চট্টগ্রামে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেটে অবস্থিত মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অস্থায়ী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বেজে চলেছে একুশের গান। ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে হাতে ফুল, কালো পোশাক, ব্যাজ ধারণ করে ধীর পায়ে এগিয়ে চলেছেন অসংখ্য মানুষ। প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয় এ শ্রদ্ধা নিবেদন।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর শহীদ মিনারের বেদি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি) নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার (এসপি), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নগর, জেলা কমান্ড ও দলীয় নেতারা।

এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন। এ সময় একুশের আলোয় আলোকিত হয় পুরো এলাকা। সময় যত গড়াচ্ছে মানুষের ভিড়ও যেন তত বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাবার সঙ্গে প্রথমবারের মতো শহীদ মিনারে এসেছে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহিয়া ও তার ছোট ভাই নাবিল। চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা থেকে আসা তাহিয়া বার্তা২৪.কমকে বলে, আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। শহীদ মিনারে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। তাদের বাবা আনোয়ার বলেন, প্রথমবারের মতো তাদেরকে নিয়ে এসেছি। তারা যেন বাঙালি চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়, সেটাই চাওয়া।

দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে নগরের চকবাজার থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা আসমা আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের কথা আমাদের কখনোই ভোলা উচিত নয়। তবে, ভাষা দিবসে শুধু ফুল দিয়েই সীমাবদ্ধ না থেকে বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের প্রচুর যত্নশীল হওয়া উচিত। নয়তো ভাষা শহীদদের প্রতি বেইমানী করনা হবে।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ হারুণ বলেন, পরশু দিনও নবনির্মিত শহীদ মিনারের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। এবার সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে পারিনি। এ দেশের প্রগতিশীল নাগরিক হিসেবে দাবি জানাই, যাতে শহীদ মিনারটি জনবান্ধব করা হয়।