সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা জরুরি: জাতিসংঘ
সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সভা–সমাবেশের অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ক্লেমেন্ট ভউল।
সোমবার রাতে এক টুইটে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভ সমাবেশে সহিংসতা ও গ্রেফতারের মাত্রা বাড়ছে, এ অবস্থায় আমি সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার টুইটে আরও বলেন, দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোকে বলব, তারা যেন সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি।
বাংলাদেশের পতাকার একটি ছবি জুড়ে দিয়ে টুইট করেন জাতিসংঘের এই বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, স্বচ্ছভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে এবং সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহি করতে উৎসাহিত করি। বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আহ্বান জানাই দেশটির সরকারকে। সেই সঙ্গে আমাদের প্রত্যাশা দেশটিতে শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত হয়ে যেন জনগণ তার উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে এমন পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে সরকাকেই। এ ছাড়া প্রতিটি দলকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান জানাতে হবে। সবরকম সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন থেকে দূরে থাকতে হবে তাদের।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে সকলের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। ভোটার, রাজনৈতিক দল, তরুণ সমাজ এবং পুলিশের ভূমিকা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক সহিংসতার পরিবেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না বলেও মনে করেন তিনি।