বন ডুবিয়ে মাছ চাষ: নদভীর পিএসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার সীমান্তবর্তী প্রায় আড়াই হাজার একর বনভূমি ডুবিয়ে কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করে মাছ চাষের ঘটনায় ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর একান্ত সচিব (পিএস) এরফানুল করিমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচটি করছে বনবিভাগ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বন বিভাগের কর্মকর্তারা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে এই বিষয়ে পাঁচটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগগুলো মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সোনাকানিয়া নামের একটি ছড়ায় বাঁধ দিয়ে সংরক্ষিত বনের ওপর কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করে মাছ চাষ করে আসছিলেন নদভীর ঘনিষ্ঠরা। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মাটির বাঁধটি নির্মাণ শুরু হয়। শেষ হয় ওই বছরের মার্চে। এরপর থেকেই চলে মাছ চাষ। বাঁধ দেওয়ার ফলে ছড়া বন্ধ হয়ে লোহাগড়া ও সাতকানিয়ার ৪ হাজার ২৫৫ একর জমির চাষাবাদ ব্যাহত হয়। বিষয়টি নিয়ে কৃষকেরা শুরু থেকেই সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে এলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। তবে কয়েকদিন আগে এ নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে সোচ্চার হয় প্রশাসন। বাধটি কেঁটে বনভূমি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার পথে হাঁটল বনবিভাগ।
বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৬(১ক) ও ৩৩(১ক) ধারায় আদালতে এই পাঁচটি মামলা করা হচ্ছে। মামলায় এরফানুল করিমের সঙ্গে তার অন্যতম সেনাপতি হিসেবে পরিচিত মঞ্জুর আহমদ ও নাসির উদ্দিনের নামও রয়েছে।
সহকারি বন সংরক্ষক (পদুয়া) মো. দেলোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'বনভূমি ডুবিয়ে মাছ চাষের বিষয়ে বনবিভাগের পক্ষ থেকে পাঁচটি অভিযোগ আদালতে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার পক্ষে চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা, বড়হাতিয়া বিট কর্মকর্তা ও চুনতি রেঞ্জের কর্মকর্তারা এসব মামলার বাদী হচ্ছেন।