চট্টগ্রামে নিরাপদ ও দখলমুক্ত ফুটপাতের দাবিতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীতে নিরাপদ ও দখলমুক্ত ফুটপাতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর সাতটি পয়েন্টে মানববন্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দুই শতাধিক শিক্ষকও অংশ নেন। এসময় পথচারীরাও শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে সহমত পোষণ করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফুটপাতের মালিক জনগণ। কিন্তু অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে রাখায় শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় হাঁটতে হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুলে যেতে চায়, নিরাপদে ঘরে ফিরতে চায়। অবৈধ দখলদারদের কারণে কোন মাকে যাতে সন্তানহারা হতে না হয়। কোন শিক্ষার্থীকে যাতে পঙ্গু হতে না হয় সে বিষয় দায়িত্বশীলদের নিশ্চিত করতে হবে।

এদিন নগরীর রাইফেল ক্লাব থেকে জিপিও মোড় পর্যন্ত অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কৃষ্ণ কুমারী সিটি সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষাথীরা মানবন্ধন করে।

একই সময়ে ফিরিঙ্গি বাজার মোড় থেকে আলকরণ হয়ে দোস্ত বিল্ডিং পর্যন্ত আলকরণ নুর আহমদ সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়, আলকরণ সুঃ আহমদ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা মানবন্ধনে অংশ নেয়। এছাড়াও পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে নতুন রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনী সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় এবং লালদিঘী থেকে কোতওয়ালী পর্যন্ত পাথরঘাটা মেনকা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাথরঘাটা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।

এছাড়া আন্দরকিল্লা থেকে লালদিঘী পর্যন্ত পাথরঘাটা সিটি কর্পোরেশন কলেজ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কায়সার নিলুফার কলেজ এবং আন্দরকিল্লা মোড় থেকে চেরাগী পাহাড় মোড় পর্যন্ত জামালাখান কুসুম কুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গুল-এজার বেগম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চেরাগী পাহাড় থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত কদম মোবারক সিটি কর্পোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয় এবং সরাইপাড়া সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।

এ বিষয়ে চসিকের শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, ‘ফুটপাত দখলমুক্ত করতে আমাদের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অনেকদিন ধরেই দাবি করে আসছিল। ফুটপাতগুলোতে হকাররা বসে থাকায় তারা রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হত। এতে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওড়না বা কাপড় গাড়ির সঙ্গে লেগে ছিঁড়ে গিয়েছে। এরকম অনেক অভিযোগ আছে।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের মেয়র তাদের সব অভিযোগ শুনে চট্টগ্রাম নগরীকে হকারমুক্ত করতে রাস্তায় রাস্তায় অভিযান চালাচ্ছে। তবুও কিছু কিছু জায়গায় আবারও হকার বসছে। তাদেরকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করার দাবিতে সিটি করপোরেশনের সব স্কুল আজ মানববন্ধন করবে বলে শুনেছি। তবে সব স্কুল ও কলেজ নেমেছে কিনা সেটা বলতে পারব না।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর নিউমার্কেট মোড় থেকে নতুন রেলস্টেশন, রিয়াজউদ্দিন বাজার, পুরাতন রেলস্টেশন, ফলমণ্ডি, তামাকমুণ্ডি লেইন ও আমতলসহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে হাজারেরও বেশি হকার উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশন। এসব এলাকার ফুটপাত থেকে সড়কের একাংশ দখলে নিয়ে এসব হকার পোশাক, মোবাইল, জুতা, তৈরি খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আসছিল। ফুটপাত ও সড়কে বিভিন্ন অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের কারণে এসব এলাকায় নিয়মিত যানজট লেগে থাকতো।

উচ্ছেদ অভিযানের সময় হকাররা বিক্ষোভ করেছিলেন। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ নিয়ে হকাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। পর দিন হকারদের কেউ কেউ আবারও বসতে চাইলে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন। এরপরও হকাররা সড়ক ও ফুটপাতের বিভিন্ন অংশ দখলে নিতে শুরু করলে ১২ ফেব্রুয়ারি ফের অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। এ সময় হকারদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় সিটি করপোরেশনের যানবাহন। পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় হকারদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এ অবস্থায় উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পুনর্বাসনের দাবি তোলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। হকাররাও ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে।

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন বার্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় জানান, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

;