কুষ্টিয়ায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। নভেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, এ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানিয়েছে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এই মুহূর্তে জেলায় ১৩৬ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৫ জন রোগী।

তিনি বলেন, গত জুন মাসে প্রথম ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায় এই হাসপাতালে। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৩ হাজার ৯২৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এ বছরে যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার অর্ধেকই মরেছে চলতি নভেম্বর মাসে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় প্রথম ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয় গত জুলাই মাসে। সে মাসে এবং পরবর্তী মাসে একজন করে ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু হয়। পরে সেপ্টেম্বরে ৬ এবং অক্টোবরে ৪ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু এই নভেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যে-সব রোগীর পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর দেরিতে হাসপাতালে আসছে, ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতিতে পড়ে মাথায় রক্তক্ষরণ হয়ে তাদের মৃত্যু হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে মৃত্যুহার বেড়ে যায়। আর এখন এমন রোগী আসছে বেশি।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা: তাপস কুমার সরকার বলেন, প্রথমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে ২০ বেডের একটি ইউনিট করা হয়েছিল ডেঙ্গু রোগীদের জন্য। এখন সেখানে জায়গা না হওয়ায় আরও দুটি কক্ষ যুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে, মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মশারি ছাড়া দিনের বেলা না ঘুমানোর পরামর্শ দেন এবং জ্বর আসলে ডাক্তারের কাছে আসতে বলেন তিনি।

এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও মশা নিধনে কুষ্টিয়া পৌরসভা বা স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন কুষ্টিয়ার মানুষ।

পৌরসভার পাশের বাসিন্দা আব্দুল মতিন বলেন, দিনের বেলাতেও রাস্তায় দাঁড়ানো যায় না। মনে হচ্ছে এই পৌর এলাকায় যেন মশার চাষ হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা খুবই তৎপর ২১টি ওয়ার্ডে ২টি করে স্প্রে মেশিন দিয়ে প্রতিদিন বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে। কাজ করছে পাঁচটি ফগার মেশিন। তারপরও মশা নিধনে পৌর নাগরিকদের পরামর্শ চেয়েছেন তিনি।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেছেন, সপ্তাহব্যাপী আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছি। এতে স্টুডেন্ট, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষকে যুক্ত করেছি। পৌরসভাকে চিঠি দিয়েছি। মাসিক উন্নয়ন সভায় মৌখিকভাবেও বলা হয়েছে। কিছু পয়েন্টে পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিতেও বলা হয়েছে, ড্রেনগুলোতে ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, সবাই এগিয়ে না আসলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। যার যার এলাকা আঙিনা পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানান তিনি।

   

থানার ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরের পলায়ন, তদন্ত কমিটি গঠন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
থানার ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরের পলায়ন

থানার ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরের পলায়ন

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের জকিগঞ্জ থানা হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে রাসেল নামে এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো.সম্রাট তালুকদার।

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো.সেলিমকে সভাপতি করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন জকিগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন ও জেলা গোয়েন্দা শাখা( প্রশাসন) মো.জামশেদ আলম।

তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জকিগঞ্জ থানা হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে পালিয়ে যায় আসামি রাসেল।

রাসেল আহমদ রাসু জকিগঞ্জ পৌর এলাকার বিলের বন্দ গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে।

পলাতক রাসেল আহমদ রাসু (২৪) দুর্ধর্ষ চোর বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে চুরির মামলায় বুধবার ভোর ৭টায় বিলেরবন্দ এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানা হাজতে রাখে পুলিশ। ১০টার দিকে পুলিশ টের পায় হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে রাসু পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাসেল আহমদ রাসু চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। রাসেল ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ছোট ছিদ্র দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে।

এব্যাপারে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো.সেলিম বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

;

মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পের আগুনে দগ্ধ ৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মহাখালীতে রয়েল পেট্রোল পাম্পে আগুনের ঘটনায় ৮ কর্মচারী দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধরা হলেন- মামুন শেখ (২৮), মো. রানা (৩০), জীবন (২৬), সালাউদ্দিন (৪৫), আমির হোসেন (৩২), কামাল হোসেন (৫০), আবুল খায়ের (৪০) ও মাসুম (২৪)।

দগ্ধ মো. মামুন শেখ জানান, তারা সবাই পাম্পের কর্মচারী। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তারা যখন কাজ করছিলেন, তখন পাম্পের ভেতর মেইন গ্যাসের পাইপ লাইনে বিকট বিস্ফোরণ হয়। তখন সেখানে আশপাশে থাকা তারা সবাই দগ্ধ হন।

বাচ্চু মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, মহাখালী আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে আটজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, তিনটি ইউনিট আধা ঘণ্টার বেশি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে ঘটনাস্থলে কর্মরত ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা জানান, সিএনজি সিলিন্ডার মেইনটেনেন্স করতে গিয়ে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

 

 

;

মায়ের মামলায় জামিন নামঞ্জুর শুনে হাসপাতালে ছেলে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে মায়ের দায়ের করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর শুনে আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়েন রেজাউল করিম নামে এক আসামি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আদালত থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এমন ঘটনা ঘটে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হকের আদালতে।  

জানা গেছে, গেল ১৯ নভেম্বর পারিবারিক বিরোধে মা ছকিনা বেগম ছেলে রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বাচুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। মামলায় সরাসরি ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে সমন দেন আদালত।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. রাহিলা চৌধুরী রেখা বলেন, আমার মক্কেল রেজাউল করিম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদেশ শুনে আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়ে আসামি রেজাউল করিম। অসুস্থ হয়ে পড়লে পুনরায় জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। মূলত তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে আদালতে মামলা করা হয়। একজনের কাছে মা থাকে, অন্য জনের সঙ্গে বাবা থাকে। মা যার কাছে থাকেন, তিনি মাকে ফুসলিয়ে আদালতে মামলা করান। অসুস্থ হয়ে যাওয়া রেজাউলের সঙ্গে আদালতে বাবা ও বোন উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে রেজাউল চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অলি আহমদ বলেন, জামিন নামন্জুর আদেশ শুনার সঙ্গে সঙ্গে একজন আসামি আদালতে অসুস্থ হয়ে গেছে শুনে আদালতে যায়। আসামিকে জামিন মঞ্জুর করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করা হয়। আদালত জামিন মঞ্জুর করে। বারের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও এজিএসকে বিষয়টি অবগত করে দ্রুত সময়ে আইনজীবী সমিতির অ্যাম্বুলেন্স করে আসামিকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

চট্টগ্রাম জেলার কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসাইন মাহমুদ বলেন, আদালতে জামিন না মঞ্জুর করলে আসামি রেজাউল করিম আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুলিশ অসুস্থ রেজাউলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তোলে। সেই সময় আদালত আসামি রেজাউল করিমের জামিন মঞ্জুর করে। আমরা রেজাউল করিমকে পরিবারের কাছে অ্যাম্বুলেন্সে বুঝিয়ে দেই।

;

কম্বলে মোড়ানো তরুণীর মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় রেখা খাতুন (১৮) নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের হাউজিং এলাকার রাস্তার পাশ থেকে কম্বল দিয়ে মোড়ানো এ মরদেহ উদ্ধার কর হয়।

নিহত রেখা খাতুন কুমারখালী উপজেলার বাখোই এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকা থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।

তিনি জানান, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে রাস্তার পাশে রেখে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;