‘আ. লীগ সরকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দর্শনে বিশ্বাসী’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দর্শনে বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজীকরণ এবং দেশের উন্নয়নে আমরা আশু, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।

রোববার ২৬ মার্চ ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি দেশে এবং প্রবাসে বসবাসকারী সকল বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতাহার বাস্তবায়ন অগ্রগতিও নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকি। এসকল কারণে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা এবং জোরালো সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকগণকে, যাদের সুযোগ্য দিক নির্দেশনায় সফলভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের আত্মত্যাগের ঋণ কখনও শোধ হবে না। সম্মান জানাই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। কৃতজ্ঞতা জানাই সকল বন্ধুরাষ্ট্র, সংগঠন, সংস্থা, ব্যক্তি এবং বিশেষ করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোতভাবে সহায়তা করেছিলেন।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেকোনো ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালিদের অধিকার ও আত্মমর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে অটল ছিলেন। তাঁর অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ, যে সংগঠন দু'টির সৃষ্টি থেকে শুরু করে তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ওতপ্রতোভাবে জড়িত ছিলেন। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ’৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে এ সংগঠন দু'টির ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

শেখ হাসিনা বলেন, গণরোষের মুখে আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর, বঙ্গবন্ধু। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধু মাত্র বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, শেখ মুজিব অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন এবং ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন। ২৩ মার্চ সারা দেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাক সামরিক জান্তা শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়ার পূর্বেই তিনি স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ডাকে বাংলার মুক্তিপাগল জনতা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধের পর মিত্র শক্তির সহায়তায় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়।

তিনি বলেন, শূন্য হাতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন, অবকাঠামো পুনস্থাপন ও উন্নয়ন এবং উৎপাদন খাত ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতা অর্জনের নয় মাসের মধ্যেই একটি সংবিধান উপহার দেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই তিনি দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেন; জাতিসংঘ সেই স্বীকৃতি প্রদান করে। তাঁর কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ১২৩টি দেশের স্বীকৃতি এবং ২৭টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ’৭১-এর পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালাতে থাকে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে শাহাদত বরণ করেন। খুনি মোস্তাক-জিয়া ও তাদের উত্তরসূরিরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে। বিএনপি ২৫ মার্চে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কুশীলব, মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার খুনিদের ক্ষমতায় বসায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে জয়ী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়। দায়িত্ব নিয়েই সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি প্রবর্তনের মাধ্যমে গরীব ও প্রান্তিক মানুষদের জীবনমান পরিবর্তনের কাজ করা হয়। এ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদকাল ছিল সকল পশ্চাৎপদতা, অনুন্নয়ন ও দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ভেঙে অন্ধকার থেকে আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে অভিযাত্রা। আওয়ামী লীগ আবার ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সবকটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে সরকার পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যেই আমরা রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

সবশেষে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের এ মাহেন্দ্রক্ষণে সকল বাংলাদেশিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ লালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।

একনজরে বাজেট ১৯৭২-২০২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ এই শিরোনামকে সামনে রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (০১ জুন) জাতীয় সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করবেন তিনি। এর আগে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী ।

এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। আইএমএফের শর্ত পূরণের পাশাপাশি জনস্বার্থে ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপ, কিংবা ছাড়ের প্রস্তাবনা দেবেন অর্থমন্ত্রী।

এদিকে আগামী অর্থবছরে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ; তেল, গ্যাস ও সারের বিপুল ভর্তুকি প্রদান, রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানোর মতো বিষয়গুলোকে মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

আজ বাজেট উপস্থাপনের পর নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি পঞ্চম বাজেট। স্বাধীনতা-পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন ওই বাজেট পেশ হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ওই দিন একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর, অর্থাৎ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। এরপর আরও দুবার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ, সেটি সবশেষ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকার।

দেশের জাতীয় বাজেটের ক্রমপুঞ্জি ও বাজেটের আকার ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ( কোটি হিসেবে) উপস্থাপন করা হলো:
অর্থবছর – কে উপস্থাপন করেছেন – মোট আকার – বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)

১৯৭২-’৭৩ – তাজউদ্দিন আহমেদ -৭৮৬ কোটি টাকা – ৫০১ কোটি টাকা
১৯৭৩-’৭৪- তাজউদ্দিন আহমেদ-৯৯৫ কোটি টাকা-৫২৫ কোটি টাকা
১৯৭৪-’৭৫- তাজউদ্দিন আহমেদ- ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা- ৫২৫ কোটি টাকা
১৯৭৫-’৭৬- ড. আজিজুর রহমান মল্লিক-১হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা- ৯৫০ কোটি টাকা
১৯৭৬-’৭৭- মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান- ১ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা-১হাজার ২২ কোটি টাকা
১৯৭৭-’৭৮- লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান- ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা- ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা
১৯৭৮-’৭৯- প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- ২হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা-১ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা
১৯৭৯-’৮০- ড. এম এন হুদা- ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা-২ হাজার ১২৩ কোটি টাকা
১৯৮০-’৮১- এম সাইফুর রহমান- ৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা- ২ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা
১৯৮১-’৮২- এম সাইফুর রহমান- ৪হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা- ৩ হাজার ১৫ কোটি টাকা
১৯৮২-’৮৩- এ এম এ মুহিত- ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা- ২হাজার ৭০০ কোটি টাকা
১৯৮৩-’৮৪- এ এম এ মুহিত- ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা- ৩হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা
১৯৮৪-’৮৫- এম সায়েদুজ্জামান- ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা- ৩হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা
১৯৮৫-’৮৬- এম সায়েদুজ্জামান- ৭ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা- ৩হাজার ৮২৫ কোটি টাকা
১৯৮৬-’৮৭- এম সায়েদুজ্জামান- ৮ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা- ৪হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা
১৯৮৭-৮৮- এম সায়েদুজ্জামান- ৮হাজার ৫২৭ কোটি টাকা- ৫ হাজার ৪৬ কোটি টাকা
১৯৮৮-৮৯- মেজর জেনারেল মুনিম- ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা- ৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা
১৯৮৯-৯০- ড. ওয়াহিদুল হক- ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা-৮হাজার ৮০৩ কোটি টাকা
১৯৯০-৯১- মেজর জেনারেল মুনিম- ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা- ৫হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা
১৯৯১-৯২- এম সাইফুর রহমান- ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা- ৭হাজার ৫০ কোটি টাকা
১৯৯২-৯৩- এম সাইফুর রহমান- ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা- ৯ হাজার ৫৭ কোটি টাকা
১৯৯৩-৯৪- এম সাইফুর রহমান- ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা- ৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা
১৯৯৪-৯৫- এম সাইফুর রহমান- ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা- ১১ হাজার কোটি টাকা
১৯৯৫-৯৬- এম সাইফুর রহমান- ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা-১২ হাজার ১০ কোটি টাকা
১৯৯৬-৯৭- এসএএমএস কিবরিয়া- ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা- ১২ হাজার ৫০ কোটি টাকা
১৯৯৭-৯৮- এসএএমএস কিবরিয়া- ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা- ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা
১৯৯৮-৯৯-এসএএমএস কিবরিয়া- ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা-১৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা
১৯৯৯-২০০০- এসএএমএস কিবরিয়া- ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা-১২ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা
২০০০-২০০১-এসএএমএস কিবরিয়া- ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা- ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
২০০১-২০০২-এসএএমএস কিবরিয়া- ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা- ১৯ হাজার কোটি টাকা
২০০২-২০০৩- এম সাইফুর রহমান- ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা-১৯ হাজার ২০ কোটি টাকা
২০০৩-২০০৪-এম সাইফুর রহমান- ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা- ২০ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা
২০০৪-২০০৫-এম সাইফুর রহমান- ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা- ২২ হাজার কোটি টাকা
২০০৫-২০০৬-এম সাইফুর রহমান- ৬১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা- ২৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা
২০০৬-২০০৭-এম সাইফুর রহমান- ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা- ২৬ হাজার কোটি টাকা
২০০৭-২০০৮- মির্জা আজিজুল ইসলাম- ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা-২৫ হাজার ৬০ কোটি টাকা
২০০৮-২০০৯- মির্জা আজিজুল ইসলাম- ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা- ২৫ হাজার ৪০০কোটি টাকা
২০০৯-২০১০- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা- ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
২০১০-২০১১- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৩২ হাজার১৭০ কোটি টাকা- ৩৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা
২০১১-২০১২- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৬১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা- ৪১ হাজার ৮০ কোটি টাকা
২০১২-২০১৩-এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা- ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা
২০১৩-২০১৪- এ এম এ মুহিত- ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা- ৬০০০০ কোটি টাকা
২০১৪-২০১৫- এ এম এ মুহিত- ২ লাখ ৫০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা- ৭৫০০০ কোটি টাকা
২০১৫-২০১৬-এ এম এ মুহিত- ২লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা- ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা
২০১৬-২০১৭- এ এম এ মুহিত- ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা- ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা
২০১৭-২০১৮- এ এম এ মুহিত- ৪লাখ ২৬৬ কোটি টাকা-১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা
২০১৮-২০১৯- এ এম এ মুহিত- ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা- ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা
২০১৯-২০২০- আ হ ম মুস্তাফা কামাল- ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা- ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা
২০২০-২০২১- আ হ ম মুস্তাফা কামাল-৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা- ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা
২০২১-২০২২- আ হ ম মুস্তাফা কামাল- ৬লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা- ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা
২০২২-২০২৩- আ হ ম মুস্তাফা কামাল- ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা- ২লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা

এ এম এ মুহিত এবং সাইফুর রহমান তাদের নিজ নিজ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে সর্বোচ্চ ১২ বার করে বাজেট পেশ করেন। তবে মুহিত ২০০৯ সালের সর্বশেষ পার্লামেন্টের অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।

;

ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর কাজিরদিঘি এলাকায় কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ভোরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সুবারামপুর এলাকার মো. শিমুল (৩০), তার স্ত্রী ইয়াসমিন (২০) ও কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় পিকআপ ভ্যানচালক আবু সাঈদ (২৯)।

ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ওসি রাশেদ খান চৌধুরী জানান, ভোরে চট্টগ্রাম থেকে এক দম্পতি বাসার মালামাল নিয়ে কুমিল্লায় যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার কাজিরদিঘীতে পৌঁছালে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় তাদের মালামাল বহনকারী পিকআপটি। এতে পিকআপ ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে তিন জন নিহত হন।

এদিকে আহত ব্যক্তিদের পুলিশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন ও আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মরদেহ ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহত দুজন ২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

;

মোল্যা নজরুল আর্মড পুলিশে বদলি, গাজীপুরে নতুন কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের (এপিবিএন) ডিআইজি মো. মাহবুব আলম।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, জননিরাপত্তা বিভাগের ২৫ এপ্রিল স্মারকের আলোকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ৮ মে স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদ্বয়কে বর্ণিত পদে বদলি ও পদায়ন করা হলো। এতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামকে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিনের (এপিবিএন) ডিআইজি এবং এপিবিএনের ডিআইজি মো. মাহবুব আলমকে জিএমপির কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হলো। এ আদেশ ৩১ মে থেকে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

;

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এরদোয়ানের ফোন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

বুধবার (৩১ মে) দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে টেলিফোনে আলাপকালে এরদোয়ান পুনরায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, আলাপকালে এই দুই নেতা কুশল বিনিময় করেন এবং পরস্পরের সঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন।

ভোটে তুরস্কের জনগণ সঠিক প্রার্থী বেছে নেবেন, এমন আস্থা ছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার আস্থা প্রমাণিত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা পুনর্ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের জনগণ চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের মতো যেকোনো প্রয়োজনে তুরস্কের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের পাশে দাঁড়াতে অবিচল থাকবে।

এরদোয়ানে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ে তুরস্কের উচ্ছ্বসিত জনগণের সঙ্গে মানসিকভাবে বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণ একাত্ম ছিল উল্লেখ করে এজন্য তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার কামনা করেন।

তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

কথোপকথনের শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও তার পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং তার মাধ্যমে যেন তুরস্কের জনগণের জন্য শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন।

;