শুধু কয়লা আমদানিতে সীমাবদ্ধ হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ 
গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর

গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর

  • Font increase
  • Font Decrease

আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্থলপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। একই সাথে গুরুত্ব বাড়ছে স্থলবন্দরগুলোর। আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরকে পুর্ণাঙ্গ ঘোষণা করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করা হলেও রপ্তানি তো দুরে থাক, বছরে ৬ মাস শুধু ইট পোড়ানোর কয়লা আমদানির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে এই স্থলবন্দর। বছরের বাকি সময় মূলত বন্ধ থাকে বন্দরটি। তবে, আমদানি-রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

গোবরাকুড়া স্থল বন্দরে ঢুকতেই চোখে পড়ে বড় বড় কয়লার স্তুপ। তবে, স্থলবন্দর বিরাজ করছে শুনশান নিরবতা, নেই কোনো মানুষ। কয়লার স্তুপের মাঝে মাঝে রয়েছে ব্যবসায়ীদের বসার জন্য ঘর। ওই ঘরগুলোতেও তালা দেয়া। এরপরই চোখে পড়ে স্থল বন্দরের প্রশাসনিক ভবন। সেখানে গিয়েও গেইটের দারোয়ান ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি।

গোবরাকুড়া স্থল বন্দর থেকে কড়ইতলী স্থল বন্দরের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। কড়ইতলী স্থল বন্দরে গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়, বড় বড় স্তুপ করে কয়লা রাখা হয়েছে। সেখানেও মানুষজন নাই। বন্দরের প্রধান ফটকে তালা দেয়া। সিকিউরিটি গার্ডের কাছে দেয়ার পর পরিচয় দেয়ার পর গেইট খুলে দেন তিনি। ভিতরে রয়েছে আমদানি-রপ্তানি করার সকল সুবিধা। 

বছরে ৬ মাস শুধু কয়লা আমদানিতে সীমাবদ্ধ হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর

যেভাবে শুরু গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর

১৯৭৯ সালে কড়ইতলী ও ১৯৯৭ সালে গোবরাকুড়া শুল্ক স্টেশনের মধ্য দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়। কড়ইতলী ব্যবসায়ীদের নিয়ে কড়ইতলী কোল অ্যান্ড কোক ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও গোবরাকুড়া আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ নামের দুটি সংগঠন সৃষ্টি হয়। এই দুটি সংগঠন কড়ইতলী-গোবরাকুড়া স্থলবন্দর নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এরপর প্রায় ৬ বছর পার হলেও গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর পূর্ণাঙ্গ হয়ে উঠেনি। পরে ২০১৮ সালের ১ জুলাই ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১.১৪ একর জমির উপর গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের কাজ শুরু করে। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১১ মার্চ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় নির্মিত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর উদ্বোধন করেন। পরে ১৭ মে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের গোবরাকুড়া অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামাঙ্কিত উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।

পুর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে যে সকল সুবিধা রয়েছে

বন্দরের সিমানা প্রাচীর, বন্দরের অভ্যন্তরীণ সড়ক, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, ৪০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্য দুই ওয়্যারহাউজ, অফিস ভবন, ডরমিটরী ভবন, ব্যারাক ভবন ও পাওয়ার হাউজ, বন্দরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টয়লেট কমপ্লেক্স, আমদানী-রপ্তানী পন্যের সঠিক পরিমাপের লক্ষে ১০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৪ টি ডিজিটাল ওয়েব্রীজ স্কেলসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

এই বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি যোগ্য পণ্যসমুহ

গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর দিয়ে প্রধানত কয়লা ও পাথর আমদানী হয়ে থাকে। তাছাড়া, তাজা ফলমুল, গাছপালা, বীজ, হম, রাসায়নিক সার, চায়না-ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনা পাথর, পেয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, ফুল ঝাড়ু, ডাব, হলুদ, কাজু বাদাম, তেতুল, তীল, সরিষা, ভুসি, চাউলের গুড়া, গবাদিপশু ও মাছের পোনা আমদানিকরণের অনুমোদন রয়েছে। তবে, সিমেন্ট, প্লাস্টিক পন্য, শিশুখাদ্য রপ্তানির অনুমোদন রয়েছে।

যেভাবে চলছে গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর

ভুটানসহ ভারতের সেভেন সিস্টারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে হালুয়াঘাটের গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। লক্ষ্য ছিল, ভুটান-ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়লা, পাথর, মসলা, পেঁয়াজ, রসুন, বাঁশ, পোশাকসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি করা। কিন্তু এখন এই বন্দরের কার্যক্রম শুধু কয়লা আমদানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কয়লা আমদানীর কার্যক্রম চলে ৬ মাস। বছরের বাকি সময় এই বন্দর কার্যত বন্ধই থাকে।

কর্মসংস্থান

হালুয়াঘাটের গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের দুইটি পোর্টে অন্তত ৫ শতাধিকের বেশি আমদানী কারক রয়েছে এবং প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক রয়েছে। আমদানি বন্ধ থাকলে আমদানিকারকরা বেকার হয়ে পড়েন। এদিকে, পোর্টে কর্মরত শ্রমিকরা অন্য কাজ করে সংসার চালান। তাদের দাবি, এই দুটি পোর্ট দিয়ে আমদানীর সাথে পন্য রপ্তানী করা গেলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পেত ও এর সংশ্লিষ্ট সকলের ভাল ব্যবসা বা আয়-রোজগার হত।

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের ৬ মাসে বন্দরে লাভ

স্থল বন্দর সুত্র জানায়, গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের দুইটি পোর্ট দিয়ে চলতি বছরে জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৬৮৮ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে। জানুয়ারীতে ১৪ হাজার ১৫২ মেট্রিক টন, ফেব্রুয়ারীতে ১২ হাজার ৭৫৩ মেট্রিক টন, মার্চে ১৪৫ মেট্রিক টন, এপ্রিলে ১১ হাজার ৬২১ মেট্রিক টন, মে'তে ১৫ হাজার ২৩৪ মেট্রিক টন এবং জুন মাসে ১৭ হাজার ৭৮৩ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা কয়লা থেকে ৬ মাসে বন্দর মাসুল (বন্দরের লাভ) ১ কোটি ৩১ লক্ষ ২১৮ টাকা। এর মাঝে ভ্যাট ধরা হয়েছে ১৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৫৯ টাকা।

গোবরাকুড়া স্থল বন্দরের মাসুদ ট্রেড লিমিটেডের মালিক মাসুদ করিম শান্ত বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কয়লা ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কারণ, একটা মামলার জন্য কয়লা আমদানী বন্ধ ছিল। কোর্ট নির্দেশেনা দিলে কিছু দিন কয়লা আসছে। আবার কিছু দিন পরে বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবেই কেটেছে ৮ বছর। ২০২৩ সালে কয়লা আমদানী শুরু হয়েছে। এখন কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে।’

গোবরাকুড়া আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের মহাসচিব অশোক সরকার অপু বলেন, ‘বছরে ৬ মাস কয়লা আমদানি করা হয়েছে। পাথর আমদানি করার পরিকল্পনা আছে। আমাদের অপর পাশে ভারতের মেঘালয় রাজ্য দিয়ে বাংলাদেশে পন্য আমদানি করতে হয়। এলাকাটা জঙ্গলের মত হওয়ায় আমদানি করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়। যে কারণে শুধু কয়লা আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছি। তবে, ফলমুল, মসলা জাতীয় কিছু পন্য আমদানি করার চেষ্টা করছি। এই পোর্ট দিয়ে কোনো পন্য এখন পর্যন্ত রপ্তানী করার সুযোগ হয়নি। তবে, আমরা পন্য রপ্তানি করার চেষ্টা করছি।’

গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই বছরের জানুয়ারী থেকে জুন মাস পর্যন্ত শুধু কয়লা আমদানি হয়েছে। অন্য কোনো পন্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়নি। এছাড়া এই দুটি পোর্ট দিয়ে বছরে ৬ মাস শুধু কয়লা আমদানি হয়। বাকি ৬ মাস এখানে কোনো কাজ থাকে না। এই সময়টাতে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বেকার হয়ে পড়েন।’

   

ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতা হত্যার বিচার দাবি 



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মন্ত্রী ট্রুথ কমিশন (সত্য ও জবাবদিহি কমিশন) গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমান বাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নি সন্ত্রাসের ভুলন্ঠিত মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪.৩০ মিনিটে রংপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করে। 

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল তাদের মানবতা? 

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী জিয়াউর রহমানকে খুনি আখ্যায়িত করেন এবং তার সময় গুম, খুন বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয় বলেও জানান। 

তিনি বলেন, জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে। 

এ সময় মন্ত্রী ট্রুথ কমিশন (সত্য ও জবাবদিহি কমিশন) গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমান বাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান। 

এছাড়া অবৈধ গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এ সরকারকে আহ্বান  জানিয়ে বলেন, গুম,খুন ও অগ্নি সন্ত্রাসকারী দল যাতে আগামীতে আর কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো.আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, একুশের পদপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, বীরবিক্রম এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে ভুক্তভোগীর ছেলে, মেয়ে, মাতা, পিতা এবং ভুক্তভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, আলোচনা সভার পূর্বে গণদাবি-৭৭ এবং অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ নামক দুইটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

;

সন্তানকে বাঁচিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদীতে নিখোঁজ মা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ভ্রমণ করতে গিয়ে পানিতে পড়ে যাওয়া সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে ডুবে নিখোঁজ হন রিমি আঞ্জুম (৩৫) নামে এক গৃহবধু। 

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পৌরশহরের আলতাফ গোলন্দাজ ব্রীজ এলাকায় ঘটনা ঘটে। 

নিহত রিমি শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যুগিরসিট গ্রামের নামজমুল ইসলাম সবুজের স্ত্রী।।

নিহতের ভাগনি তিথি ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ৬ জন রাওনা ইউনিয়নের কৃষ্ণবাজার এলাকার আত্মীয় আলামীনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। নৌকা ভ্রমণ করতে ব্রহ্মপুত্র নদের আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ সেতুর নিচ থেকে নৌকা নিয়ে কাঁশবন দেখতে যাই। ফিরে আসার সময় আমার মামী রিমি আঞ্জুমের কোলে থাকা শিশু সাদ (৩) কে নিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়। মামী তার শিশু সন্তানকে পানির উপরে তুলে ধরলে আমাদের সাথে থাকা আত্মীয় আলামিন ও নৌকার মাঝি মিলে সাদকে নৌকায় তুললেও মামী পানিতে তলিয়ে যায়।

খবর পেয়ে গফরগাঁও থানা পুুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দেড় ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধার অভিযান চালিয়েও কোনো হদিস পায়নি।  

গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, উদ্ধার অভিযান এখন বন্ধ আছে। সকালে আবার শুরু করা হবে।

;

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
প্রস্তাবিত ‘বায়তুন নূর জামে মসজিদ’। ছবি: সংগৃহীত

প্রস্তাবিত ‘বায়তুন নূর জামে মসজিদ’। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৮ সালের শেষের দিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় নির্মিত ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গম্বুজ ও দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার বিশিষ্ট মসজিদ হিসেবে বিবেচিত। এবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে তার থেকেও বেশি গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই মসজিদটি ৩৯৯ ফিট সুউচ্চ মিনারসহ ২৬১ গম্বুজ বিশিষ্ট হবে বলে জানানো হয়।

শুক্রবার (২২ সেপ্টম্বর) বিকালে প্রস্তাবিত মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বায়তুন নূর জামে মসজিদ’। এটি নির্মাণ করা হবে ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের সিংগুরিয়ায়। 

আলোচনা সভায় মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বপ্নদ্রষ্টা হাফেজ মওলানা ফজলুল রহমান বলেন, আমার বাবা স্বপ্নে আমাকে বলেন একটি মসজিদ নির্মাণ করার জন্য। পরে আমি পাশ্ববর্তী গোপালপুরের পাথালিয়া গ্রামের ২০১ গম্বুজ দেখতে যাই। সেখান থেকে আমার ২৬১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের ইচ্ছে হয়। আমি এলাকার সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি। যাতে আমি আমার জীবদ্দশায় এই মসজিদটি নির্মাণ করে যেতে পারি।

প্রায় পাঁচ বিঘা জমির ওপরে তিন তলা ও সুসজ্জিত পাঁচটি মিনার বিশিষ্ট এ মসজিদটি নির্মাণ করা হবে। ৫টি মিনারের একটি ৩৯৯ ফিট উচ্চতায় দৃষ্টিনন্দন আধুনিক মার্বেল পাথর দ্বারা মেহেরাব, পিলার ও মেঝে নির্মিত হবে। একত্রে ৩০ হাজার মুসুল্লির নামাজের ব্যবস্থাসহ প্রতিটি জায়নামাজের স্থান কারুকাজ দ্বারা নির্ধারিত থাকবে। এছাড়া জেনারেটরসহ এসির ব্যবস্থা ও মসজিদে ইসলামী জ্ঞান চর্চার জন্য একটি লাইব্রেরী কক্ষ এবং মহিলাদের আলাদা নামাজ আাদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।

আলোচনা সভায় উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবুসহ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। অনুষ্ঠানে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন হাফেজ মওলানা হুসাইন আহমদ।

;

বাংলাদেশে ভিসা বিধিনিষেধ প্রয়োগ শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।

বিবৃতিতে ম্যাথু মিলার বলেছেন, আজ শুক্রবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ব্যক্তিরা হতে পারেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা্, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য বিবেচিত না হতে পারেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত ব্যক্তিরা ভবিষ্যতে এই ভিসানীতির আওতায় মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পড়তে পারেন।

শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বাংলাদেশেরযে লক্ষ্য তাকে সমর্থন করতেই আজকের এসব পদক্ষেপ। এ ছাড়া যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করতেই এসব পদক্ষেপ।

এর আগে, চলতি বছরের ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা করেন। এতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাংলাদেশের ওপর অব্যাহত নজরদারির বিষয়টি স্পষ্ট করেন।

;