যুবককে কুপিয়ে হত্যা: ১৮ জনকে আসামি করে মামলা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

নরসিংদী পৌর শহরের বানিয়াছল এলাকায় আল আমিন (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আল আমিন বানিয়াছল এলাকার মৃত ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। তাকে হাতকাটা আল আমিন বা চান্দু আল আমিন নামেই চিনতো বা জানতো।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে বানিয়াছল বিলপাড় এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে। সোমবার রাত ১০টার দিকে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে নরসিংদী সদর মডেল থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এলাকাবাসি ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মনু মিয়ার ছেলে কাউসারের (৩০) এর সাথে ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছিল আল আমিনের। গত ৮ বছর পূর্বে ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আল আমিনের হাতের কব্জি কেটে ফেলে কাউছার ও তার সহযোগীরা। এছাড়াও দুজনই এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব‍্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত ছিল। কিছুদিন পর পর মাদক বেচাকেনা নিয়ে তাদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে এলাকাবাসি।

বিজ্ঞাপন

এই সংঘর্ষের জেরে দীর্ঘ ৮ মাস এলাকা ছাড়া থাকে আল আমিন। রোববার তার শ্বশুরের অসুস্থতার খবর তাকে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি রেখে সবার সাথে দেখা করতে বাড়িতে আসে সে। রবিবার রাত ১০ টার দিকে বানিয়াছল বিলপাড় এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওঁতপেতে থাকা কাউসারসহ ২০/২৫ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আল-আমিনের উপর হামলা চালায়।

এক পর্যায়ে আল-আমিন দৌড়ে এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে ওই বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তাকে। এদিকে আল আমিনের ডাক-চিৎকার আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত আল আমিনের বড় ভাই রহিম মিয়া বাদী ১৮ জনকে আসামি করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত আল আমিন ও কাউছারের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

নিহত আল আমিনের বড় ভাই মামলার বাদী রহিম মিয়া বলেন, রোববার তার শ্বশুরের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে ঢাকা হাসপাতালে রেখে বাড়িতে আসে আমার ভাই। রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোবাইলে একটা ফোন পেয়ে ১০ মিনিটের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে। ১০টার দিকে তাকে মেরে ফেলার খবর পাই। আমার ভাইকে যারা মেরেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

এব‍্যাপারে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।