রাজশাহীতে চলছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, দেখা মেলেনি সূর্যের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহীতে চলছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, দেখা মেলেনি সূর্যের

রাজশাহীতে চলছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, দেখা মেলেনি সূর্যের

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে গতকাল রাত থেকেই থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল সূর্যের দেখা পাওয়া গেলেও আজ বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। এদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমায় মানুষের আনাগোনা কমেছে রাজশাহী নগরজুড়ে। মোটা কাপড় পরে মানুষ বের হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ কাজের খোঁজে বের হয়েছেন।

ঋতুরাজ বসন্ত যাওয়ার পর চলছে গ্রীষ্মকাল। মূলত এ সময় মানুষ কালবৈশাখী ঝড়ের আতংকে থাকে। কিন্তু এবার চলতি মওসুমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে অনেকটা ব্যতিক্রমীভাবে। এবার শুরু থেকেই রাজশাহীতে বর্ষাকালের মত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে হতে দেখা যাচ্ছে।

বেশ কয়েকদিন থেকে রাজশাহীর তাপমাত্রা কিছুটা উঠতির মুখে ছিল। এর ফলে ছিল ভ্যাপসা গরমও। আকাশের গতিবিধি ও গরমের কারণে আবহাওয়া অফিসও বারবারই ঝড় বৃষ্টির আভাস দিয়ে আসছিল। সেই আভাসের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সামান্য শুষ্ক ঝড় হলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। কিন্তু শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বর্ষাকালের মত বৃষ্টি শুরু হয়। এতে নগরীর রাস্তা-ঘাট যেমন ফাঁকা হয়ে যায়, তেমনি দুর্ভোগও পোহাতে হয় মানুষকে। যদিও আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ঝড়ো হওয়ার সাথে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে ভারি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা নেই।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনো মাঝারি ধরনের বর্ষণ হচ্ছে। সকাল ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৩ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় রাজশাহী মহানগরীতে দুপুর ৫টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। দিনের তাপমাত্রাও কমেছে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর দুটা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রাস্তার বের হলেও যানবাহন কম থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় সড়কে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ও পথচারীরা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

রিকশাচালক সিদ্দিক আলী সকালেই বের হয়েছেন জীবিকার তাগিদে। তিনি বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে মানুষ বের হয়েছে কম। এ কারণে তিনি ভাড়া কম পাওয়া যাচ্ছে। শীত লাগার আশঙ্কায় গরম কাপড়ও গায়ে দিতে হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারি বৃষ্টি হবে না। এদিকে বৃষ্টির কারণে দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে।

   

বিয়ে, ডিভোর্সের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ নিতে সাধনার প্রতারণা



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেম করে বিয়ের পর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি, যিনি একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা।

কুলসুম আসাদী মহল সাধনা নামে ওই নারীর চতুর্থ স্বামী দাবিদার ওই ব্যক্তির অভিযোগ, সাধনা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফিনল্যান্ডের নাগরিক। গত বছর প্রেমের সম্পর্কের পর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের মাসখানেক পরই স্বামীর কাছে সাধনা মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করতে থাকেন।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী স্বামীর দাবি, সাধনা বিয়ের পর তার ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা দিতে চাপ দেন। সংসার টেকাতে বিয়ের দুই মাস পর যৌথ অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেন। এরপর দুই দফায় দেন আরও ১০ লাখ। এখন আবার তাকে মামলার জালেও ফাঁসানো হয়েছে।

থানায় করা এ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি ও বিয়ের কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাধনা এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন। প্রত্যেক স্বামীর কাছ থেকেই মামলা ও প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন টাকা।

জানা গেছে, মাধ্যমিক পাসের পর সাধনার প্রথম বিয়ে হয় সদ্য অবসরে যাওয়া সাবেক এক আমলার সঙ্গে। বিয়ের মাসখানেক পর ভেঙে যায় সেই সংসার। ১৯৯৬ সালে এক সহপাঠীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ২০০৬ সালে ভেঙে যাওয়া সেই সংসারে সাধনার দুই সন্তান রয়েছে।

এর পর সাধনা ২০১০ সালে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাকে তৃতীয় বিয়ে করেন। আড়াই বছর টেকা ওই সংসার ভাঙে স্বামীর কাছে টাকা দাবি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার মধ্য দিয়ে। ওই স্বামীকে কারাগারে পাঠানোর পর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহার করে।

ভুক্তভোগী সর্বশেষ স্বামীর ভাষ্য, প্রেমের সম্পর্কের পর ১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ আইনে তিনি সাধনাকে বিয়ে করেন। ৭ মাস টিকে থাকা সেই সংসারে তারা একসঙ্গে ছিলেন গত ১৩ মে পর্যন্ত। এর মধ্যে তিন মাসেরও বেশি সময় সাধনা বিদেশে ছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন ওই ব্যক্তি।

ভুক্তভোগী স্বামীর দাবি, বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব, গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা, বিভিন্ন ক্লাবে মদ্যপান করাসহ হঠাৎ প্রায়ই নিরুদ্দেশ হয়ে যেতেন সাধনা। এসবের প্রতিবাদ করলেই হুমকি-ধমকি দেওয়া হতো। স্ত্রী সাধনা এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছেন।

সাধনার চতুর্থ স্বামীর অভিযোগ, নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালতে নির্যাতনের অভিযোগ, যৌতুক আইনে, বিয়ে গোপন করে বিয়ে এবং খোরপোশ দাবিতে তার বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে। তবে বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে হওয়ায় খোরপোশের কোনো বিধান নেই।

গত ২৬ জুন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় ভুয়া ও জাল মেডিকেল সার্টিফিকেট ব্যবহার করেন সাধনা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার জালিয়াতির বিষয় আদালতেও জানিয়েছে।

বর্তমানে ৫১ বছর বয়সী কুলসুম আসাদী মহল সাধনার এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন। তার দাবি, তিনিই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

সাধনা রবিবার (১৭ মার্চ) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি যদি অর্থলোভী হই, দুশ্চরিত্রা হই, মানব পাচারকারী হই, দেহ ব্যবসায়ী হই, তাহলে তিনি (চতুর্থ স্বামী) আমাকে ডিভোর্স দেন না কেন? কারণ, ডিভোর্স দিলে তিনি ধরা পড়ে যাবেন, জবাবদিহি করতে হবে। আমার চরিত্র এত ঠুনকো না।’ প্রথম স্ত্রীর মামলা থেকে বাঁচতে তার স্বামী তাকে জড়িয়ে এসব মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও দাবি সাধনার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি একটি বিয়ের কথা উল্লেখ্য করেন এবং তার আগের স্বামীর রেখে যাওয়া সন্তানরা দ্বিতীয় স্বামীর বলে উল্লেখ্য করেন। এ সময় সাংবাদিকরা তার আগের ৩ টা বিয়ের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আমি যা বলবো সেটাই ঠিক।

আদালতে আপনাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মামলা চলছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালত পুলিশ, সাংবাদিক, ও অ্যাডভোকেটরা আমাকে ঠকিয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগী একটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গুলশান থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. শাহীন মোল্লা। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

অন্য একটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকতা এসআই (নিরস্ত্র) ফাইজুল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সাধনা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। মামলার বিবাদী সাধনা মহল বিদেশের নাগরিক। তার নাম-ঠিকানা-পরিচয় সব কিছু যাচাই করছি। যাচাই-বাছাই শেষে আমরা আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করবো।’

;

পার্বত্য জেলায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্রুত অর্থ ছাড়ের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য জেলায় দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ ছাড়ের সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে তিন পার্বত্য জেলায় ২৬ উপজেলার ১২২টি ইউনিয়নে পাড়া পর্যায়ে (৪ হাজার ৮০০ পাড়াকেন্দ্র) প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করার লক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় করার বিষয়ে কমিটি গুরুত্বারোপ করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের পরিবর্তে প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দিয়ে পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে মেয়াদোত্তীর্ণ রাবার প্লটের লিজ নবায়ন ফি ও অটো নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রাবার বোর্ড; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়ে বৈঠক করে তার সুপারিশ কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন এনজিও’র মাধ্যমে পরিচালিত প্রকল্পগুলো মনিটরিং ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব; চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান; বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। বৈঠকে কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপংকর তালুকদার, পংকজ নাথ, আব্দুল মোতালেব, মো. মঈন উদ্দিন, মাহমুদুল হক সায়েম এবং বেগম জ¦রতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, হেলেন কেলারসহ বিভিন্ন এনজিও’র মাধ্যমে যে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প তিন পার্বত্য জেলায় চলমান তার রিপোর্ট এবং মেয়াদোত্তীর্ণ রাবার প্লটের লিজ নবায়ন ফি ও অটো নবায়ন প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

;

দেশে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের লজ্জাবোধ নেই: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের লজ্জাবোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ আলোচনা সভা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার ভূতের ভয়ে আছে। ঘুমের ওষুধ খেলেও ভূতের ভয়ে ঘুম আসে না।

পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদেরও লজ্জাবোধ ছিল উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, স্বৈরাচারেরও লজ্জাবোধ আছে। শুধু কাপড় দিয়ে শরীর আবৃত করলেই লজ্জা নিবারণ হয় না। এটা হচ্ছে নৈতিকতার লজ্জাবোধ। আওয়ামী লীগের সেটা নেই। আর এরশাদ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরাচার।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যারা ভোটের দিন ভোট দিতে পারে নাই। লাইনে শুধু দাঁড়িয়ে থেকেছে। টাকা আর বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। আমরা সব সময় যেটা বলি, ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। ঠিক একইভাবে আজকে ভোট হোক বা না হোক শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, সবাইতো গণতন্ত্রের কথা বলছে, গণমাধ্যমের কথা বলছে। কিন্তু গণমাধ্যম কী স্বাধীন? আমিতো তা মনে করিনা। আজকাল টেলিভিশনের টকশোতে যেভাবে নির্লজ্জভাবে কথা বলে এটা সাংবাদিকতা না। আবার মালিকদেরও একটা ব্যাপার আছে। প্রতিটা হাউজই কোন সংবাদ যাবে কোন সংবাদ যাবে না সেটাও বাছাই করা হয়। এখন সরকারের প্রশংসা আর চাটুকারিতা করতে করতে অনেকে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন। সাংবাদিকের স্বাধীনতা থাকলে তারা লিখতে পারবে। কিন্তু মালিকরা সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করে, তাই তারা লিখতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আজকে ২০০৮ সাল থেকে জনগণ প্রতারিত হচ্ছে। ভোট কিন্তু একটা উৎসব। ঈদ-পূজার থেকেও বড় উৎসব। কিন্তু আজকে সেটাকে ভাগ করে দিয়েছে শুধু গণতন্ত্রের জন্য। এখন বহু সাংবাদিক রাজনীতিবিদ আছে যারা স্বার্থের জন্য গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্র করে ফেলে। আবার স্বৈরতন্ত্রকে গণতন্ত্র বানিয়ে ফেলে।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, বিএফইউজে'র মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেন, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা রোটারীয়ান এম নাজমুল হাসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

;

এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তির হবে: অতিরিক্ত আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, গত যেকোনো ঈদের চাইতে এবারের ঈদযাত্রা আরও বেশি নিরাপদ এবং অনেক বেশি স্বস্তির হবে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, নাড়ির টানে যারা বাড়ি যাবেন তারা যেনো আবার নিরাপদে ফিরে আসতে পারেন তার জন্য হাইওয়ে পুলিশ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।

ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ পণ্যবাহী ট্রাকের ছাদে উঠে ঈদযাত্রা করবেন না। আমাদের প্রতিটি প্রাণই কিন্তু মূল্যবান। যারা নিজস্ব গাড়িতে চলাচল করছেন শুধু তারা না, যারা আমাদের শ্রমিক পর্যায়ের যাত্রী আছে তারাও যেনো নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করবেন।

অনুষ্ঠানে সেভ দ্য রোডের পক্ষ থেকে ঈদে সড়কে যানজট নিরসনে এবং দুর্ঘটনা কমাতে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

প্রস্তাবগুলো হলো- প্রতি পাঁচ কিলোমিটার অন্তর হাইওয়ে পুলিশ বুথ বা মনিটরিং টিম স্থাপন করতে হবে।

>> শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নয়, সকল রোডে কার্যকরী সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং মনিটর করা।

>> মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য পৃথক লেনের ব্যবস্থা করা।

>> ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ ও সেগুলো দখলমুক্ত করা এবং জেব্রা ক্রসিংগুলো কার্যকর করা। পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ নিযুক্ত করা।

>> নির্দিষ্ট স্থানে বাস স্টপেজ স্থাপন ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ এবং পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, সিটি করপোরেশন আমাদের থেকে ট্যাক্স নেয় অথচ রাস্তাঘাট ঠিক করে না। তাই যানজট নিরসনে সিটি করপোরেশনের আরও ভূমিকা নেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ফুটপাত ইজারা দেওয়া হয়েছে। এগুলো পুলিশের সামনে হচ্ছে। কিন্তু কেউ কি এগুলো দেখে না। এগুলো যদি বন্ধ না হয় তাহলে যানজট বা দুর্ঘটনা বন্ধ করা যাবে না। হাইওয়েতে মিশুক থ্রি হুইলার চলাচলের পিছনে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনে ৭৩টি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই দেখা যায় বড় গাড়ির (বাস/ট্রাক) নামে মামলা হচ্ছে। তাই পুলিশের প্রতি অনুরোধ দুর্ঘটনার তদন্ত করে তারপর যেন মামলা দেওয়া হয়।

;