বরাদ্দ নেই, ঝুঁকি ঠেকাতে বাঁশ



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
বরাদ্দ নেই, ঝুঁকি ঠেকাতে বাঁশ

বরাদ্দ নেই, ঝুঁকি ঠেকাতে বাঁশ

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রাম জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের প্রশাসনিক মূল ভবনে ফাটল ও ধ্বস দেখা দিয়েছে। ভবনের বিভিন্ন জায়গায় পলেস্টার খুলে পড়ে ভেতরের রড বের হয়ে আছে। খুলে পড়া পলেস্টার ও ভবনের ধস ঠেকাতে বাঁশের খুটি দিয়ে ঠেস দিয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। দুই মাস আগে বাঁশের খুটি দিয়ে ঠেস দিলেও সংস্কারের অভাবে ঝুঁকি নিয়েই আতঙ্কের সাথে শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে বরাদ্দ না থাকায় এর থেকে ভালো উপায় ব্যবহার করতে পারছেনা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় একাদশ শ্রেণীর ক্লাস চলছে। শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করাচ্ছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোযোগ কম, তারা মাথার উপরে ধসে পড়া ছাদ ও ধস ঠেকাতে দেওয়া বাঁশের খুটির দিকে তাকিয়ে আছে। মাথার উপরের ছাদ ধসে পড়ার আতঙ্কে শিক্ষার্থীদের একটি শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে ওই শ্রেণিকক্ষকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন স্বয়ং কলেজের অধ্যক্ষ। পাশের শ্রেণিকক্ষে তুলনামূলক পলেস্টার ধস কম হওয়ায় শ্রেণি সংকটের কারণে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার কারণে ভবনটির পলেস্টার খসে পড়ে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ ভবনটিতে বাঁশের খুটি দেওয়ার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, সংস্কারের জন্য কোন বাজেট বরাদ্দ না থাকায় উপস্থিত পলেস্টার ধসে পড়া ঠেকাতে বাঁশের খুটি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে শিগগিরই ভবনটির মেরামত কাজে হাত দেওয়া হবে।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সালে। কলেজটিতে বর্তমানে ১৪টি বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স, ৬টি বিষয়ে মাস্টার্স পূর্বপাঠ, ডিগ্রি পাশ ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী মিলে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। প্রায় ৬২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই প্রশাসনিক মূল ভবনে ৩২টি শ্রেণিকক্ষ, একটি অডিটরিয়াম, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ কার্যালয়সহ কয়েকটি বিভাগের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্পন্ন হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে তা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিরাজ হাসান বলেন, ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও পলেস্টার ধসে পড়ে রড বের হয়ে আছে। কিছুদিন আগে ভবন মেরামতের কাজ শুরু করেছিল। পরে কাজ না করে বাঁশের খুটি দিয়ে রেখেছে। এই অবস্থায় ভয় নিয়ে ক্লাস করি। ক্লাসে মন বসে না। কয়েকদিন আগে আমার এক বন্ধুর গায়ে বাঁশের খুটি খুলে পড়েছিল। ভবনটি সংস্কার না করলে যে কোন দিন বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী প্রিয়াংকা দাস বলেন, ক্লাস রুমের সামনে বাঁশের খুটি, ভেতরে পলেস্টার ধসে গেছে। ক্লাসে বসলে মাথায় পলেস্টার, সিমেন্ট খুলে পড়ে। আমাদের ক্লাসের পাশের রুমটায় ফাটল বেশি হওয়ায় সেটি তালা দিয়ে রেখেছে। কিন্তু ভবনের একদিক যদি ভেঙ্গে যায় পাশের রুমে কি আমরা বেঁচে থাকবো? খুব ভয় ভয় নিয়ে প্রতিদিন ক্লাসে আসি। ভবনটি মেরামত করা জরুরী।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা মো. নাসির উদ্দীন বলেন, এই প্রশাসনিক ভবনটি কলেজের সবচেয়ে পুরাতন ভবন। পুরাতন ভবন হওয়ায় কিছু কিছু জায়গায় পলেস্টার খসে গেছে। একাদশ স্রেণীর দুইটি শ্রেণিকক্ষের ছাদের বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমরা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানোর পর তারা এসে কাজ শুরু করে কিন্তু প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় তারা কাজ বন্ধ করে বাঁশের খুটি দিয়ে রেখে গেছে। কলেজে শিক্ষার্থীর তুলনায় পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ ও ভবন না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই সেখানে ক্লাস চালাতে হচ্ছে। কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, কলেজ প্রশাসনের মাধ্যমে ভবনটির নাজুক অবস্থার কথা শুনে আমি নিজেই সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ভবনটি সংস্কারের জন্য আমাদের কোন বরাদ্দ নেই তাই অতিরিক্ত ধস ও ফাটল ঠেকাতে আমরা বাঁশের খুটি দিয়ে রেখেছি। ওই অবস্থায় ঝুকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস না করানোর জন্য কলেজ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ভবন সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

আমদানির পেঁয়াজে বাজারে স্বস্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একশ ছাড়িয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম পড়তির দিকে। এতে কিছুটা স্বস্তি এলেও দাম এখনও আগের চেয়ে বেশি বলেছেন ক্রেতারা। ভারত থেকে আমদানি হওয়ার পর মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২০-২৫ টাকা কমলেও এখনো ৭০ টাকায় স্থির হয়ে আছে পেঁয়াজের দাম। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

শুক্রবার (৯ জুন) খুচরা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বাজারে খুচরায় বিক্রি হওয়া পণ্যের যে মূল্যতালিকা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দিয়েছে, সেখানে কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দর দেওয়া হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

অপরদিকে এদিন ঢাকায় পেঁয়াজের পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। খুচরায় কারওয়ান বাজারে দর ও টিসিবির দর একই।

খিলক্ষেতের বাসিন্দা রোজিনা ভারতীয় পেঁয়াজ কিনেছেন ৬০ টাকা কেজিতে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের জীবনধারণের ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক ও আকস্মিকভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেমন দুই দিন আগে হঠাৎ পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ৯৫ হল, যা জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আজকে যদিও পেঁয়াজের দাম কমে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, তবুও আমার মনে হচ্ছে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে, কারণ ভারত থেকে লাখ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

মিরপুরের বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ইন্ডিয়ানটা ৬০ টাকা। দাম খুব তো আর কমে আসেনি। পেঁয়াজ লাগে প্রতিদিন। এর দাম আরও কমা উচিত।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সেলিম উদ্দিন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৫ জুন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে মানভেদে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৬ টাকার মধ্যে। দাম আরও কমবে। আশা করছি কোরবানির ঈদে ৩০ টাকার মধ্যে চলে আসবে। আরেক পেঁয়াজ আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে আসায় বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

;

আজ বাজারে আসছে রংপুরের ‘হাঁড়িভাঙা আম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের খ্যাতি ছড়ানো অতি সুমিষ্ট আঁশহীন হাঁড়িভাঙা আম নির্দিষ্ট সময়ের ১০ দিন আগেই বাজারে আসছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি কারণে ২০ জুনের পরিবর্তে আজ শনিবার (১০ জুন) গাছ থেকে আম পারা শুরু হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

রংপুর জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ৭ জুন এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে। আম চাষিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন জানান, পদাগঞ্জ থেকে হাঁড়িভাঙা আম চাষিরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। তাতে তারা দাবি করেছিলেন হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাতে ২০ জুনের পরিবর্তে ১০ জুন করা। কারণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আম পাকা শুরু হয়েছে, আম পরিপুষ্ট হয়েছে। তবে আমের সাইজও ছোট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আম বাগানে রাখা যাচ্ছে না। সে কারণে সরকার নির্ধারিত ২০ জুন যদি আম বাজারজাত শুরু হয়, তাহলে অনেক আম বাগানেই পেকে নষ্ট হয়ে যাবে। এতে আম চাষি, বাগানি ও ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বে। ফলে তারা তারিখ এগিয়ে আনার দাবি জানান।

জেলা প্রশাসক জানান, স্মারকলিপি পাওয়ার পর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তাদের প্রকাশ করা প্রতিবেদনের আলোকে ২০ জুনের পরিবর্তে এবার হাঁড়িভাঙা আম ১০ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত করা হবে। আবহাওয়ার কারণেই মূলত আগেই হাঁড়িভাঙা আম এবার পেকেছে এ কারণে এই সিদ্ধান্ত।

জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণের এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আমচাষি, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

কৃষি বিভাগ জানায়, হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করে অর্থনৈতিক খাতে যুক্ত হবে ২৫০ কোটি টাকারও বেশি। জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আখিরাহাট, পদগঞ্জ, মাঠেরহাট, বদরগঞ্জের গাপোলপুর, লাগেরহাট, সর্দারপাড়া, রংপুর নগরের বড়বাড়ী, সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউপিরকাটাবাড়ি এলাকায় প্রায় তিন হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে সব জাতের আমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে হাঁড়িভাঙা আম।

জেলায় আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙা আমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আম।

;

পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ে অজ্ঞাত গাড়িচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৯ জুন) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের সাড়ে নয় মাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের হাগুড়া গছ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শেখ ফরিদ (২৪) ও একই এলাকার জনাব আলীর ছেলে শরিফুল (২৫)।

জানা যায়, রোববার রাতে শেখ ফরিদ পঞ্চগড়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে শরিফুলকে মোটরসাকেল করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। একসময় সাড়ে ৯ মাইল এলাকায় মহাসড়কে পৌঁছালে অজ্ঞাত এক গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা রাস্তার ওপর মোটরসাকেলসহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।

তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্ত করা হয়।

;

জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিল ডিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে জামায়াতে ইসলামীকে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো লিখিত কোনো অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি।

এর আগে, শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরে এক অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছিলেন, জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি পাবে কি না সে সিদ্ধান্ত শুক্রবার রাতে অথবা শনিবার সকালের মধ্যে জানাবে ডিএমপি।

জামায়াতের সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন, জামায়াতের অতীত ইতিহাস রয়েছে। তারা পুলিশের ওপর নানা নির্যাতন করেছে। বিভিন্ন বোমা হামলার ঘটনায় তাদের নাম এসেছে। দীর্ঘদিন তারা প্রকাশ্যে আসেনি। এখন তারা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করতে চায়।’

গোলাম ফারুক বলেন, জামায়াত সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করেছে। তারা শনিবার বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করতে চায়। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য চেয়েছি জামায়াত শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে কি না। আমরা তথ্য পেয়েছি।

উল্লেখ্য, মাঠের রাজনীতিতে আবারও সরব হতে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। এর অংশ হিসেবে ১০ জুন সমাবেশ করতে চায় দলটি।

;