দূর্গম থানা ‘ঢুষমারা’, বাহন একটি ট্রলার



আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দূর্গম থানা ‘ঢুষমারা’, বাহন একটি ট্রলার

দূর্গম থানা ‘ঢুষমারা’, বাহন একটি ট্রলার

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রাম থেকে ফিরে: দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলাসহ অন্তত ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত জেলা। সারা বছরই এ জেলার মানুষ বন্যা ও নদী ভাঙনের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকে। ১১টি থানা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম জেলায় মূল ভূখণ্ডের পাশাপাশি অন্তত ৪০০টি চর রয়েছে। কোনো চর এতোই দূর্গম যে, কোনো কোনো চরে যেতে দিন পেরিয়ে যায়। নদী পথই এই চরগুলোর একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। আর এই নদী কেন্দ্রীক মানুষদের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে কাজ করা একটি থানারও একমাত্র বাহন ছোট ট্রলার। নেই কোনো ধরনের যানবাহন। বলছি কুড়িগ্রামের দূর্গম চরাঞ্চলের থানা ঢুষমারা’র কথা। আশ্চর্য হলেও সত্য থানাটি দুটি উপজেলার অর্ন্তভূক্ত।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর দিনভর থানাটির সরেজমিনে গিয়ে উঠে এসেছে জনবলসহ নানা সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলার এসব চিত্র।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তিন একর একটি জমিতে বাউন্ডারি ঘেরা থানা। পাঁচটি টিনের ঘর ও একটি আধাপাকা ঘরে চলছে কার্যক্রম। সাধারণ এ সব টিনের ঘরে বানানো হয়েছে অস্ত্রগার। আসামিদের জন্য ছোট সেল ও রাখা হয়েছে থানার গুরুত্বপূর্ণ সব কাগজপত্র। এছাড়া এই সকল টিনের ঘরেই থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের থাকতে হচ্ছে। বাজার করতে কয়েক ঘণ্টার নৌপথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় পাশের রৌমারি উপজেলায়। থানা এলাকায় নেই কোনো সরকারি হাসপাতাল। থানার দেড় কিলোমিটার দূরে একটি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক। সেখানে নেই চিকিৎসক শুধুমাত্র সাধারণ কিছু ঔষধ ও গর্ভবতী নারীদের অল্প কিছু সেবা ছাড়া মেলে না কিছুই। এক্ষেত্রেও পুলিশ সদস্যদের ভরসা পাশে রৌমারি থানার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। আর জেলা শহরে যেতে হলে তো দিন পেরিয়ে যায়।


থানার ইতিহাস সম্পর্কে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিস্তাপাড়ে গড়ে ওঠা চরের ভাঙা-গড়ার মাঝেই ঢুষমারা থানা ১৯৭৬ সালে প্রথম নৌ থানা হিসেবে যাত্রা করে। এরপর ১৯৮৩ সালে নৌ ও স্থল থানা হিসেবে কাজ শুরু হয়। দীর্ঘদিন একই থানায় নৌপুলিশ ও সাধারণ থানা পুলিশের কার্যক্রম চলমান ছিলো। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঢুষমারা পূর্ণাঙ্গ থানা হিসেবে যাত্রা করে। তবে ঢাটিয়ার চরের থানার বর্তমান ঠিকানায় আসার আগে এই থানাও তিন বার ভাঙনের শিকার হয়। এমন কি বর্তমান ঠিকানার স্থান ভাঙায় অন্যত্র যেতে হয়েছিল। স্থানীয় এক ব্যক্তি থানার নামে ৬ একর জমি লিখি দিয়েছেন। যার তিন একর দৃশ্যমান হলেও বাকি তিন একর পানির নিচে। এই থানার আওতায় প্রায় ৪৮টি চর রয়েছে। তবে প্রতি বছর এই চরের সংখ্যা কমে বাড়ে। এর কারণ নদী ভাঙন।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ঢুষমারা থানার কার্যক্রম একজন পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’র নেতৃত্বে মাত্র ১৮ জন জনবল নিয়ে চলছে। দু’জন উপপরিদর্শক (এসআই), তিনজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও ১৩ জন কনস্টেবল থানায় দায়িত্ব পালন করছেন। তবে নেই কোনো নারী সদস্য।

থানায় কর্মরত একাধিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দূর্গম এই চরাঞ্চলে কোনো ঘটনায় ছুটে যা্ওয়ার জন্য কোনো যানবাহন নেই। পায়ে হাঁটাই একমাত্র ভরসা। আর দ্রুত যেতে স্থানীয়দের সহযোগিতা ছাড়া উপায় নেই। ছোট একটি ট্রলার থাকলেও সেটি চালানোর জন্য নেই মাঝি। তাই বাধ্য হয়ে অন্য মাঝিদের বাড়ি থেকে ডেকে আনতে হয়।

কোনো ঘটনায় ভুক্তভোগীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে সেবা পেতে কল করলেও একই চিত্রের দেখা মিলে। থানা থেকে দূরে হলে অন্যের সহযোগিতা ছাড়া ঘটনাস্থলে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। এমন কি নিরাপত্তার জন্য টহলও দিতে হয় পায়ে হেঁটে। থানা এলাকায় পারিবারি ও জমিজমা সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যাই বেশি। তবে কোনো ঘটনায় নারী অভিযুক্ত বা আসামি আটকেও নিতে হয় সাধারণ মানুষের সহযোগিতা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অথবা সাধারণ গৃহবধূরাই থানার ভরসা। থানায় নারী ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার থাকলেও সেবা দেওয়ার কেউ নেই।


ভোগান্তির আরেক নাম আদালতে সাক্ষী। বিভিন্ন থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত বা বাদী হন পুলিশ কর্মকর্তারা। সাধারণ নিয়মে এক থানা থেকে আরেক থানায় বদলি হলেও আদালতের নির্দেশে সাক্ষী দিতে যেতে হয়। তবে ঢুষমারা থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে আদালতে সাক্ষী দেওয়া কিংবা জরুরি প্রয়োজনে জেলা শহর বা অন্য শহরে যেতে পোহাতে হয় ভোগান্তি। একটি সাক্ষী দিয়ে আসা যাওয়ার জন্য অন্তত তিন থেকে চার দিন সময় লেগে যায়। আছে আরও সংকট। চর কেন্দ্রীক অন্যসকল থানার সদস্যরা চর ভাতা পেলেও সেটি থেকেও বঞ্চিত ঢুষামারা থানার সদস্যরা। সদস্যরা বলছেন, চরভাতার কথা বারবার তুলে ধরা হলেও কার্যকর হচ্ছে না।  

চিলমারি উপজেলা ঢুষমারা থানার অষ্টামিরচর ১-৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুই বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো মকরম আলী। তিনি বলেন, ঢুষমারা থানা অনেক পুরাতন থানা। একটা সময়ে নৌ থানা ছিলো। পরে যৌথ থানা হয়। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে এটা পূর্ণাঙ্গ থানা হিসেবে রূপ পায়। এই থানা হওয়ার আগে কোনো ঘটনায় মামলা হলে সাধারণ মানুষের চরম ভোগিন্তা পোহাতে হত। রৌমারি কিংবা চিলমারি যেতে হতো। নদী পথে একদিকে ব্যয়বহুল অন্য দিকে অনেক সময় লাগত। তবে বর্তমানে থানা পুলিশ সব সময় আমাদের পাশে আছে। যেকোনো সমস্যায় তাদের আমরা পাশে পাই।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানাটি টিকে আছে জানিয়ে এই প্রবীণ জনপ্রতিনিধি বলেন, এই থানা বহুবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে যখন থানা এখানে আসে তখন স্থানীয় এক ব্যক্তি নিজের ছয় একর জমি লিখে দেন। এখানে একটা সময়ে থানা ছিলো কিন্তু ভাঙনের কারণে অবার অন্যত্র চলে যায়। আবার ৬-৭ বছর আগে আসে। থানার এই সব ঘর তৈরি করতে গ্রামের মানুষ চাল ডালসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করেছেন। সবার সহযোগিতায় থানার প্রথম ঘর তৈরি করা হয়।

দেশের এই দূর্গম থানার নানা সমস্যা ও সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, এটি একটি চর থানা। স্থানীয় মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে থানাটি স্থাপন করা হয়েছে। থানায় গাড়ি না থাকলেও একটি নৌকা আছে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য। আর থানার সংকটের বিষয়টি আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানা আছে। তবে থানাটি একটি চরের মধ্যে গাড়ি চালানো সুযোগ কম। তবে আমরা একটি স্পিড বোট দেব। আর চর ভাঙার কারণে স্থায়ী ভবন তৈরি করা কঠিন। এ বিষয়ে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি হচ্ছে। ভাঙনের সমস্যা সমাধান হলে ভবন নির্মাণ করা হবে। তবে নামাজের চর বা সাহেবের চরে কিন্তু সুন্দর এবং দৃষ্টিনন্দন একটি তদন্ত কেন্দ্র বা ফাঁড়ি আছে।

জনবল সংকট ও নারী সদস্য না থাকার বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এই থানায় সাধারণ জনবলের চেয়েও কম সংখ্যক সদস্য কাজ করছে। আর নারী সদস্য না থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আনসার বিডিবি ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় কাজ করা হয়। তারাও অনেক সহযোগিতা করে। আর ভবিষ্যতে নারী সদস্যও সংযুক্ত করা হবে।

   

সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সাথে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া এবং খুলনা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

;

উপজেলা নির্বাচন

ফুলগাজীতে চেয়ারম্যান হারুন, ভাইস চেয়ারম্যান অনিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরুঙ্কুশ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অনিল বণিক ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুরা আজিজ।

বুধবার (৮ মে) রাত ৮ টার দিকে নির্বাচন কার্যালয় হতে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে মোট ৩২ কেন্দ্রে কাপ-পিরিচ প্রতীকে মোট ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়েছেন হারুন মজুমদার। অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী চিংড়ি মাছ প্রতীকে জাফর উল্ল্যাহ ভূঞা পেয়েছেন ৭৭৫ ভোট।

নির্বাচন কার্যালয় হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ২৯ হাজার ৩৩০ ভোট পড়েছে। তার মধ্যে ৯২০টি ভোট বাতিল করা হয়েছে। বৈধ ভোটের সংখ্যা ২৮ হাজার ৪১০। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭১। নির্বাচনে মোট ভোটারের ২৭.৭৬ শতাংশ ভোট দিয়েছেন।

বিজয়ের অনুভূতি ব্যক্ত করে হারুন মজুমদার বলেন, আমি ধারণা করেছিলাম নির্বাচনে ৩২ কেন্দ্রে ৩২০০ ভোটও আমি পাবো না। কিন্তু মানুষ ভোটকেন্দ্রে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দিতে এসেছে। আমি ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞ, নির্বাচনে ভোট দিয়ে তারা আমাকে বিজয়ী করেছেন। আমি দলমত নির্বিশেষে সবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতে চাই।

অন্যদিকে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়া পাখি প্রতীকে ১১ হাজার ৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন অনিল বণিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুল হক কালা পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৫ ভোট, চশমা প্রতীকে আবদুর রহীম পাটোয়ারী পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৯১ ভোট, টিউবওয়েল প্রতীকে পরিমল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৭ ভোট এবং উড়োজাহাজ প্রতীকে সাইফ উদ্দিন মজুমদার পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮৮ ভোট।

নির্বাচন কার্যালয় হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ২৯ হাজার ১৮০ ভোট পড়েছে। তার মধ্যে ১০৫০টি ভোট বাতিল করা হয়েছে। বৈধ ভোটের সংখ্যা ২৮ হাজার ১৩০। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭১। নির্বাচনে মোট ভোটারের ২৭.৬১ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। এর আগে এ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুরা আজিজ নির্বাচিত হন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় পরশুরামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া এ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সামছুন নাহার পাপিয়া পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।

;

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আবু সাঈদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ১৩৯টি উপজেলার সাথে গাইবান্ধার দুটি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। নির্বাচনে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের আবু সাঈদ। তিনি ৩০ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাত ১১ টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসের হল রুমে এই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মুত্তালিব।

এদিন সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬০টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০ জন ভোটারের মধ্যে ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটে আবু সাঈদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পান ৩০ হাজার ৪৯৯ ভোট এবং জিএম সেলিম পারভেজ ঘোড়া প্রতীকে পান ১৩ হাজার ৭৬ ভোট।

এছাড়া ১২ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে নির্বাচিত হয়েছেন রাসেল বিন ওয়াহেদ ফিরোজ (চশমা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সাত্তার (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ১০ হাজার ৯০৫ ভোট।

অপরদিকে, ১৮ হাজার ৯০৬ ভোট পেয়ে সংরক্ষিত আসনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদা বেগম (হাঁস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাপিয়া পারভিন (প্রজাপতি) পেয়েছেন ১২ হাজার ৭০৬ ভোট।

এরআগে, ভোট চলাকালীন সময়ের দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আবু সাঈদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ ভোট কারচুপি, এজেন্টদের মারধর, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট এবং স্থানীয় সাংসদ তার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আর্থিক সুবিধা ও হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ এবং এ সকল বিষয় একাধিকবার নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

জিএম সেলিম পারভেজ ফুলছড়ি উপজেলা আ.লীগের এবং সদ্য সাবেক ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

এদিকে, গাইবান্ধায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া অপর উপজেলা সাঘাটায় চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভোটের আগেই নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফিন টিটু।

গত ২২ এপ্রিল সোমবার বিকেলে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারপত্র দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আজাদ শীতল। ফলে নির্বাচনের আগেই এমনকি প্রতীক বরাদ্দের আগেই সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিশ্চিত হন অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফিন টিটু। পরদিন ২৩ এপ্রিল দুপুরের অন্যান্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ শেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। ফলে নির্বাচনে এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

উপজেলার ২ লাখ ৪১ হাজার ৭১২ জন ভোটারের মধ্যে ২৭ হাজার ৪৩২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটে ৮ হাজার ৭১৬ ভোট পেয়ে সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রোস্তম আলী (গ্যাস সিলিন্ডার)। তিনি জুমারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মিলন সরকার (বই প্রতীক) পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৩ ভোট।

এছাড়া ১৭ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে উপজেলার সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন রওশন আরা বেগম (প্রজাপতি )। তিনি পদুমশহর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাজনীন বেগম (হাঁস) পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬০ ভোট।

;

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা। বায়ুর এ মান অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১০ টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার এ তথ্য জানিয়েছে। 

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৭০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৬২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।

বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক আইকিউএয়ারের সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

 

;