সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে রাজশাহীতে প্রতিকেজি ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত আছে সবজি ও মাছের দাম।
প্রতিকেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৯০ টাকা কেজিতে। দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৪২০ টাকা কেজিতে। পাতিহাঁস বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা কেজিতে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নগরীর সাহেববাজার, সাগরপাড়া, নিউমার্কেট ও শালবাগান ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এই সপ্তাহে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, কই প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, দেশি কই ৬৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ২০০।
এছাড়াও ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১২০০ টাকা, চিংড়ি মাঝারি ১৩০০ টাকা, প্রতিকেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা কেজি, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা।
এই সপ্তাহে বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি, দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। পটল ৫০ টাকা কেজি, লাউ ৫০ থেকে টাকা, কচু ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০, করোলা ৪০, শশা ৬০ টাকা, বরবটি ৫০, সজনে ৫০, ঝিঙে ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, ভারতীয় ৬০ টাকা, আদা ২২০, রসুন দেশি ২২০, ভারতীয় ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এই সপ্তাহে মুরগির লাল ডিম ৪৮ টাকা হালি, সাদা ডিম ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার টাকা।
সাহেববাজর কাঁচাবাজার এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী মিঠু হোসেন জানান, অল্প বেঁচাকেনায় কর্মচারীর বেতন জোটে না। মুরগির দাম কমে গেছে। আগে বিক্রি করলাম ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। আর এখন ১৬০ টাকা।
এদিকে সবজি ব্যবসায়ী মুকুল জানান, বাজারে প্রচুর সবজি, কিন্তু কেনার লোক নেই, বেঁচাকেনা নেই। আমাদের সীমিত বেঁচাকেনা এখন। দাম কমলে ব্যবসা বাড়বে। দাম বাড়লে ব্যবসা কমে যায়।