যাত্রী সংকটে সায়দাবাদ থেকে ছাড়ছে না বাস

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সপ্তম দফায় দলটির অবরোধ শেষে চলছে আজ সকাল-সন্ধার হরতাল। আর এই হরতালেও বেঁচে থাকার তাগিদে বাস চালাতে খুলেছে বাসের টিকেট কাউন্টারগুলো। তবে কাউন্টার খুললেও যাত্রী না থাকায় অলস বসে আছে কাউন্টার ম্যানেজারসহ পরিবহণ শ্রমিকরা। দূরপাল্লার বাস ছাড়ার ইচ্ছা থাকলেও উপায় খুঁজে পাচ্ছে না তারা। 

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। কাউন্টারের সামনে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বাসগুলো, ছাড়ার সকল প্রস্তুতি শেষে যাত্রীর অপেক্ষা করছে চালক ও সহকারিরা ৷

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা শহরের প্রধান কয়েকটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের অন্যতম সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল। প্রায় ১০ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এই টার্মিনালটিতে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজারের বেশি বাসের চলাচল ঘটে।


এছাড়া সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে প্রায় ১৯০০ টি বাস রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। গড়ে টার্মিনালটি ঘিরে প্রতিদিন ৬০ লাখের বেশি টাকার ব্যবসা করে বাসমালিক-শ্রমিকরা। তবে হরতাল অবরোধে এই বাসগুলোর চাকা ঘুরছে না। আসা যাওয়া নেই দূর পাল্লার বাসগুলোরও। ফলে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনছে সেখানকার পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আয় না থাকায় দুর্বিষহ জীবন পার করছে বাসের চালক ও হেল্পাররা। তারা বলছেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আর আয় না থাকার চাপে দেয়ালে ঠেকেছে পিঠ। তাদের কাছে বেচে থাকাই এখন দুঃসাহসিকতা।

সাকুরা বাসের হেল্পার মো. আশরাফুল বলেন, 'বাড়ি থাইকা কল দিতাছে টাকা দিতে হইব। আপনে কন কই পামু, নিজেই এইখানে বাকি খাইতাছি। গাড়ি না চললে টাকা দিমু কেমনে। আমাগো তো আর ব্যাংকে টাকা নাই যে তুইলা খামু। বাচা মরা অবস্থা। কবে শ্যাষ হইব এই হরতাল আল্লাহ জানে।' 

বরিশাল এক্সপ্রেসের বাস চালক হামিদুর রহমান বলেন, 'গত রাতে বাস লাগায় রাখছি কাউন্টারে যাত্রী নাই ৷ শুক্রবার ছুটির দিন ভাবছিলাম আজ যাত্রী হবে, কিন্তু মানুষ তো ভয়ে বের হচ্ছে না।' 

এদিকে সকাল সন্ধার এই হরতাল পালনে জীবনবাজি রাখার আহ্ববান করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। বুধবার (২৯ নভেম্বর) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান করেন তিনি।

এ থেকে আজ সারা দিন নাশকতা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে সকলে। তবে যেকোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে সজাগ আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে পুলিশ বিজিবি ও র‍্যাবের সদস্যরা।