দেশের ১০ পয়েন্ট দিয়ে চলছে মানবপাচার: চুন্নু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের সীমান্তবর্তী চার জেলার ১০ পয়েন্ট দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে পাচারের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ হওয়ায় পাচারকারীরা নারী-শিশু পাচারের জন্য এসব পয়েন্ট বেছে নিচ্ছে বলে সংসদে জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সবাই সবকিছু জানে তবুও কোনভাবেই থামছে না ভয়ঙ্কর মানবপাচার। সীমান্তবর্তী চার জেলার ১০ পয়েন্টেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে পাচারের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ হওয়ায় নারী-শিশু পাচারের জন্য এসব পয়েন্ট বেছে নিচ্ছে পাচারকারীরা। অন্যদিকে সীমান্ত এলাকায় অভিযান নিয়ে মাঝে মধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। আর সেই সুযোগ নিচ্ছে পাচারকারীরা।

তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্টরা বলছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধি পাচারকারীদের সাথে জড়িত। সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে বেসরকারি সংস্থা ব্র‌্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি জানায়, ২০০৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাচারের ঘটনায় দেশ ও দেশের বাইরে ৬৭৩৫টি মামলা হয়। মামলাগুলোর ভুক্তভোগীর সংখ্যা ছিলো ১২ হাজার ৩২৪ জন। গত ১২ বছরে ভারতে পাচার হওয়া ২ হাজার ৫০ জনকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চুন্নু বলেন, আইনে আছে সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে বিজিবি চাইলে অপারেশন করতে পারে, পাচারকারীদের ধরতে পারে। পুলিশতো যেকোন জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু যখন পুলিশ ধরতে যায় সীমান্তে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে তখন আবার বিজিবি পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশ এবং বিজিবির মধ্যে কোন সমন্বয় নাই। পাচার এখনও চলছে, রুটগুলো চিহ্নিত করা। নারী-শিশু পাচারের মতো জঘন্য ঘটনা হর হামেশা দেখছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব বিষয়টি খুব গুরুতর অপরাধের বিষয়। এ বিষয়ে যদি সরকার সচেতন না হয়, প্রয়োজনী পদক্ষেপ না নেয় তাহলে নিরীহ মানুষ যাবে কোথায়?