৬৮ বছর পর মংলাতে কাস্টমের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম



আবু হোসাইন সুমন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
খুলনা খালিশপুরে মংলা কাস্টম হাউস, ছবি: বার্তা২৪

খুলনা খালিশপুরে মংলা কাস্টম হাউস, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আমদানি-রফতানিসহ সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে কয়েক বছর আগেই মংলা কাস্টম হাউস খুলনা থেকে মংলা বন্দর এলাকায় পূর্ণাঙ্গ স্থানান্তরে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও দীর্ঘদিনেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৭ সালের ৫ আগস্ট মংলা বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১৪তম সভায় নৌ পরিবহণ মন্ত্রীর নির্দেশনাও আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

এর আগেও ২০১১ সালে নৌ মন্ত্রী খুলনার খালিশপুর থেকে মংলা কাস্টম হাউস মংলা বন্দরে স্থানান্তরের নির্দেশনা দিলেও সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি। অবশেষে এ মাসেই (জানুয়ারি) মংলা কাস্টম হাউস মংলাতেই পূর্ণাঙ্গভাবে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস।

তিনি বলেন, 'আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে মংলা বন্দরে কাস্টমের নতুন ইউনিট থেকে চালু করা হবে। খুলনাস্থ মংলা কাস্টম হাউসের রফতানি শুল্কায়ন ও আমদানি শুল্কায়ন গ্রুপ-২ এবং ৪ এর শুল্কায়নসহ সকল কার্যক্রম চালু করতে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।'

কাস্টম কর্তৃপক্ষ ও বন্দর সূত্র জানায়, ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামুদ্রিক বন্দর হিসেবে মংলা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকেই মংলা কাস্টম হাউস খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেক সময়ক্ষেপণের পাশাপাশি নানাবিধ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানির স্বার্থে মংলা কাস্টম হাউস মংলা বন্দরে রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

মংলা বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু এন্ড সন্স’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব এইচ এম দুলাল ও মেসার্স মায়া এন্টারপাইজের পরিচালক আহসান হাবিব হাসান বলেন, 'মংলা বন্দর থেকে সড়ক পথে খুলনার খালিশপুর পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৫৮ কিলোমিটার। মংলা কাস্টম হাউস খুলনাতে হওয়ায় একজন ব্যবসায়ীকে শুল্কায়নসহ পণ্য খালাসের কাজ কর্মে দুই থেকে তিন দফায় খুলনা-মংলা যাতায়াত করতে হয়। এতে সময় নষ্টের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ব্যবসায়ীদের এ ভোগান্তি দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে চলে আসলেও দাবি থাকা স্বত্বেও এখন পর্যন্ত মংলা কাস্টমের কার্যক্রম মংলা বন্দরে স্থানান্তর হয়নি। ফলে নিরুপায় হয়ে ভোগান্তির মধ্যদিয়েই ব্যবসায়ীদের এ বন্দর ব্যবহার করতে হচ্ছে।'

বন্দর ব্যবহারকারীরা আরও বলেন, 'মংলা বন্দর থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও যথাস্থানে কাস্টম হাউসের মূল অফিস না থাকায় ব্যবসায়ীদের ভয়াবহ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বন্দরের কাজ শেষ করে কাস্টম ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে খুলনায় যেতে হয়। পরে ওই কাগজ নিয়ে আবার বন্দরে ফিরে এসে সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিতে হয়।'

সিএন্ডএফ (ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং) এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: সুলতান আহমেদ বলেন, 'শুধু কার্যালয় মংলায় আসলেই তো সমস্যার সমাধান হবে না। শুল্কায়ন কার্যক্রমের সাথে বেশ কিছু কার্যক্রম জড়িত। ব্যাংকিং সেবা, ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ), শিপিং এজেন্সির কার্যক্রমসহ বেশ কিছু কার্যালয়ও শুল্ক কার্যালয়ের সাথে সাথে মংলায় স্থানান্তর করতে হবে।'

মংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, 'প্রতিষ্ঠার পর থেকে মংলা বন্দরের আমদানি-রফতানি পণ্যের কাস্টম সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কার্যক্রম খুলনা ও মংলা এ দুস্থানে সম্পন্ন হয়ে আসছে। পণ্য পরীক্ষা, রামেজ (ঘোষণার অতিরিক্ত কোন পণ্য জাহাজে আছে কিনা তা পরীক্ষা), ইপিজেড পণ্য পরীক্ষা ও শুল্কায়ন, পণ্য খালাস, প্রিভেন্টিভসহ (নিবারকমূলক কার্যক্রম) আনুষঙ্গিক কার্যক্রম মংলা কাস্টমস হাউসের বন্দর ইউনিট অর্থাৎ মংলা বন্দরে সম্পন্ন হচ্ছে। অন্যদিকে সকল প্রশাসনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আইজিএম (জাহাজে আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা) দাখিল, আমদানি ও রফতানিকৃত পণ্যের শুল্কায়ন, ব্যাংকিং কার্যক্রম ও রাসায়নিক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত মূল কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়ে আসছে। তবে মংলা বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে মংলা ইউনিট থেকে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এজন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।'

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, 'আমরা চাই যে কোন মূল্যেই মংলা বন্দরের সাথেই কাস্টম কার্যালয় স্থানান্তরিত হোক। আপাতত সমস্যার সমাধানের জন্যে আমাদের ট্রাফিক বিভাগের কিছু কক্ষ তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু তাতে তাদের পুরো কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সমস্যা সমাধানে যত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সেটি আমাদের বন্দরের জন্যেই মঙ্গল হবে।

   

ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আষাঢ়ের শুরু থেকেই বৃষ্টি ঝরছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বুধবার হঠাৎ করেই ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। এতে করে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন দিনের শুরুতেই পথে নামা কর্মজীবী মানুষ।

সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দিলে পৌনে ১০টায় শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। অফিস আওয়ারে বৃষ্টি হওয়া পথেই ভিজতে হয়েছে অনেককেই। কেউ কেউ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেলের আরোহীরা। তাদেরকে দেখা গেছে, ফ্লাইওভারের নিচে, যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিতে। আবার কেউ কেউ রাস্তায় বাইক দাঁড় করে রেখে কোন দোকানে ঠাঁই নিয়েছেন।


রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, হাতিরঝিল, মিরপুর, গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বৃষ্টির পরিমাণ কোথাও কম আবার কোথাও বেশি শোনা গেছে।

এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ প্রায় সব বিভাগেই দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবােরর (২৬ জুন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের আটটি অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ছয়টা থেকে বুধবার (২৬ জুন) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৩৫ পিস ইয়াবা, ৬২ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইন, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি ৬০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির ৪ আসামির পলায়ন, পরে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর পরপরই তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত তিনটার দিকে কারাগারে কনডেম সেল থেকে আসামিরা পালিয়ে যায়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদি জেলার মাধবদী থানার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়া কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদরের কুটিরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)।

তারা প্রত্যেকেই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি।

পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হয়। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকিয়ে বাহিরে বের হয়। ভোর রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে পুলিশের একাধিক টিম সংবাদ পেয়ে শহরে তল্লাশী শুরু করে। ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে চারজনকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে গ্রেফতারকৃতদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতারের পর চারজনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয় এবং কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে শনাক্ত করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সাথে একটি কক্ষে অবস্থান করতো। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াাল টপকিয়ে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

;

কলাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল রাইসমিল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে একটি রাইসমিল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট, থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) উপজেলার সাপ্তাহিক হাট বাজারের শেষ মুহূর্তের রাত ৯.৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পৌর শহরের আন্ধারমানিক নদীর তীরে মৌডুবি ট্রলার ঘাট এলাকার সিরাজুল হক মুন্সির ‘তানভির রাইসমিলে’ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চাল, হলুদ-মরিচের গুঁড়াসহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে গেছে।

কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। মিল মালিক সিরাজুল হক মুন্সি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

;