দূর্গম পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেফতার ২
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ এবং মূলহোতা জাহাঙ্গীর আলম ও তার এক সহযোগিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) উপজেলার ছিন্নমূল পাথরিঘোনা দূর্গম পাহাড়ি এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাগান বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৯) ওই এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে ও মো ইমন (২৪) মো. ইউসুফের ছেলে।
র্যাব জানায়, আমাদের কাছে তথ্য ছিল কতিপয় ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুন্ডের পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্রের কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি পূর্বক স্থানীয় জলদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী এবং ডাকাত দলের সদস্যদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল দীর্ঘদিন যাবত গোয়েন্দা তৎপরতা চালাতে থাকে। যেহেতু এলাকাটি দূর্গম পাহাড়ি এলাকা এবং অপরিচিত কাউকে দেখলেই অস্ত্র তৈরির সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্যগণ সতর্ক হয়ে যেত যার ফলে তাদের অবস্থান সনাক্তকরণ ছিল একটি কঠিন বিষয়। গোয়েন্দা তৎপরতায় ও পাহাড়ি এলাকার ভিতর দিয়ে বিশেষ কৌশলে এলাকায় প্রবেশ করায় ওই চক্রের সদস্যরা টের পায়নি। পরে কারখানার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাগান বাড়ির টিনের দোচালা ঘরে অভিযান পরিচালনা করে সদ্য প্রস্তুত করা ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ প্রধান কারিগর মো. জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী মোঃ ইমনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক গণমাধ্যম তাপস কর্মকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপস সংবাদের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আমাদের একটি চৌকশ টিম তাদের গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পরষ্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র স্থানীয় জলদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী এবং ডাকাত দলের সদস্যদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। স্থানীয় সূত্রমতে ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আটককৃত আসামীরা ৭-৮ বছর ধরে এই পেশার সাথে জড়িত। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলের দৃষ্টি এড়াতে মাঝে মাঝে লোক দেখানো কৃষি কাজ করে থাকে।
সিডিএমএস পর্যালোচনা করা আসামি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সীতাকুন্ড থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, বিশেষ ক্ষমতা, ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদকদ্রব্য আইন সংক্রান্তে ৮ টি মামলা পাওয়া যায়।
আসামি ও উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র এবং জব্দকৃত অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।