জনগণ ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট -১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং বর্তমান সাংসদ ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সারাদেশে এখন নির্বাচনী উৎসব শুরু হয়েছে। মানুষ চায় শান্তি ও শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে। তাই তারা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করেছেন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রাসেল হাসানের কার্যালয়ে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন শান্তি ও স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকায় ভোট দিবেন। আমি প্রচুর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। আরও অনেক কিছু করার আছে। অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সিলেটবাসী অতীতের মতো আবারও আমাকে নির্বাচিত করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সিলেটবাসীর ভালোবাসায় আমি ধন্য। তারা অতীতে আমাকে ভোট দিয়েছেন। আবারও আমাকে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠাবেন। সিলেট বিভাগজুড়ে নৌকার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। নৌকাই জয়ী হবে।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বা দিচ্ছেন, দলের জন্য তারা ত্যাগ স্বীকার করে তাদের সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবেন বলেই আমি মনে করি। তারা আবার নৌকার প্রার্থীদের জয় নিশ্চিতে নির্বাচনী মাঠ থাকবেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদেশে দারুণ নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। যারা নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন, তাদের প্রতি আমার আহ্বান, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নির্বাচনে আসুন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর।

এরপরই তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান এবং নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।