৬ মাসে রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৩১: এসসিআরএফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৩৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১১০ জন।

শনিবার (৫ আগস্ট) শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মধ্যে জানুয়ারিতে সবচেয়ে কম ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে সর্বাধিক ৪৪টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন ৩৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৮ জন।

এসসিআরএফ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এপ্রিলে ১৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০ জন এবং আহত হয়েছেন আর ৬৯ জন।

মে মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৪টি। এতে ২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। জুন মাসে ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হয়েছেনে ১৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৩।

এসসিআরএফ জানায়, রেলপথ দুর্ঘটনার উপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং ১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, ৫টি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা ও ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে রেল পরিবহন ব্যবস্থা ও দুর্ঘটনার উপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দুর্ঘটনার ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ।

   

বালিয়াকান্দির নতুন ইউএনও কাবেরী রায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাজবাড়ী
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেছেন কাবেরী রায়। রবিবার (২ জুন) সকালে তিনি উপজেলাতে যোগদান করেন।

অপরদিকে, এই এলাকার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলী হয়েছেন।

জানা যায়, বালিয়াকান্দির নবাগত ইউএনও কাবেরী রায় ২০১৭ সালে ৩৫তম বিসিএস (প্রশাসন) এর কর্মকর্তা হিসেবে চাকরীতে যোগদান করেন।

বালিয়াকান্দি উপজেলাতে যোগদানের পূর্বে তিনি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত ৭ মে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় তাকে বালিয়াকান্দিতে পদায়ন করে। তার জন্মস্থান দিনাজপুর জেলায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জননী।

প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা হিসেবে জনগনের সেবা দিতে তার ওপর অর্পিত যে দায়িত্ব রয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে তিনি সচেষ্ট থাকবেন।

এ জন্য তিনি সকল পেশা ও শ্রেণীর মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি বালিয়াকান্দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সদ্য বিদায়ী রফিকুল ইসলাম যোগদান করেন।

২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলী করে প্রজ্ঞাপন জারী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

;

পাহাড়ে দিব্যি কাজ করছে কালো তালিকাভূক্ত ঠিকাদারেরা !



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাঙামাটি
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিথ্যা নথিপত্র ও যোগ্যতা প্রমাণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট্য দপ্তরে জমা না দেওয়ার অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামে শতকোটি টাকার উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নকারি বেশ কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভূক্তি করেছে সওজ কর্তৃপক্ষ।

তালিকাভূক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড, মি. ইউটি মং, ইউনুছ এন্ড বাদ্রার্স।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক সার্কেল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন হায়দার।

তিনি জানান, চলমান ডিভার্ট ক্যাটাগরিতে নামোল্লেখ থাকাকালীন সময়ে কালো তালিকাভূক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো আর কোনোভাবেই ইজিপিতে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, জালিয়াতির অভিযোগে কালোতালিকাভূক্ত হওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত দিব্যিই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত এসব ঠিকাদারেরা।

এদিকে ইজিপি প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম ওয়েব পোর্টালে উল্লেখ করা হয়েছে, খাগড়াছড়ির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা ও বান্দরবানের মি. ইউটি মং নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি পার্বত্য রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ব্রীজ নির্মাণসহ সড়ক উন্নয়নের চলমান কাজগুলোর তথ্য প্রদান না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে।

এছাড়াও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ফলস ডকুমেন্ট দিয়ে ইজিপি টেন্ডারে অংশ নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করছে। এই ধরনের প্রতারনামূলক আচরণের জন্য রাঙামাটি সড়ক সার্কেল অফিসের আওতাধীন সওজ কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট্য কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন প্রকৌশলী জানিয়েছেন, চলমান কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অনলাইনে সাবমিট করার পর সেসব কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট্য টেন্ডার কাজের নোহা এবং কার্যাদেশ প্রদান করাই হচ্ছে নিয়ম।

কিন্তু, ভিন্ন উপায়ে কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই না করে টেন্ডার কাজ দিয়ে দেওয়ার পর সেকাজ বাস্তবায়নাধীন সময়ে কালো তালিকাভূক্ত করার বিষয়টি রহস্যজনক।

অপরদিকে দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দূপ্রক) রাঙামাটির সভাপতি ওমর ফারুক বলেছেন, কাজ দেওয়ার আগেই কাগজপত্র যাচাইয়ের দরকার ছিলো এবং সেটিই নিয়ম। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া শতকোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করবে; এই ধরনের প্রতারনামূলক আচরনের দ্বায়ভার সংশ্লিষ্ট্য অফিস কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। যেসকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এখন কালো তালিকাভূক্ত করা হলো,কার্যাদেশ দেওয়ার আগেই কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং এই ক্ষেত্রে আইনের চরমভাবে ব্যতয় ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেছেন দূপ্রক সভাপতি।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কালো তালিকাভূক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা রাঙামাটি সড়ক সার্কেল অফিসের আওতাধীন টেন্ডার আইডি নং-৭৩৮৭১৭, ৮১৪৯৩৮, ৭৩৯১২৩, ৭৩৮৯২৫, ৮৫৩৬৩৮ এই পাচঁটি টেন্ডার কাজ বাস্তবায়ন করছে।

রাঙামাটি মহালছড়ি খাগড়াছড়ি-২ সড়কে ৬০.৭৫০ মিটার দীর্ঘ সোনাইছড়ি সেতু, রানিরহাট-কাউখালী রোডে ৬৩.০৫৫ মিটার দীর্ঘ বেতছড়ি সেতু। বান্দরবানের আজিজনগর-গজালিয়া-লামায় সড়কে ২৫.৭৪ মিটার দীর্ঘ কাট্টলীপাড়া ব্রিজ, খাগড়াছড়ির-দীঘিনালা-বাঘাইহাট-সাজেক রোড এর ডাইভারশন রোড ও অ্যাপ্রোচ রোডসহ জামতলী ব্রিজ) নির্মাণ, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক, ঘাগড়া- চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়ার সারফেস ড্রেনসহ আরসিসি রিটেনিং ওয়াল, মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি রোড এবং বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী রোডের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়নি এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

অপরদিকে, বান্দরবানের মালিকানাধীন মি: ইউটি মং নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাস্তবায়িত টেন্ডাই আইডি নং-৭৫৫৭১৮, ৭৩৯০৪১ এবং ৭৩৯১৫৬ এর টেন্ডার কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বান্দরবানের লামা-আলীকদম রোডের ফাইসাখালী ইয়াংছা ব্রীজ, রোয়াংছড়ি রুমা সড়কের কলাতলী ব্রীজ ও বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি-আলীকদম-নাইখংছড়ি খালের উপর গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ এই প্রকল্পগুলোতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউটি মং তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সওজ কর্তৃপক্ষের নিকট তথা ইজিপি’তে সাবমিট করেনি।

রাঙামাটিতে কাজ করা কুমিল্লার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যাপারে সরকারি ইপ্রকিউর ওয়েব পোর্টালে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফলস ডকুমেন্ট সাবমিট করায় তাদেরকে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।

সওজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিকবার নোটিশ প্রদানের পরও উপরোক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় তাদেরকে কালো তালিকাভূক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, কালো তালিকাভূক্তির পরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আতাঁত করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিল প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা টেন্ডার আইনের সম্পূর্ন বিরোধী।

অফিসের কতিপয় কর্মকর্তারা বড় বড় এসকল ঠিকাদারদের সাথে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করেই নিজেদের স্বার্থে অবৈধ পন্থায় টেন্ডার কাজ পেতে সহায়তা করে। এতে করে সরকারকে নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করা বৈধ ঠিকাদাররা কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে।

;

দেড় ঘন্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ময়মনসিংহ
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দেড় ঘন্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

রবিবার (২ জুন) রাত পৌনে ১১টার দিকে শিবগঞ্জ রোড রেলক্রসিং এলাকায় ব্রহ্মপুত্র ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়।

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের এটিএসআই কার্তিক রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এটিএসআই কার্তিক রায় বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন গফরগাঁও স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর শিবগঞ্জ রোড রেলক্রসিং এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে ঢাকা ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত শিবগঞ্জ রোড রেলক্রসিং এলাকায় ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন দাড়ানো আছে।

তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ থেকে বিকল্প ইঞ্জিন রওনা হয়েছে। বিকল্প ইঞ্জিনটি আওলিয়ানগর স্টেশন পর্যন্ত চলে আসছে। সেটি এসে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে ময়মনসিংহের দিকে রওনা হবে।

;

সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্তের আদালতে স্বীকারোক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম কুড়িগ্রাম
আসা‌মি জয়নাল (বামে) ও আলম (ডা‌নে)। ছবি: সংগৃহীত

আসা‌মি জয়নাল (বামে) ও আলম (ডা‌নে)। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা আদায়ের নামে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই আসামির মধ্যে প্রধান আসামি জয়নাল আবেদীন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রবিবার (২ জুন) আসামিদের কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (রাজিবপুর আমলি) নিলে প্রধান অভিযুক্ত জয়নাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, গ্রেফতার দুই আসামিকে রবিবার রাজিবপুর আমলি আদালতে নেওয়া হলে জয়নাল আবেদীন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু তালেব মিয়া আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন।

পরে আসামি জয়নাল আবেদীন ও আলম মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

জিআরও হুমায়ুন বলেন, আসামিদের কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে চর রাজিবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা আদায়ের নামে দিনের পর দিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় স্বামীসহ মামলা করতে গেলেও থানায় ঢুকতে না পেরে ফিরে আসেন তারা।

স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার চেয়েও না পেয়ে ক্ষোভ আর অভিমানে বিষপান করেন ওই দম্পতি। পরে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে থানা পুলিশ।

বিষপানের ৭ দিন পর নিহতের মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জয়নাল কসাই ও তার এক সহযোগি আলম কসাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অপর দুই আসামি শুক্কুর আলী ও সোলায়মান নামে এখনও পলাতক রয়েছেন। আসামিরা সবাই পেশায় কসাই বলে জানা গেছে।

;