৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৯ রাউগুলিসহ শীর্ষ চোরাকারবারি গ্রেফতার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল(যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ৬ টি আগ্নেয়ান্ত্র ও ১৯ রাউন্ড গুলিসহ শীর্ষ স্বর্ন, মাদক ও অস্ত্র চোরাকারবারী নাসিরকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৬ এর সদস্যরা।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শার্শা সীমান্তের বাগআঁচড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। নাসিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে পুলিশের খাতায়। সে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পুটখালী গ্রামের বুদো সদ্দারের ছেলে।

জব্দকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ওয়ান শুটার গান, ৩টি রিভোলবার সর্বমোট ৬টি দেশি বিদেশি অস্ত্র ও ১৯ রাউন্ড গুলি।

র‌্যাব-৬ খুলনা কার্যালয়ে অধিনায়ক ফিরোজ কবির (পিএিম পিএসসি) সংবাদ সম্মেলনে গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, নাসির উদ্দিন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। অস্ত্র মাদক ও কয়েকটি সোনা পাচার ও সোনা উদ্ধার সংক্রান্ত মামলায় তাকে খুজছিল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, নাসিরের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকলেও এর আগে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল সে। ক্ষমতাসীন দলে যোগ দিয়ে সব ধরণের চোরাচালান কাজে জড়িয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে এলাকায়। গরু খাটাল ব্যবসার আড়ালে স্বর্ন, মাদক ও অস্ত্রের বড় যোগান সন্ত্রাসীদের হাতে বিভিন্ন মাধ্যে পৌছে দিত। ভারত-বাংলাদেশ দুই পারে তার আধিপত্য বিরাজ ছিল। প্রতিমাসে যেমন কোটি কোটি টাকা অবৈধ আয় করত তেমনি নিরাপদ থাকতে টাকা ছড়াতো প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে। এদেশ থেকে নাসিরের মাধ্যমে স্বর্নের বড় চালান যেত ভারতে আর বিনিময়ে ভারত থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে মাদক ও অস্ত্র। যা দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস আর সন্ত্রাস বাড়াচ্ছিল সমাজে।

সাম্প্রতি মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে তিন বছরে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার স্বর্ণ ও ডলার পাচারের অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে সিআইডি পুলিশ।

এ মামলায় আন্তর্জাতিক এই স্বর্ণ চোরাকারবারি নাসির উদ্দিনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সিআইডি পুলিশ ঢাকার ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম (অর্গানাইজড ক্রাইম) বিভাগে মামলা হয়। এত কিছুর পরও নিজ এলাকায় অবাধ বিচরণ ছিল নাসিরের।