রংপুরে সরকারি খাবার স্যালাইন উৎপাদন পুনরায় শুরু
কাঁচামালের অভাবে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর রংপুরে সরকারি খাবার স্যালাইন উৎপাদন পুনরায় শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. রুহুল আমিন। তিনি জানান, গত ২৯ জানুয়ারি ২০ হাজার পিস খাবার স্যালাইন উৎপাদনের মাধ্যমে পুনরায় কর্মমুখর হয় প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর খাবার স্যালাইন উৎপাদনের পর কাঁচামালের অভাবে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮০ সালে রংপুরের সাবেক সদর হাসপাতালে খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। উৎপাদিত স্যালাইন রংপুর ও রাজশাহীর ৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল সিভিল সার্জনের ১৬টি রিজার্ভ স্টোর, ২টি সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন পৌরসভা, বিজিবি, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং কেন্দ্রীয় কারাগারে সরবরাহ করা হয়।
রংপুরে অবস্থিত একমাত্র সরকারি খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত স্যালাইন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে সরবরাহ করা হয়।
উৎপাদিত স্যালাইনের কাঁচামাল বিদেশ থেকে সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়। প্রতিদিন ২১ হাজার প্যাকেট স্যালাইন তৈরি হয়। ২২ জন কর্মীর মধ্যে প্রায় ১৫ জনই দৈনিক চুক্তিতে কাজ করছেন। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন হাসপাতাল এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে খাবার স্যালাইনের সমস্যার পাশাপাশি আর্থিক সংকটে পড়েন দৈনিক হাজিরায় কর্মরত কর্মীরা।
খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের স্টোর কিপার মো. এনামুল হক বলেন, খাবার স্যালাইন তৈরির কাঁচামাল হচ্ছে গ্লুকোজ এন্ড হাইড্রাস, ট্রাই সোডিয়াম সাইট্রেট, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং স্যালাইন ভরানোর জন্য পলিথিন প্যাকেট। উল্লেখিত ৫ প্রকার কাঁচামালের মধ্যে গ্লুকোজ এন্ড হাইড্রাস, ট্রাই সোডিয়াম সাইট্রেট এবং স্যালাইন ভরানোর জন্য বিশেষ পলিথিন প্যাকেট শেষ হওয়ায় স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ হয়েছিল।
রংপুর জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পাওয়ায় আমরা আবার স্যালাইন উৎপাদন শুরু করেছি। এখন থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলায় কাঙ্খিত খাবার স্যালাইন পাঠানোর আর কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।