অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না চিকিৎসা সেবা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে ধাপে ধাপে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে ৩ টাকা মূল্যের টিকিট ৫ টাকা ও জরুরি বিভাগে ৭ টাকা মূল্যের টিকিট ১০ থেকে ২০ টাকা করে নেওয়া হয়। এছাড়াও রোগীদের বিনামূল্যে ড্রেসিং সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও দিতে হয় ৫০ থেকে ২০০ টাকার বেশি। এভাবেই প্রবেশের পর থেকে শুরু হয় হয়রানি।

বিজ্ঞাপন

হাসপাতালের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার কারণে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের দ্বারা হয়রানির শিকার হন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা ।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার প্রায় কয়েক শত মানুষের প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসে এ হাসপাতালে। যেসব রোগী দুর্ঘটনাসহ অন্যান্য কারণে ড্রেসিং করেছেন তাদের সবাইকে ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থেকেও অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে টিকিট। হাসপাতালে ওয়ার্ডে দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মত অবস্থা। হাসপাতালের ভিতরে গ্যারেজ করে রাখা হয়েছে মোটরসাইকেল। যেখানে সেখানে পড়ে আছে ময়লা আর্বজনা। অপরদিকে জরুরি রোগী বহনের জন্য ব্যবহৃত দুটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও একটি বিকল অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। অপরদিকে রোগী আর সঠিক চিকিৎসা সেবা না মেলায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পড়ে আছে কুষ্ঠ বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

গদা গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রহিম উদ্দিন জানায়, 'আমার হঠাৎ জ্বর এসেছে তাই আমি চিকিৎসা নিতে এসেছি । এখানে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করে ৫ টাকা দিয়ে টিকিট নিলাম। অনেক্ক্ষণ ধরে দাড়িয়ে আছি। ডাক্তারকে এখনো দেখাতে পারিনি।' 

চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগীর স্বজন সালমা বেগম জানায়, 'আমার ছেলের পেটের ব্যথা এখানে টেস্ট করাতে এসেছি। অনেক্ক্ষণ আগে  টাকা জমা দিয়েছি তবুও এখনো টেস্ট করতে পারিনি। আমার ছেলেকে ভর্তি করার সময় ২০ টাকা দিয়ে ভর্তি করেছি। এখানে কোন ঔষধপত্র দেওয়া হয়না। আমাদের লিখে দেয় সব কিনে আনতে হয়। এখানে নার্সরা অনেক খারাপ ব্যবহার করে। তাদের ডাকতে গেলে তারা রাগ হয়। সরকারি হাসপাতালের চেয়ে প্রাইভেট হাসপাতালেই ভালো।' 

টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আলমগীর জানায়, 'এখানে টিকিট নিলে ৫ টাকা লাগবে। এখানে ৩ টাকায় টিকিট দেওয়া হয়না। লেখা ৩ টাকা থাকলেও ৫ টাকা দিতে হবে। না হলে টিকিট পাবে না।'

ড্রেসিংরুমে দায়িত্ব পালন করা বাবু জানায়, 'এখানে যারা চিকিৎসা নিতে আসে তারা খুশি হয়ে চা খাওয়ার জন্য কিছু টাকা দেয়। আমি জোড় করে কিছুই নেইনা।' 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তানজিমুল মিল্লাতকে খুদে বার্তা পাঠিয়েও এ বিষয় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আল মামুনের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।