আলোকিত সমাজ গড়তে প্রতি ইউনিয়নে গড়ে উঠুক পাঠাগার



মোকাম্মেল মিশু, ভোলা, বার্তা২৪.কম
আলোকিত সমাজ গড়তে প্রতি ইউনিয়নে গড়ে উঠুক পাঠাগার, ছবি: বার্তা২৪

আলোকিত সমাজ গড়তে প্রতি ইউনিয়নে গড়ে উঠুক পাঠাগার, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চারদিকে নদী বেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলা। এই জেলায় ৬৮ ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২ লাখ। যাদের একটি বড় অংশ শিশু-কিশোর। তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বর্তমানে জেলা শহরের পাশাপাশি গ্রামেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রসর হচ্ছে গ্রামের শিশুরা। তবে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে শিক্ষা এবং অবাধ তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি পাঠাগার থাকা জরুরি।

ভোলার প্রতিটি ইউনিয়নেও পাঠাগার স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন। এখানের অনেক কিশোর-কিশোরী অর্থের অভাবে বই কিনে পড়তে পারে না। আবার অনেকই অযথা সময় নষ্ট করে। তাই পাঠাগার স্থাপন করলে তারা বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। পাঠাগারে মুক্তিযুদ্ধের বই, বিজ্ঞান বিষয়ক বই, সামাজিক সচেতনতা মূলক-বয়সন্ধীকাল সম্পর্কিত বিভিন্ন বই, জীবন দক্ষতা বিষয়ক বইসহ নানা বিষয়ের শিক্ষণীয় বই ও পত্র পত্রিকা রাখা যেতে পারে। কারণ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে তরুণ সমাজকে জ্ঞানের আলোর সংস্পর্শে আনতে হবে।

দেশের সব শিশু কিশোরকে জ্ঞানে-গুণে উন্নত করতে হবে, মনের চোখ খুলতে হবে। তবে বই যদি সহজলভ্য না হয়, তাহলে গরিব জনগোষ্ঠীর সন্তানরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। তারা জীবনের সঠিক পথ সম্পর্কে জানতে পারবে বই পড়ার মাধ্যমে। তাই প্রতিটি ইউনিয়নের পাঠাগার স্থাপন হলে ইউনিয়েন সকল মানুষের মধ্যে স্বেচ্ছায় স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ বাড়বে।

তৃণমূল পর্যায়ে পাঠাগার তৈরি সম্পর্কে দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শওকাত হোসেন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘সরকারের বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানরা লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। তবে এখন সরকারকে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে পাঠাগার স্থাপন করতে হবে। কারণ শরীর চর্চার মাধ্যমে যেমন শরীর উন্নত হয়, পড়াশোনার মাধ্যমে তেমন মনের উন্নতি হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘সোনা কিংবা রূপার চেয়েও মূল্যবান বই। তাই তো শরৎচন্দ্র বলেছেন, বই পড়াকে যথার্থ হিসেবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে, তার জীবনের দুঃখ-কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়। এক কথায় বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান। এজন্য প্রয়োজন সরকারিভাবে কিংবা ব্যাক্তি উদ্যোগে প্রতিটি ইউনিয়নের একটি বা দুটি কক্ষে ছোট আকারে পাঠাগার স্থাপন করা। যার দেখভাল করবে ইউনিয়ন পরিষদ। এই পাঠাগারের মাধ্যমে বই পড়াকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন আয়োজন করা এবং পুরস্কারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কারণ বই মানুষকে আলোকিত করে।’

ভোলার পরানগঞ্জ গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক এম শাহরিয়ার জিলন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড। যদি আমরা আগামী প্রজন্মকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারি তাহলে আমাদের দেশ আরো এগিয়ে যাবে। তাই ভোলার প্রতিটি ইউনিয়নে পাঠাগার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।’

ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করার দিশারী হলো বই। বই পড়ে যে জ্ঞান অর্জন করা যায়, তার সঙ্গে চোখে দেখার অভিজ্ঞতা যুক্ত হলে তা পূর্ণতা পায়। তাই তো সরকার জেলা শহরে সরকারিভাবে ইতোমধ্যে পাঠাগার স্থাপান করেছে। আগামীতে প্রতিটি উপজেলায়, পৌর শহরে এমনকি প্রতিটি ইউনিয়নে পাঠাগার স্থাপন জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। যাতে তৃণমূলের কিশোর-কিশোরীরা এই পাঠাগার থেকে জ্ঞান অর্জন করে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।’

 

   

এমপি আনার হত্যা তদন্তে কলকাতায় ডিবির প্রতিনিধি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ড তদন্ত করতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কলকাতা গেছেন তিন সদস্যের একটি টিম। রোববার (২৬ মে) সকালে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয় প্রতিনিধি দলটি।

তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ওয়ারি বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান। মহানগর গোয়েন্দা প্রধান জানান, শাহীনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে আবেদন করা হবে।

তিনি জানান, শাহীন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলে নিশ্চিত হয়েছে কলকাতা ও ঢাকার গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের তদন্ত দল কলকাতায় প্রথমে ঘটনাস্থলে যাবে। এরপর ভারতে গ্রেফতার জিহাদ হাওলাদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

এদিকে তদন্ত শেষে আজ কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধি দলটির ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় 'রেমালে'র প্রভাবে উপকূলের বাঁধে ভাঙন আতঙ্ক



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলে বইছে জড়ো হাওয়া। বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানি। এ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, কয়রাসহ উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদ-নদীতে পানির চাপ বাড়লে নড়বড়ে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বাগেরহাট এই তিন জেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে (সাইক্লোন শেল্টারে) নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খুলনা জেলার ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট জেলায় ৩৫৯টি ও সাতক্ষীরা জেলায় ১৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জানা যায়, খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় প্রায় ২২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে কয়রা মহারাজপুর, কাশিয়াবাদ মঠেরকোনা মঠবাড়ি দশহালিয়ায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে গাববুনিয়া বেড়িবাঁধের মতো মদিনাবাদ লঞ্চঘাট থেকে গোবরা, হরিণখোলা-ঘাটাখালী, মহারাজপুর, কাশিয়াবাদ, দশহালিয়া এলাকায় বেড়িবাঁধ নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

কয়রার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ শিকারী জানান, আগে বাঁধের নিচে ৬০ ফুট পর্যন্ত চওড়া ছিল। ঢালের মতো বাঁধের ওপরের অংশে ছিল ১০-১২ ফুট। এখন ঠিকাদার-ওয়াপদা (পানি উন্নয়ন বোর্ড) কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাঁধের নিচের মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে ওপরে সংস্কার করা হয়। এতে বাঁধের ওপরে ১০-১২ ফুট ঠিক থাকলেও নিচের দিকে মাটি কমে যাওয়ায় বাঁধ দুর্বল হয়ে গেছে। ফলে বাঁধ সংস্কারের কিছুদিনের মধ্যেই পানির তোড়ে সহজে বাঁধ ভেঙে যায়।

এদিকে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে উপকূলে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যার পর সুন্দরবন, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও তৎসংলগ্ন কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড- বিভাগ-২’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম জানান, উপকূলীয় এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনায় বাঁধ মেরামত ও টেকসই করতে নিয়মিত সংস্কার কাজ চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ, সিনথেটিক ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ থাকতে পারবেন। ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যায়নি কোথাও। তবে আজ সকাল থেকে কিছু মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কয়রা উপজেলার এক স্বেচ্ছাসেবক মোঃ আবিয়ার রহমান জানান, এ অঞ্চলে সাধারণত জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়। পানি বাড়লে ওই সময় বাড়িতে কেউ থাকলে তারা মালামাল সরিয়ে উঁচু স্থানে রাখতে পারেন। এছাড়া এ এলাকার অনেক মানুষ মনে করেন যে, অনেক সময় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস আসবে বললেও শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না। ফলে এবারও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষয়ক্ষতি হবে না।

খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

;

ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২২ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

আটকের সময় তাদের হেফাজত থেকে ২৪৯৬ পিস ইয়াবা, ২৬ গ্রাম হেরোইন, ২৫ কেজি ৯৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার (২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ রববার (২৬ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে।

;

১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ইতোমধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় ৯ জেলায় ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বরে মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৬ জেলায় ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে অতী ভারী বৃষ্টির ফলে ৫ জেলায় ভূমিধসের শঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে এটি আজ (২৬ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। 

;