বাড়ছে যমুনার পানি, ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা



সাহিদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তৃতীয় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও অন্যান্য নদের পানি। পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙতে শুরু শুরু করেছে নদীর পাড়। গত কয়েক দিনে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের ২০টি পরিবারের বসতভিটা যমুনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে অর্ধকোটি টাকার ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট সদ্য নির্মিত বড়খাল উচ্চ বিদ্যালয় ও শত শত পরিবারের বসত বাড়ি।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের বড়খাল ও মাঝিপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, পানি বাড়ার সাথে সাথেই বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকাল থেকে বড়খাল, মাঝিপাড়া ও বওলাতলী খানপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বিগত দিনে অল্প ভাঙন হলেও এবার তীব্র স্রোতে বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনেই যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে দশটি পরিবারের বসতভিটা। এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আরও শতাধিক পরিবার। অনেকের শেষ সম্বল এই বসতভিটা। সবকিছু হারিয়ে অসহায়ের মত পথেই ঠাঁই হচ্ছে তাদের।

ভাঙনের শিকার হোসেন আলী খুট্ট বার্তা ২৪.কমকে বলেন, এক সময় আবাদী জমি বসতভিটা সবই ছিল তার। সর্বনাশা যমুনার গর্ভে তা বিলীন হয়ে গেছে। শেষবার যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল সে স্থানটিও যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেল। এখন পরিবার নিয়ে মাথাগোজার ঠাঁই টুকুও নেই। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কোনো রকমে দিনপাত করছেন।

বড়খাল গ্রামের সুলতান মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এ এলাকা যমুনার ভাঙনে জর্জরিত। পানি উন্নয়ন বোর্ড তড়িঘড়ি করে জিও ব্যাগ ফেলে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করে। সে চেষ্টাও বিফলে গেল এ বছর। যমুনায় তীব্র স্রোতের তোড়ে ভেঙে নেয় জিও ব্যাগের ডাম্পিং। ভাঙন রোধে স্থায়ী পদ্ধতি প্রয়োগের দাবি জানান তিনি ।

মাঝিপাড়া গ্রামের সুকুমার চন্দ্র দাস বলেন, যমুনার গর্ভে এ অঞ্চলের হাজার হাজার একর জমি ও শত শত মানুষের বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। যমুনা যে ভাবে ভাঙছে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অল্প সময়ের মধ্যে বড়খাল, মাঝিপাড়া ও বওলাতলী খানপাড়াসহ চরডাকাতিয়া ও খোলাবাড়ী যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।আমাদের দিনরাত কাটছে এখন ভাঙন আতঙ্কে।


বড়খাল গ্রামের আলী হায়তার বাবুল ও শফিকুল ইসলাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও ব্যাগের ডাম্পিং যমুনার স্রোতের কাছে তুচ্ছ। দেওয়ানগঞ্জের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বড়খাল, মাঝিপাড়া ও বওলাতলী খানপাড়া গ্রামকে ভাঙনের হাত থেকে বাঁচাতে স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে দেওয়ানগঞ্জের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে ঐতিহ্যবাড়ী বড়খাল গ্রাম।

ওই এলাকার তোতা মিয়া, মিজান, সবুজ মিয়াসহত আরও অনেকেই বার্তা২৪.কমকে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড গত ২০২১ সালের শুরুতে বড়খাল গ্রামে ভাঙন কবলিত যমুনার বামতীরে ১০০ মিটার বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। বর্ষা মৌসুমের প্রথম দিকে তার ভাটিতে আরও ১৫০ মিটার বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেন। সে ডাম্পিং তীব্র স্রোতে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায় এবং পূর্বের ন্যায় আবারও ওই স্থানে ভাঙন শুরু হয়। তৃতীয় দফায় হঠাৎ করে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে ভাঙন চাপে বড়খাল, মাঝিপাড়া ও বওলাতলী খানপাড়ায়।

চিকাজানী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আক্কাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, জিও ব্যাগের ডাম্পিং এর পরিবর্তে ইটের ব্যারাক করে ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে এ নদীর ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে না। যমুনার ভাঙন কবলিত বড়খাল, মাঝিপাড়া, বওলাতলী খানপাড়াসহ চরডাকাতিয়া হয়ে খোলাবাড়ি পর্যন্ত ভাঙনরোধের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে জেলা পাউবোকে জানানো হয়েছে।

জামালপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে জানান, যমুনার ভাঙন রোধের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে সমীক্ষা চলমান রয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন বার্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় জানান, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

;