বিলুপ্তির পথে বাংলাদেশের প্রথম রেল স্টেশন ‘জগতি’



এস এম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের প্রথম রেল স্টেশনের নাম ‘জগতি’। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রথম রেলগাড়ি চলেছিল। ১৫৮ বছর বয়সী রেল স্টেশনটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ রেলস্টেশনে দু’টি লোকাল ট্রেন ছাড়া আর কোনও ট্রেন থামে না।

ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির তৈরি সেই সময়ে ব্রডগেজ রেলপথ ধরে রানাঘাট থেকে দর্শনা হয়ে একটি ট্রেন এসে থেমেছিল কুষ্টিয়ার এই জগতি রেলস্টেশনে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রেল কোম্পানি ভারতবর্ষে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কাজের জন্য রেলপথ চালু করে। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এ অঞ্চল বেশ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে এই জগতিতে রেলপথ ও স্টেশন নির্মিত হয়। পরবর্তীতে এখানে ‘কুষ্টিয়া চিনিকল’ প্রতিষ্ঠিত হলে আখ সরবরাহ ও অর্থনৈতিক কাজে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এই রেলস্টেশন।

যে স্টেশন জুড়ে থাকত মানুষের ব্যস্ততা, জ্বলেছে চকচকে আলো, সেখানে এখন ভুতুড়ে পরিবেশ। পরিত্যক্ত দ্বিতল ভবনটি এক সময়ের বিখ্যাত জগতি রেলস্টেশন। ভবনে ফাটল ধরায় ওপর তলাতে যাওয়া নিষেধ। ভেঙে পড়েছে ওয়েটিং রুম আর ক্ষয়ে গেছে প্ল্যাটফর্ম। ১৯৮৪ সালেও যেখানে ২৬ জন কর্মকর্তা ছিল এখন সেখানে মাত্র একজন কর্মকর্তা পাহারা দিয়ে রেখেছেন স্টেশনটি।

জগতি রেলস্টেশন দেখাশোনার জন্য দায়িত্বে নিয়োজিত পিম্যান বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি এখানে আট বছর আছি। এই সাত বছর আগেও এখানে ছয়জন স্টাফ ছিলাম। এখন শুধুমাত্র আমি স্টেশনটি পাহারা দিয়ে রেখেছি। স্টেশনের পাশ দিয়ে একটি রেল গেট রয়েছে মাঝে মাঝে সেটিও আমাকে দেখতে হয়। ট্রেন আসলে আমি ঘণ্টা দেব, নাকি রেল গেট ফেলবো, একা এসব করা যায় না। তারপর সন্ধ্যা হলে এখানে কুকুর বিড়ালও আসে না, বিদ্যুৎ নেই, হারিকেনে তেল থাকে না, মাঝে মাঝে অন্ধকারে থাকি। সন্ধ্যার পরে ভুতুড়ে পরিবেশ হয়। এ সময় নেশাখোররা এসে এটা ওটা চুরি করে নিয়ে যায়। বাথরুম নেই, গোসলখানা নেই, এভাবে এখানে থাকা যায় না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বললে তারা বলেন, ইচ্ছে হলে চাকরি করেন না হলে করবেন না। বৃদ্ধ বয়সে পেটের দায়ে চাকরি করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এখন সারাদিনে মেইল ও স্যাটল ট্রেন দুইবার করে থামে। এর আগে বিল্লাল হোসেন ‘৮৪ সালে এখানে চাকরি করে গেছেন। তিনি বলেন, সেই সময়ে ২৬ জন স্টাফ ছিল। তখন ঈগল পাখির পাখার মতো দেখতে সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি এখানে ঢোকা ও বাইরে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ হতো। টিকিট কাউন্টার ছিল, সেইসব কিছুই নেই। সেইসব যন্ত্রাংশ কিছুই নেই। আরো কিছু আছে যা পড়ে থেকে থেকে নষ্টের খাতায় চলে যাচ্ছে।

গেল ৩০ বছর ধরে রেল স্টেশনে চায়ের দোকান দিয়ে বসে আছেন ফিরোজ আলী। তিনি বলেন, জগতি হেভি স্টেশন, ছোট বেলায় মানুষের আর রেল গাড়ির ভিড়ে এখানে আসা যেত না। রেল গাড়ির নিচ দিয়ে এখানে আসতাম। স্টেশন তারকাটা দিয়ে ঘেরা থাকতো, আমরা দূরে দাঁড়িয়ে দেখতাম। স্টেশনে লোকজন বোঝাই থাকতো। মানুষের ভিড়ে অনেক সময় ট্রেনে উঠাই যেত না। এখন স্টেশনে কিছুই নেই। স্টেশনটি ভালো হলে শুধু আমাদের নয়, সবারই ভালো হবে। সরকারের আয় বাড়বে, এ এলাকারও উন্নয়ন হবে।

এলাকাবাসী বজলুর রশিদ বলেন, এই সেদিনের কথা তখনও দু’টি ইন্টারসিটি রেল গাড়ি এখানে দাঁড়াত। ডাবল রেল লাইন ছিল। এখন আর ইন্টারসিটি দাঁড়ায় না, ডাবল লাইন উঠে গিয়ে এখন সিঙ্গেল লাইন হয়েছে। যাত্রীদের অসুবিধে হয়। কখন কোন রেলগাড়ি দাঁড়ায় আমরা টেরও পাই না। এ জন্য যাত্রীও কমে গেছে। তিনি বলেন, দেশের প্রথম রেল স্টেশন এটি কিন্তু এ পর্যন্ত এর গায়ে হাত দেয়া হয়নি (উন্নয়ন কাজ হয়নি)। বাথরুম, গোসলখানা থেকে শুরু করে এখানে সবই ছিল। আস্তে আস্তে এগুলোর কিছুই এখন নেই। ব্রিটিশ আমলে তৈরি রেলের দৃষ্টিনন্দন বিল্ডিংও পরিত্যক্ত হয়েছে। যেকোনো সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে।

বয়সে প্রবীণ আফতাব উদ্দিন বলেন, জগতি খুব বড় স্টেশন ছিল। এরকম দোতালা স্টেশন আমার জানামতে আর নেই। এর সবই নষ্ট হয়ে গেল। বহু বছর হলো বৃট্রিশ আমলে তৈরি বিল্ডিংটিতে কেউ যায়নি। ভেতরে গাছ জন্মেছে। ওয়াল ফেটে ভেঙে গেছে। মানুষ এখন এখানে ১০ মিনিট বসবে সেই জায়গাও নেই। মাঝে পাথরের দিতে রেল গাড়ি এসে দাঁড়ায়। পাথরওলারা যেটুকু জায়গা রয়েছে সেটিও দখল করে রেখেছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি দেশের সব স্টেশনে কাজ হচ্ছে বা হয়েছে তবে, দেশের প্রথম এই রেল স্টেশনের কাজ কেন হয় না, কেন এখানে ইন্টারসিটি দাঁড়াবে না? এর ব্যবস্থা করতে হবে।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, অন্যকোন দেশ হলে ইতিহাসের অংশ হিসেবে এই জগতি রেলস্টেশনকে ঐতিহাসিক স্থানে রূপ দিত। স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এখানে ট্রেন না থামা, শহর গড়ে না ওঠা, সড়ক পরিবহনের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন চক্রান্তের ফলে গুরুত্ব হারিয়েছে দেশের প্রথম রেলস্টেশনটি। যে কারণে এটি উন্নয়ন বঞ্চিত।

বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. আমানুর আমান বলেন, কেন এই স্টেশনের কাজ হয়নি, মূলত এটি আমাদের একটি যন্ত্রণার কারণ। অন্যান্য দেশ হলে এই জগতি রেল স্টেশনটি হতো বিশ্ব হেরিটেজের অংশ। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারিনি। দেশের প্রথম রেল স্টেশন হিসেবে এটির আরও উন্নয়ন করা দরকার ছিল। কিন্তু কোনও সরকারই এটি করেনি। এর ফলে রেলের ইতিহাসই নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এটিকে হেরিটেজের অংশ করা উচিত ছিল।

ড. আমানুর আমান জগতি রেল স্টেশনের গুরুত্ব হারানোর পেছনে সরকারের উদ্যোগ না দেয়াকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, সেই সময়ে এটির উন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া হলে কুষ্টিয়া শহরটিই হয়তো জগতি কেন্দ্র করে গড়ে উঠতো। তিনি আরও বলেন, এখনও সময় আছে আমি মনে করি দ্রুত বর্তমান সরকার সেই উদ্যোগ নেবেন।

এসব বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে জগতি রেলস্টেশনের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে জায়গা দখলমুক্ত করা হবে এবং স্টেশনটি আধুনিকায়ন করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন বার্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় জানান, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

;