পুলিশকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Feb/27/1709013223607.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশদের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে অনুষ্ঠিত ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’-র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ছয় দিনব্যাপী এবারের পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আরো সুদক্ষ বাহিনী হিসেবে গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করবে। ‘সোনার বাংলাদেশ’ গঠনে পুলিশদের আরো অগ্রগতি বাস্তবায়নে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পুলিশকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সাল থেকে এন্টি-টেরোরিজম, অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, হাইওয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুলিশদের আরো প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার জন্যও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে দ্রুত তদন্ত বোর্ড তৈরি করে দেবো যেন মানুষ ন্যায়বিচার পায়।’
পুলিশ বিভাগের জন্য আরো উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া দূরদূরান্তে দ্রুত পুলিশ সেবা পৌঁছে দিতে আকাশপথে যাতায়াতের সুবিধাকে আরো সুগাঠত করার লক্ষ্যে ২টি হেলিকপ্টার প্রদান করা হবে।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’। ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ পরবর্তী উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আইজিপির সম্মেলন, আইজি’জ ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার পুরস্কার বিতরণ ইত্যাদি।
পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্ম অধিবেশনে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে। আগামী ৩ মার্চ পুলিশ সপ্তাহ শেষ হবে।