টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের বাহারি ‘পিঠা উৎসব’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের তিন দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। পিঠা উৎসবে স্টলে স্টলে শোভা পাচ্ছে বাঙালি ঐতিহ্যের নানা রকম পিঠার সমাহার। পিঠা ছাড়াও হস্তশিল্পসহ নানা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে এ মেলায়।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শহরের টাঙ্গাইল ক্লাব প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দুপুরে উৎসবের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার।

বিজ্ঞাপন

পিঠা উৎসবে জামাই পিঠা, বুটের হালুয়া, মুখশালা পিঠা, লাচ্ছি বড়া, পাটিসাপটা পিঠা, নকশি পিঠা, ডিমের পাকুড়া, ডিম পিঠা, মাংস পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা স্থান পায়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব নানা রকম পিঠা। গ্রাম-বাংলার বিলুপ্তপ্রায় লোকজ খাবার ধরে রাখা ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব।

নারী উদ্যোক্তা আশা আক্তার বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে বসেছি। সকল পিঠা আমরা বাসায় নিজের হাতে তৈরি করেছি। ঝাল এবং মিষ্টি সব ধরনের পিঠা আমাদের কাছে পাওয়া যাবে। আয়োজকদের কাছে দাবি প্রতি বছর যাতে এ ধরনের পিঠার আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ক্রেতা সুমাইয়া আক্তার বলেন, শীতের সময় গ্রাম বাংলা পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। প্রতি বছরই এমন আয়োজন হলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফুঁটে উঠবে। সব সময়ই যদি এমন আয়োজন করা হয় তাহলে আবারো হারানো সেই পিঠাপুলির উৎসবে ফিরে পাবো।

টাঙ্গাইল উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক জেরিন মাহমুদ শম বলেন, হারিয়ে যাওয়া বাঙালির পিঠা পুলির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এবং নতুন প্রজন্মকে তুলে ধরতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠা এখানে পাওয়া যাচ্ছে। শুরুতেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করা হবে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করা হবে। এতে জেলার অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এ পিঠা উৎসব শেষ হবে।