সিলেটে হঠাৎই গ্যাসের গন্ধ, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাতাসে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত নগরবাসী। তবে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের গন্ধে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল থেকে সিলেট নগরীর আখালিয়া, শিবগঞ্জ, মিরের ময়দান, সুবিদবাজার, হাউজিং স্টেট, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, মদিনা মার্কেট, রিকাবী বাজার, শেখঘাট, উপশহর, টিলাগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেল থেকে হঠাৎ করে আবাসিক বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলছেন কোথাও কোনো লিকেজ রয়েছে তার জন্য এমনটা হচ্ছে। রাস্তার পাশে যেখানে গ্যাসের সরবরাহ লাইন, রাইজার রয়েছে সেসব এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।

মদিনা মার্কেটের বাসিন্দা মুহিত জানান, সোমবার বিকেল থেকে বাসার সামনে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ পাচ্ছি। কোথাও গ্যাস লাইন লিকেজ হয়েছে, এমন সন্দেহ থেকে বাসার আশপাশের গ্যাস সঞ্চালন লাইন পরীক্ষা করে দেখি, কিন্তু কোনো লিকেজ পাইনি। গ্যাস অফিসে কল দিয়েছি। তারা এসে অনুসন্ধান করবেন বলে জানিয়েছেন।

আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রেজা রুবেল জানান, বাসার বাইরে প্রচণ্ড পরিমাণ গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, নগরীর অনেক জায়গা এ ধরণের গন্ধ বের হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্যাস লিকেজ থেকে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

জানা যায়, জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ নগরীতে গ্যাসের সরবরাহ সঠিক রাখতে লিকেজ শনাক্ত করছে। সে জন্য এক প্রকার স্প্রে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়েছে। যার গন্ধ পুরোপুরিই গ্যাসের মতোই। এই গ্যাসের কাজ হচ্ছে লাইনের যেসব স্থানে ছিদ্র রয়েছে সেই স্থানগুলো শনাক্ত করার জন্য।

এব্যাপারে জালালাবাদ গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান মাহমুদ বলেন, এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ গ্যাসের মধ্যে যে গন্ধ দেয়া হয়, সেটা নিরাপত্তার জন্যই দেয়া হয়। এতে লিকেজ হলে গন্ধ বের হয়।

তিনি আরও বলেন, সোমবার বিকেলের দিকে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাস লাইন লিকেজ আছে কিনা সেটা জানার জন্য গ্যাসের মধ্যে গন্ধ দেয়া হয়। যাতে এই গ্যাসের গন্ধ মানুষ পায়, বিষয়টি জালালাবাদ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে। গন্ধের বিষয়ে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে কেউ অবহিত করলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে অনুসন্ধান করে লিকেজ বন্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া আমরাও যেখানে গন্ধ পাচ্ছি সেখানে লিকেজ শনাক্ত করছি। 

   

চট্টগ্রামে ডাম্পার-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক-সহকারী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাটে ডাম্পার-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এতে আরও একজন শুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাজিরহাট নতুনরাস্তা মাথা এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত ও নিহতদের নাম জানা যায়নি। তবে নিতহ দুজন ট্রাকের চালক ও হেলপার এবং আহত ব্যক্তি ডাম্পারের চালক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন নাজিরহাট হাইওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ।

;

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৬



md.nazrul
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মতিঝিল থানার অফিস পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা তুলে বের হওয়া গ্রাহককে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতির সময়ে ছয় ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা বিভাগ।

ডিবি বলছে, এই ডাকাত দলটি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করে আসছিলো। সম্প্রতি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা ডাকাতির ঘটনায় দলটি জড়িত থাকার তথ্য ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৭), মো. শরিফুল ইসলাম (৪০), মো. আরিফ (৩৪), মো. আলাউদ্দিন (৪৩), আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৬) ও মো. জসিম (৪৩)। অভিযান টের পেয়ে জাকির হোসেন ওরফে বাবু (৪৩) নামের এক ডাকাত সদস্য পালিয়ে যায়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি গোয়েন্দা পুলিশের পোশাক (ডিবির জ্যাকেট), এক জোড়া হাত কড়া, একটি সিলভার রংয়ের হায়েস গাড়ি, একটি কালো রংয়ের খেলনা ওয়াকিটকিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ডিবি উত্তরা বিভাগের বিমানবন্দর জোনাল টিমের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো একটি ডাকাত দল গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হওয়া এক গ্রাহককে তুলে নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ডাকাত সদস্যরা গোয়েন্দা পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে এক গ্রাহক বড় অংকের টাকা তুলে বের হবেন এমন তথ্যে তারা অপেক্ষা করছেন।

ডিবি প্রধান বলেন, এই চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বড় লেনদেন করা ব্যাংকের গ্রহকদের টার্গেট করে। পাশপাশি ব্যাংকের ভেতরে তাদের সোর্স থাকে। তারাও লেনদেনের তথ্য দেয়। তখন তারা ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জের সামনে ওঁত পেতে থাকে। একইভাবে তারা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সামনে ওঁত পেয়ে ছিলো। এই টাকা তোলার তথ্য তাদের কাছে আগে থেকে ছিলো। গাড়িতে ডিবি লেখা, ডিবি লেখা জ্যাকেট পড়িহীত ছিলো। তখন হাতে নাতে ডিবি উত্তর বিভাগ তাদের হাতে নাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ডাকাত দলের প্রত্যেক সদস্যের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিলো উল্লেখ করে হারুন বলেন, এই ডাকাত দলটি নাটোরের বড়াই গ্রামে মোটা অংকের টাকা ছিনতাই করেছে কিন্তু এই ঘটনায় কোনো মামলা হয় নি। ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকায় ১৬ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছিলো কিন্তু গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। তারা অনেক স্থানে ডাকাতি করেছে যা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, অনেক সময় ডিবির পোশাক দেখতে তাদের কেউ চ্যালেঞ্চ করে না। এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় ডাকাতির ঘটনা ঘটলে চুরির মামলা হয়। এটা করা যাবে না। ডাকাতির ঘটনা ঘটলে সেই মামলাই করতে হবে। তাহলে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।

;

তিতাস কেনো আবাসিকের গ্যাস বিল বাড়াতে চায়!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমাটিয়ার বাসিন্দা ডা. মনিরুল ইসলাম গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন। মাসে ৫০০ টাকার গ্যাসেই শেষ করতে পারেন না। মিটার ভাড়াসহ কোন কোন মাসে ৪০০ টাকাতেই চলে যায়।

ডা.মনিরুল ইসলামের আরেকটি বাসা রয়েছে সাভারের অরুনা পল্লীতে। সেখানে কেউ না থাকলেও প্রতিমাসে ১০৮০ টাকা করে বিল দিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। অথচ তার দু’টি সংযোগেই একই বিতরণ প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি অধীনে। মাত্র কয়েক মাইলের ব্যবধানে তার এই দুই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বার্তা২৪.কমকে। আবার তার বাসার উল্টোদিকে ধানমন্ডিতেই মিটারবিহীন গ্রাহকদের বাড়তি বিল দিতে হচ্ছে গ্রাহককে।

তিনি বলেন, আমার লালমাটিয়ার বাসায় ৫ জনের রান্না হয়। কখনই ৫০০ টাকার বেশি রিচার্জ করতে হয়নি। আর যেখানে আমরা থাকি না তারজন্য টানা ৩ বছর ধরে বিল দিয়ে যাচ্ছি। তাও আবার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।

মনিরুল ইসলাম আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, পত্রিকায় নিউজ দেখি গ্রাহকের পকেট কেঁটে প্রফিট বোনাস নেওয়া হচ্ছে। পত্রিকায় দেখেছিলাম কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গতবছর প্রত্যেকে ১৮ লাখ টাকা করে বোনাস পেয়েছে। আমরা বিল দিয়ে মরি আর তারা টাকার পাহাড় গড়ছে।

প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী রূপনগর আবাসিক এলাকার (রোড ১৯) বাসিন্দা আবেদ আলী বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন। সাড়ে ৩’শ থেকে সাড়ে ৪’শ টাকার রিচার্জে মাস পার হয়ে যায়। গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা কমবেশি এমনই। যাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি তাদের সর্বোচ্চ ৬’শ টাকা খরচ হচ্ছে।

মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বিল আদায় করা হয়। যা বর্তমানে দুই চুলা ৬০ ঘনমিটার ও এক চুলা ৫৫ ঘনমিটারের সমান। গ্রাহক ব্যবহার করুক, না করুক অথবা বেশি ব্যবহার করলেও । গ্যাসের বিতরণ কোম্পানিগুলো দশকের পর দশক ধরে বলে আসছে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকরা গ্যাস বেশি পুড়ছে। এ কথা বলে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে নেওয়া হয়। তাদের বক্তব্য ছিল মিটার স্থাপন করলে তাদের রাজস্ব বেড়ে যাবে। কিন্তু লালমাটিয়া (২০১৬ সালে) এলাকায় প্রথম প্রিপেইড মিটার বসানো হলে রেজাল্ট এলো উল্টো। দেখা গেলো প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারিদের বিল আসছে দেড়’শ থেকে আড়াই’শ টাকা (তখন মিটারবিহীন গ্রাহকদের বিল ছিল দুই চুলা ৪৫০ টাকা )।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ২০১৬ সালে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বলেছিলেন, প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পাইলট প্রকল্পের রেজাল্ট ভালো। দুই চুলায় মাসে ৩৩ ঘন মিটার গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে। তখন দুই চুলায় ৭৭.৪১ ঘনমিটারের বিল নির্ধারিত ছিল। অর্থাৎ ৪৫ ঘনমিটার গ্যাস পুড়ছে গ্রাহকরা।

পাইলট প্রকল্পের আগে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের তৎপরতা ছিল লক্ষ্যণীয়। কিন্তু এখন যতটা পারা যায় বিলম্বিত করার কৌশলী অবস্থান নিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। ৩৮ লাখ আবাসিক গ্রাহকের মধ্যে ৮ বছরে মাত্র ৪ লাখের মতো মিটার স্থাপন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ধীরে চলো নীতির কারণে গ্রাহক যাতে নিজে কিনে বসাতে পারে সে জন্য চাপ দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বিইআরসি-২০১৮ সালে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের দ্রুত করার আদেশ দেন। গ্রাহক যাতে নিজেরা মার্কেট থেকে মিটার কিনে স্থাপন করতে পারে সেই সুবিধা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ২০২১ সালে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। সেই নীতিমালায় বলা হয়েছে গ্রাহক নিজের পছন্দমতো দোকান থেকে মিটার ক্রয় করে বিতরণ কোম্পানিতে জমা দেবেন। বিতরণ কোম্পানিগুলো পরীক্ষা করে গ্রাহকের আঙ্গিনায় স্থাপন করবে। তবে নানা জটিলতা দেখিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। বাজারের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে মিটার স্থাপন করছে কোম্পানিগুলো। তাও আবার ঢিমেতালে। কোম্পানিগুলো একে লুটপাটের নতুন খাত হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে।

বিইআরসি গত বছরের মার্চে সর্বশেষ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উপর গণশুনানি গ্রহণ করে। তখন বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রিপেইড গ্রাহকের ব্যবহারের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এক চুলা ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৭৭.৪১ ঘনমিটার থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার করা হয়।

তিতাস গ্যাস বিদ্যমান এক চুলা ৫৫ ঘনমিটার (৯৯০ টাকা) বাড়িয়ে ৭৬.৬৫ ঘনমিটার (১৩৭৯.৭০ টাকা), দুই চুলা ৬০ ঘনমিটার (১০৮০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ৮৮.৪৪ ঘনমিটার (১৫৯১.৯২) করার আবেদন করেছে বিইআরসির কাছে। আবেদনটি চলতি বছরে মে মাসে জমা দিলেও ব্যাপক বিতর্কের পর বিষয়টি অনেকটা ধামাচাপা পড়ে যায়। তবে সম্প্রতি বেশ গোপনে এ বিষয়ে আবার তৎপরতার শুরুর কথা জানা গেছে।

তিতাসের গ্যাস বিল বাড়ানোর প্রস্তাব শিগগিরিই কমিশনের সভায় তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।

তিতাস দাবি করেছেন, নির্ধারিত পরিমাণের (৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার) চেয়ে মিটারবিহীন গ্রাহকগন বেশি গ্যাস ব্যবহার করে। ফলে সিস্টেম লস বৃদ্ধি পেয়েছে। এক চুলা ৭৬.৬৫ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৮৮.৪৪ ঘনমিটার করার আবেদন করা হয়েছে। বিইআরসি আগে যে আদেশ দিয়েছে তা বাস্তব সম্মত ছিল না।

বিইআরসির সাবেক সদস্য (তৎকালীন সদস্য- গ্যাস) মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমারতো মনে হয় ৫০ ঘনমিটারের নিচে করা উচিত ছিল। প্রথমবার জন্য যথাক্রমে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার করা হয়েছিল। তখন শর্ত দেওয়া হয়, প্রিপেইড মিটার বসানো এবং পরবর্তীতে কমিয়ে আনার।

কিসের ভিত্তিতে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাদের যে সাড়ে ৩ লাখ প্রিপেইড মিটার ছিল সেখানে দেখা গেছে গড়ে ৪৫ এর নিচে ব্যবহৃত হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাড়ে ৩ লাখ মিটারকে বিবেচনা করবেন, নাকি তাদের (তিতাস গ্যাস) ১০০ মিটারকে। কোন বিশেষ এলাকায় যদি বেশি গ্যাস ব্যবহার হয়, তাহলে সেখানে দ্রুত মিটার বসিয়ে দিলেই হয়, তার জন্য ৩৪ লাখ গ্রাহকের বিল বাড়ানো যৌক্তিক হবে না।

মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস বিল বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করেছে বিইআরসি। দু’একজন কর্মকর্তা তিতাস ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে যোগসাজসে মাঠে নেমেছেন বলে জানা গেছে। তারা চান দ্রুততার সঙ্গেই তিতাসের আবেদন বাস্তবায়ন করতে।

কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তিতাসের ওই আবেদনে সাড়া দিতে গেলে বিইআরসিকে অবশ্যই গণশুনানি করতে হবে। গণশুনানি ছাড়া বিল বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। গণশুনানি শুরু হলে সেখানে এ বিষয়ে তথ্য উপাত্ত দিয়ে কথা বলা হবে। বিল বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা দেখি না।

 

;

নরসিংদীর ৫ আসনে অবৈধ ৬ প্রার্থী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবিঃ বার্তা২৪

ছবিঃ বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই বাছায়ের শেষ দিন ছিলো। রোববার ও সোমবার সকাল ১০টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত নরসিংদী জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ৫টি আসনের মধ্যে রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে নরসিংদীর ৩টি আসনের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম।

প্রথমদিন নরসিংদী-১ (নরসিংদী সদর), নরসিংদী-২ (পলাশ) ও নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের ২৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চলে নরসিংদী-৪(মনোহরদী ও বেলাব)এবং নরসিংদী-৫(রায়পুরা) আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. বদিউল আলম উপস্থিত থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফিন, স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মৌসুমী সরকার রাখি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মাসুম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নরসিংদী-১ (নরসিংদী সদর) আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুক, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর হোসেনসহ পুলিশ বিভাগ, পল্লী বিদ্যুৎ, তিতাস গ্যাস, আয়কর বিভাগসহ প্রার্থী, তাদের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

রোববার নরসিংদী-১ (সদর) আসনের ১০জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নরসিংদী-১ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আক্তারুজ্জামান এর কাগজপত্র সঠিক না থাকার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে অন্যদের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দেন।

দ্বিতীয় ধাপে নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের মোট ৭জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৩ জনকে অপেক্ষমান রাখলেও পরে সকলকে বৈধ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

সবশেষে নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের ১০জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করেন। যাচাই-বাছাইয়ে প্রথমে ২টি মনোনয়নপত্র অপেক্ষমান তালিকায় থাকলেও পরবর্তীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুম মৃধার কাগজপত্র সঠিক না থাকার কারণে তার মনোনয়ন বাতিল করে অন্যদের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।

বিকেল ৫টার দিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই বৈধ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন।

সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসন ও নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের ৬জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মনোনিত প্রার্থী হারুন অর রশিদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এছাড়া নরসিংদী-৫(রায়পুরা) আসনে ১০জন প্রার্থীর যাচাই-বাছাইয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির প্রার্থী মো: বিটু মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সোলাইমান মিয়অর মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

;