সালিশ বৈঠকে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সালিশ বৈঠকে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেছেন হামিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবক। রোববার (১ অক্টোবর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের মৌভাষা বামনটারী গ্রামে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে জখম হন হামিদুল। এ ঘটনায় চাচাতো ভাই রুবেলকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, হামিদুল কয়েক বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকা শহরে বসবাস করছেন। তিনি সেখানে একটি ছোট্ট মুদির দোকান করতেন। এরমধ্যে চাচাতো ভাই রুবেল মিয়াকেও তার দোকানের পাশে থাকা একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়ে দেন। কিছুদিন দোকান করার পর লোকসান হয়েছে জানিয়ে রুবেল ব্যবসা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু দোকান ছাড়তে হলে হামিদুল তিন মাসের ভাড়া দাবি করেন রুবেলের কাছে। হামিদুলের মুখে এ কথা শুনে রুবেল শুক্রবার সকালে তার গ্রামের বাড়িতে চলে আসলে হামিদুলও ওইদিন সন্ধ্যায় বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে হামিদুল রুবেলের কাছে ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তাদের পরিবারের লোকজন শুক্রবার সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠকে বসেন। এ সময় হামিদুল ও রুবেলের বাবা পরামর্শ করে তিন মাসের দোকান ভাড়া ১২ হাজার টাকা হামিদুলের হাতে তুলে দেন। কিন্তু হামিদুল ১২ হাজার টাকা না নিয়ে ৮০ হাজার টাকা দাবি করে রুবেলকে চাপ দিতে থাকেন।
রুবেল ৮০ হাজার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হামিদুল তার কোমরে থাকা ছুরি হাতে নিয়ে রুবেলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন হামিদুলকে বাধা দিয়ে তার হাতে থাকা ছুরিটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন হামিদুল তার হাতে থাকা ছুরি নিজের পেটে ঢুকিয়ে দেন। পরে তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, মৃত হামিদুলের চাচাতো ভাই রুবেলকে আটক করা হয়েছে এবং হামিদুলের বাবা আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন।