নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯.৪৯ শতাংশ
-
-
|
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=1280&quality=75&type=webp&path=uploads/news/2023/Dec/04/1701704345662.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
সদ্যসমাপ্ত নভেম্বর মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। এ মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে এসেছে, আগের মাসে যা ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ ছিল।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে, অক্টোবরে যা ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
এ সময় গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কম ছিল। নভেম্বরে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশে, অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।
যদিও খাদ্যবহির্ভূত খাতে বিপরীত চিত্র দেখা যায়। নভেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। অক্টোবরে যা ছিল ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। চলতি মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের। গত মাসে মজুরি সূচকও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭২ ভাগ।
চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এতদিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হন।