যাত্রাবাড়ী থেকে ১৪ ছিনতাইকারী আটক, যা বলছে পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, ডেমরা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহনাগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারি বিভাগের বিভিন্ন থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ছয়টি মোবাইল, দুটি চাকু, একটি ব্লেড, জান্ডুবাম মলম ও ৫০ গ্রাম মরিচের গুড়া উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করা যাত্রীদের টার্গেট করে ছিনতাই করত তারা। 


বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওয়ারিতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)’র ওয়ারি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন। 

ডিসি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, আপনারা জানেন যাত্রাবাড়ি দিয়ে দেশের ৪০টি জেলায় যাতায়াত করা হয়। ফলে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই এই এলাকা গাড়ি চলাচল করে। রাতের আধারে সমান তালে ব্যস্ত থাকায় এই এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। 


এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ডেমরা থেকে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে তিনটি ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ওয়ারি গেন্ডারিয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১২জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৬টিরও বেশি মামলা রয়েছে।  গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সুমন নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যিনি তিনদিন আগে জেল থেকে জামিন পেয়েছে।

ওয়ারি বিভাগের ডিসি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের সবার বয়স ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে। তারা রাতের বেলা মহসড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতে ওঁৎ পেতে থাকে। রাতের বেলা যখন বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারণ মানুষ ঢাকায় এসে নামে অথবা ঢাকা থেকে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয় তখন তারা এই সকল যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে।

তিনি বলেন, আমরা বাপ্পা নামের একটি ছেলেকে গ্রেফতার করেছি। তার বাড়ি কক্সবাজারে। তার বিরুদ্ধে ৬টি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা অপরাধীদের নিয়মিত নজরদারিতে রাখি। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। এছাড়া তারা জামিন পেয়ে এলাকা পরিবর্তন করে ফেলে। যাত্রাবাড়ি এলাকায় অপরাধ করে গ্রেফতার হলে জেল থেকে বের হয়ে মিরপুর এলাকায় চলে যায়। তখন তাকে নজরদারিতে রাখা কষ্ট হয়ে যায়। তবে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের পক্ষ থেকে নজরদারি করার জন্য টিম রয়েছে। পাশাপাশি ছিনতাই প্রতিরোধে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্সটির তদারকি ডিএমপি কমিশনার নিজেই করেন। ফলে ঢাকায় প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে। 

তিনি বলেন, ডিএমপির ওয়ারি বিভাগে ইতোমধ্যে তিনজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও তিনজন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি)কে নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। আমি নিজেও তাদের সঙ্গে কাজ করছি। প্রতিদিন রাতে ওয়ারি বিভাগের ৩৬টি টিম কাজ করে। ফলে অনেকেই গ্রেফতার হন। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ছিনতাই মুক্ত করতে যা যা করা দরকার আমরা করব। 

বিভিন্ন অপরাধী চক্রের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ইকবাল হোসাইন বলেন, আপনারা জানেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা টিম ও ডিএমপির ডিসিপ্লিন শাখা থেকে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। কোনো পুলিশ সদস্যকে চুল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হয় না। এমন কী পুলিশের প্রধান আইজিপি বারবার বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধ করলে দ্বিতীয় বার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। কোনো অপরাধ করলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তাই এমন কোনো তথ্য থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ওয়ারি বিভাগ থেকে তিনজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে কোনো ছাড় নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, আপনারা জানেন ঢাকা শহরে যানজট একটি বড় সমস্যা। আমরা এই বিষয়টি মাথায় রেখে যানজট নিরসনে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়োছি। ওয়ারি বিভাগের ট্রাফিক ডিভিশনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে স্কুল কলেজের সামনে থেকে হকার, গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা হয়েছে। যাতে স্কুলে যাতায়াত করা সহজ হয়। দ্রুতই ভালো ফলাফল পাবে আশা করি।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সজীব ওয়াজেদ জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। 

সজীব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দু’জনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নৈপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ঐ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা এই দু’য়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

;

কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। যদিও প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে।

তবে কারফিউ কবে উঠানো হবে সে বিষয়ে আজ শনিবার (২৭ জুলাই) সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

আজও বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: নূর এ আলম/বার্তা২৪.কম

ছবি: নূর এ আলম/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। যা এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। যদিও প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে।

আজও শনিবার (২৭ জুলাই) ঢাকাসহ চার জেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, শনিবার ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউ চলবে। তবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোর কারফিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।

;

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;