চরমোনাইয়ে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ফাল্গুন মাহফিল শুরু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে চরমোনাইয়ের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ফাল্গুন মাহফিল শুরু হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর চরমোনাই মাদরাসার মূল মাঠসহ মোট ৬টি মাঠে বার্ষিক মাহফিলের উদ্বোধন করেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে নয় বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই চরমোনাই মাহফিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সুতরাং এখানে দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় দিয়ে আখেরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে যায়গা দেন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে।

মাহফিলে অংশ নিয়েছেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতী আল্লামা হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী। এছাড়াও সৌদি আরব ও পাকিস্তানের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম মাহফিলে অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

মাহফিলে আগত মুসল্লীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে আরো ৪০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হচ্ছে। ৬টি এ্যাম্বুল্যান্স ও ১টি স্পিড বোর্ড মাহফিল হাসপাতাল কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীকে তাৎক্ষণিক মাহফিল হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য নিযুক্ত রয়েছে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।

ছয়টি মাঠে মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী।

সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লীদের খাবারের জন্য প্রত্যেকটি মাঠের চারিদিকে সুপেয় নিরাপদ পানির ব্যবস্থাসহ রয়েছে সহস্রাধিক টয়লেট, ওজু এবং গোসলের ব্যবস্থাপনা।

আগামী শনিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় পীর চরমোনাইয়ের আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে এ মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হবে।

এদিকে মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে বার্ধক্যজনিত কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের মো. আজমত শেখ এবং পাবনার মো. নওসের।