মিধিলি'র প্রভাবে ভোলায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছে প্রশাসন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

 

ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'র প্রভাবে ভোলায় কি পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তার একটি তালিকা তৈরীর কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মী এবং কৃষকরা জানিয়েছেন, জেলার সাত উপজেলায় ঘর-বাড়ী বিধ্বস্তসহ ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে সবজি চাষীদের ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশী।

বিজ্ঞাপন

জেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিবি ফাতেমা জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কারণে কৃষকের ধান, শিম, ফুলকপি, লাল শাক, লাউ, মূলাসহ সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন, ঋণ করা টাকা দিয়ে যে ধান এবং সবজির চাষ করেছিলো তারা, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি তা ধ্বংস করে দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ভবিষ্যতে কিভাবে এ ক্ষতি পুষিয়ে নিবেন সে ব্যাপারেও চিন্তিত তারা।

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করে পূনর্বাসনের আওতায় আনার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে।

ভোলার ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসাইন জানিয়েছেন, ভোলা জেলায় যে সমস্ত ঘরবাড়ি এবং ফসলি জমি ক্ষতি হয়েছে তাদের তালিকা প্রণয়ন করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় প্রেরণ করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করে দেয়া হবে। এছাড়া মিধিল'র প্রভাবে মেঘনায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজ জেলে বেলায়েত হোসেন বাদশার সন্ধানে কাজ চলছে।  

প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব মতে ভোলা জেলায় চার'শ ২৬ টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭৩ টি ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৫৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।