহায্য করেছিল- এই বিষয়গুলো চলে আসবে। অন্যদিকে আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে ৭৫ এর পর থেকে ২৫ বছর যদি ধরেন, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি তারা কখনও গণহত্যাকে সামনে আনতে চায়নি। তারা সব সময় বিজয়ের ওপর জোড় দিয়েছে। কেননা তাদের সঙ্গে আঁতাত ছিল ঘাতকদের। এখন তারা যদি গণহত্যার কথা বলে তাহলে এসব ঘাতকদের কথা চলে আসে। সুতরাং এটি হারিয়ে গেলো। অর্থাৎ দেশ-বিদেশের রাজনীতির কারণে আমাদের গণহত্যার ঘটনাটা হারিয়ে গেলো।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, গণহত্যার স্বীকৃতির কথা বলতে গেলে প্রত্যেক সরকার দায়ী৷ বর্তমান সরকার বেশি দায়ী। কারণ ইতিহাস আজ পর্যন্ত কেউ নিরেপক্ষভাবে লিখলো না। আমরা যারা রাজনীতি করি, জনগণকে এক জায়গায় আনতে পারিনি। গণহত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যা এখানে আমরা দ্বিমত হবো কেন? আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এখানে কেন বিভিক্ত হয়ে যাচ্ছি। আজ কেন প্রশ্ন জাগবে কতলোক মারা গিয়েছে৷ প্রথম রাতে একলক্ষ লোকে মেরে ফেলেছে। রাস্তায় শুধু লাশ আর লাশ৷ সেইখানেও যদি কথা উঠে এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, আমরা একটা বিভৎস হত্যাকাণ্ডকে চাপা দেওয়ার নানা রকম চেষ্টা দেখেছি এবং পরবর্তীতে সেটাকে জাস্টিফাই করারও চেষ্টা হয়েছে। আমরা দেখেছি আসলে কেন সে সময় কেউ কথা বলেনি৷ এর কারণটা হচ্ছে এই গণহত্যার যে ব্যাপারটি, এর সংজ্ঞা যদি দেখি, জাতিগত নির্মূল বিষয়টা তো ছিল। পাশাপাশি ওদের প্রত্যেকের পরিষ্কার কথা, হিন্দু থাকবে না৷ বাংলা ভাষা থাকবে না। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি করতে গেলে এই জিনিসটা প্রমাণ করা প্রয়োজন। সে সময় শুধু একটা অংশকে হত্যা করা হয়েছিল একটা ধর্মীয় কারণে। রাজনৈতিক কারণ থেকেও বড় কারণ ছিল ধর্মীয় কারণ। এই জায়গাটা আমাদের নিয়ে আসা উচিত।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, ‘সেসময় যতগুলো রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে তা গণহত্যার ভিত্তিতে। এখানে গণহত্যা হয়েছে সেটা বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান, বাংলাদেশের জন্মসনদ পত্রে ছিল। সেটাকেও আমরা হারাতে চলেছি৷ কোনও পাঠ্যপুস্তকেও নেই৷'

প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আসিফ মুনীর বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে ধারণ করি রাজনীতিকীকরনের মাধ্যমে। এইটাই বাস্তবতা, এটার মধ্যেই আমরা আছি। এখন আমরা যদি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই। তখন সেই প্রসঙ্গটা আসবে তোমাদের ইতিহাসের কথাগুলো ঠিক নাই। তোমাদের একেক রাজনৈতিক দল একেকভাবে ইতিহাসকে বলো। সেখানে আমাদের একটা জায়গায় আসতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, গত ৫০ বছরে এটার স্বীকৃতির জায়গায় আমরা বেশিদূর আগাতে পারি নাই৷ এই শিক্ষা থেকে সামনে এটাকে কীভাবে নিয়ে যাবো সেই জায়গা থেকে চিন্তা করতে হবে।’

এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু গোলটেবিল বৈঠকে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন।

গোল টেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান, মানবাধিকারকর্মী রোকেয়া কবীর। 

দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে পরিকল্পনা গ্রহণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাটুরিয়া থেকে গোয়ালন্দে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অননুমোদিত প্রকল্পের তালিকায় রাখা হয়েছে। অর্থ পাওয়া সাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এবিষেয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস বলেছেন, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইআরডি’র মাধ্যমে বৈদেশিক ঋণ চাচ্ছি। এটা ফাইনাল হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া রুটে এ সমীক্ষা করা হয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের মধ্য ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলার বাসিন্দাদের পদ্মা নদী পারাপারে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দে অবস্থানের চেয়ে মাওয়া-জাজিরায় অবস্থানে বেশি সময় লাগবে। ঢাকা এবং দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও নড়াইলের একাংশ, গোপালগঞ্জ, যশোর এবং মাদারীপুর জেলার দূরত্ব কমানোর জন্য পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রস্তাবিত দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ দশমিক ১ মিটার। দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক হবে সাড়ে ১৫ কিলোমিটার। নদীশাসনের কাজ হবে দুই প্রান্তে ১৮ দশমিক ৪ কিলোমিটার। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপান ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি)।

এছাড়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ যাতে এখন থেকেই দাতাদের প্রতিশ্রুতির জন্য কাজ করতে পারে সেজন্য প্রকল্পের একটি প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য দ্বিতীয় পদ্মা সেতুসহ বড় ধরনের ৯টি প্রকল্পে প্রাথমিক খরচ ধরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) যুক্ত করা হয়েছে। মেট্রোরেল লাইন-২, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, কমলাপুরে মাল্টি মডেল হাব নির্মাণ, ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার হাইওয়ে উন্নয়ন, বে টার্মিনাল নির্মাণসহ মোট ৯টি মেগা প্রকল্পে প্রাথমিক খরচ প্রাক্কলন করা হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা।

মেগা প্রকল্পের মধ্যে ২৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকায় মেট্রোরেল লাইন-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। মেট্রোরেল লাইন-২ ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। গাবতলী এমব্যাংকমেন্ট রোড-বসিলা-মোহাম্মদপুর বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড-সাতমসজিদ রোড ঝিগাতলা-ধানমন্ডি ২ নম্বর রোড-সাইন্সল্যাবরেটরি-নিউমার্কেট-নীলক্ষেত-আজিমপুর-পলাশী-শহীদ মিনার-ঢাকা মেডিকেল কলেজ-পুলিশ হেডকোয়ার্টার-গোলাপ শাহ মাজার-বঙ্গভবনের উত্তর পাশের সড়ক-মতিঝিল-আরামবাগ-কমলাপুর-মুগদা-মান্ডা-ডেমরা-চট্টগ্রাম রোড দিয়ে চলবে মেট্রোরেল লাইন-২। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মহাসড়কের উন্নয়নে ১২ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবিত ব্যয় ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর পানি সরবরাহ প্রকল্পে খরচ হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ১৭ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল করবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের কমলাপুরে মাল্টি মডেল হাব নির্মাণ প্রকল্পে খরচ প্রস্তাব করা হয়েছে ২২ হাজার ৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের জন্য পরামর্শক নিয়োগ পর্যায়ে রয়েছে।

পিপিপির অন্য প্রকল্পগুলো হলো- আপগ্রেডেশন ঢাকা-বাইপাস চার লেন সড়ক (মদনপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-জয়দেবপুর) প্রকল্প। এটির ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বর্তমানে নির্মাণাধীন পর্যায়ে আছে। হাতিরঝিল-রামপুরা-বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ-আমুলিয়া-ডেমরা হাইওয়ে সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, ব্যয় হবে দুই হাজার ২১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এটি রয়েছে চুক্তি স্বাক্ষর পরবর্তী শর্ত প্রতিপালনাধীন পর্যায়ে। গাবতলী-সাভার-নবীনগর সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় হবে দুই হাজার ৮৯০ কোটি টাকা, এটির বিস্তারিত সমীক্ষা চলমান।

;

সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থনকারীদের ভিসানীতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই: পিটার হাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রেও তাই চাই। আমি কোনো দ্বিমত দেখছি না।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকায় এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে 'রুটস অব ফ্রেন্ডশিপ: ৫০ ইয়ারস অব ইউএস-বাংলাদেশ রিলেশনস'- শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত হাস এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চ্যালেঞ্জের চেয়ে ইতিবাচক বিষয়গুলো দেখছে। বাণিজ্য, নিরাপত্তা সম্পর্ক, জনগণের মধ্যে বন্ধন, স্বাস্থ্যসেবা এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভালো সংলাপের বিষয়ে আমাদের একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে।

পিটার হাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার ঘোষণায় বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

;

রাজশাহীতে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে গোসল করতে পুকুরে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর হেতেম খাঁ ছোট মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুরা হলো- নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেতেম খাঁ ছোট মসজিদ এলাকার গোবিন্দর ছেলে অনন্ত (৬) ও একই এলাকার নিরেনের ছেলে নির্ঝর (৯)। দুজনেই হেতমখাঁ আজিজুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। নির্ঝর দ্বিতীয় শ্রেণি আর অনন্ত প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেতেমখাঁ কবরস্থান সংলগ্ন পুকুরে নিহত শিশুরা গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে তারা পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুদের একজনকে মৃত ও অপর জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। আহত শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ

ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত এখন আওয়ামী লীগের প্রতি প্রসন্ন না বলে মন্তব্য করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সদস্য মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী সাবেক এমপি হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ।  তিনি বলেন, আজকে দেশতো আমরা ভারতের হাতে দিয়েই দিয়েছি।  না চাইতে অনেক কিছু ভারত পেয়েও তারা এখন আওয়ামী লীগের প্রতি প্রসন্ন না। তারা জানে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করেনা। একচেটিয়া ভাবে রাতের বেলা ভোটের অধিকার হরণ করে। মওদুদ সাহেবকে রাস্তায় বের হতে দেয়নি, বাজারে যেতে দেয়নি। এই কথা গুলো ভুলে গেলে চলবেনা।  এই কথা গুলো আওয়ামী লীগের আসল ইতিহাস।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব মোহাম্মদনগর গ্রামে মওদুদ আহমদের নিজ বাড়িতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন। 

আমেরিকার প্রসঙ্গ টেনে দলীয় নেতাকর্মিদের হাসনা মওদুদ বলেন, আমেরিকা থেকে আপনারা শুনেছেন, যদি কেউ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে বাধা দেয় তাহলে তার বংশধরকে কোন দিন আমেরিকায় ঢুকতে দিবেনা। এবং এটা বিরাট থাপ্পড়। কারণ এদের সবার ছেলে মেয়ে বিদেশে বাস করে।  গণতন্ত্রে কেউ যদি বাধা দেয় আপনারা শুধু ছবি তুলবেন,ভিডিও করবেন।  এ ছবি গুলো সব পশ্চিমা অ্যাম্বাসেডদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।  আমার (বাসা) ভাড়াটিয়া হলো আমেরিকান অ্যাম্বাসেডর। সুতারাং সে এ জায়গার খবর রাখবে। রাখবেনা,নিশ্চয় রাখবে। আমি আমার কাগজ পত্র সব সময় তার কাছে পাঠায়। আমার এলাকায় যদি কোন কিছু হয়। সব চেয়ে আগে খবর যাবে আমেরিকান অ্যাম্বাসেডরের কাছে।  আপনারা সবাই নির্বঘ্নে নির্দিদ্বায় ভোট করবেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধার প্রথম শুরু হবে নোয়াখালী ৫ আসন থেকে।   

সাবেক এমপি হাসনা মওদুদ বলেন,জিয়াউর রহমান তার জীবন দান না করলে এ দেশকে আমরা স্বাধীন ভাবে পেতাম না।  আজকে আমাদের কর্তব্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তার উপযুক্ত সন্তান তারেককে দেশে ফিরে এসে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া। এ সময় তারেককে কেন এত ভয়,এমন প্রশ্ন রাখেন হাসনা মওদুদ। 

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ব্যক্তি গত স্মৃতিচারণ করে হাসনা মওদুদ বলেন, তিনি অত্যন্ত লাজুক হ্যান্ডসাম ছিলেন। মওদুদ আহমেদ জিয়াউর রহমানের একনিষ্ঠ-ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক বন্ধু ছিলেন এবং অনেক ভালোবাসতেন শ্রদ্ধা করতেন। অনেক রাতে জিয়াউর রহমান আমাদের ছোট্র বাসায় ফোন করতেন। আমাদের ছোট বাচ্চা ছিল। আমি একদিন ফোন ধরে বললাম আপনি এতো রাতে ফোন করেছেন। আমারও সাহস কমনা। ঊনি একটু লজ্জা পেয়ে আর ফোন করেন নাই।

হাসনা মওদুদ আরও বলেন, আজকে যে যাই বলুক অনেকে শুনেছে শহীদ জিয়া ঘোষণা দিয়েছেন স্বাধীনতার।  তার এক ডাকে পুলিশ,আর্মি সবাই  একত্রিত হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। ১৯৭১ সালের জুন মাস পর্যন্ত শহীদ জিয়া ছিলেন সেক্টর কমান্ডার-১। তারপর তিনি ছিলেন জিয়া ফোর্সের হেড। বাংলাদেশী ন্যাশনাল ইজমের প্রবক্তা ছিলেন জিয়াউর রহমান। সংবিধানে তিনি বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছেন।  আর্মি-পুলিশে শৃঙ্খলা আনলেন। এরপর মুক্ত করলে খবরের কাগজ। চারটি খবরের কাগজ ছাড়া সব পত্রিকা শেখ মুজিবুর রহমানের সময় বন্ধ ছিল।  বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা আজ প্রকাশ্যে সাংবাদিকতা করতে পারছে জিয়াউর রহমানর মুভমেন্টের কারণে।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সংকটময় মুর্হূতে মওদুদ তার সাথে ছিলেন। রাতের বেলা তিনি ফোন করে করে সব খবর নিতেন। এমন একজন রাষ্ট্রপতি আমরা রাখতে পারলাম না। তাকে হারাতে হলো। আজকে জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ কোথায় উঠে যেত। শ্রমিকদের নিয়ে,কৃষি নিয়ে কথা বলতেন। ইন্ডাস্ট্রি গুলোকে মুক্ত করেছেন। তিনি সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা।   

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফোরকান ই আলমের সভাপতিত্বে ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ গোলাম মোমিত ফয়সাল, কবিরহাট উপজলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান,কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু, কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হুদা ফরহাদ,বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন টিপু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ প্রমূখ।

 

;